নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে নিম্নে উল্লেখিত ৮ টি ধাপ অনুসরন করা প্রয়োজনঃ
১। বেসিক প্রশিক্ষন গ্রহন করা।
২। সম্ভাব্য ক্রেতার তালিকা তৈরি এবং বাছাই করা।
৩। স্বপ্ন এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করা।
৪। সম্ভাব্য ক্রেতার সাথে যোগাযোগ বা আমন্ত্রন করা।
৫। ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা উপস্থাপন করা।
৬। ক্লোজিং দেয়া।
৭। ফলোআপ করা।
৮। সাইন আপ করানো বা জয়েন করানো।
ধাপসমূহের ব্যাখ্যাঃ
১। বেসিক প্রশিক্ষন গ্রহন করা।
যে কোন একটি কাজ শুরু করার পূর্বে অবশ্যই উক্ত বিষয়ে ভাল করে জেনে শুনে শুরু করা উচিত। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসার ধারনা বাংলাদেশে তুলনামূলক ভাবে নতুন বিধায় এই ব্যবসা শুরু করার আগে এ ব্যবসাটি সম্পর্কে খুব ভাল করে জেনে নেয়া প্রয়োজন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা অবশ্যই জেনে শুরু করতে হয তার একটি তালিকা নিম্নে উপস্থাপন করা হলঃ
- এই ব্যবসাটি কি ভাবে শুরু করতে হয়?
- কোন কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করলে দ্রুত সফলতা অর্জন করা সম্ভব?
- কোন প্রোডাক্টের কাজ, ফলাফল এবং গুনাবলী কি?
- কোন প্রোডাক্ট এর দাম কত?
- প্রোডাক্ট কোন জায়গা থেকে এবং কিভাবে সংগ্রহ করতে হয়?
- প্রোডাক্ট বিক্রির বিপরীতে কমিশন কিভাবে পাওয়া যায় এবং কোথা থেকে টাকা উত্তলন করতে হয়?
- কোন প্রোডাক্ট ডেলিভারী করার পর কোন সমস্যা থাকলে কি ভাবে এবং কোথা থেকে ওয়ারেন্টি সার্ভিস গ্রহন করতে হয়?
উপরিউক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার জন্য আমরা তিনটি প্রক্রিয়ায় প্রশিক্ষন গ্রহন করতে পারিঃ
১। বই পড়ার মাধ্যমে
- মার্কেটিং প্ল্যান বই
- বেসিকস্ অফ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
- এম.এল.এম ইনফরমেশন
- তুমিও জিতবে
- উচ্চাকাঙ্খার ম্যাজিক
বিঃদ্রঃ- শুরুর দিকে প্রতিদিন নিয়ম করে অন্ততঃ ১ ঘন্টা উপরে উল্রেখিত বই সমূহ স্টাডি করা উত্তম।
২। বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষনে অংশগ্রহন করার মাধ্যমে
- বেসিক ট্রেনিং ১,২,৩
- বিজনেজ ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং
- ইনভাইট ট্রেনিং
- ক্লোজিং ট্রেনিং
- ফলোআপ ট্রেনিং
- ভিশন ক্লিয়ার ট্রেনিং
- মেরাথন ট্রেনিং
- মোটিভেশনাল বা সেলিব্রেশন প্রোগ্রাম
৩। যারা ইতিমধ্যে কাজটি শুরু করেছেন অথবা সফল হয়েছেন তাদের সাথে আলোচনা করার মাধ্যমে।
যারা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসার সাথে আগে থেকে জড়িত এবং ভাল কাজ করছেন তাদের সাথে আলোচনা করলে আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলিকে বাড়িয়ে নিতে পারেন। একজন নতুন নেটওয়ার্কার হিসেবে যখন কোন সফল ব্যক্তির সাথে আলোচনা করতে বসবেন তখন নিম্নে উল্লেখিত প্রশ্ন সমূহ করলে ভাল ফলাফল তৈরি করতে পারবেন।
প্রথমে নিজের পরিচয় দিয়ে সফল ব্যক্তির সাথে হেন্ডশেক করুন এবং পরিচিত হোন এবং কুশল বিনিময় করুন। তারপর অনুমতি নিয়ে তার সামনে বসে একে একে প্রশ্ন করুনঃ
- আপনি কতদিন যাবৎ এই ব্যবসাটি করছেন?
- এই ব্যবসার পাশাপাশি আপনি কিছু করেন কি?
- পৃথিবীতে অনেক ধরনের ব্যবসা করার সুযোগ আছে তা না করে আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসা কেন করছেন?
- কাজ করতে যেয়ে আপনার লাইফের ইনভাইট বা ফলোআপ নিয়ে একটি ব্যর্থতার ঘটনা বলুন প্লিজ!
- কাজ করতে যেয়ে আপনার লাইফের ইনভাইট বা ফলোআপ নিয়েএ কটি সফলতার কথা বলুন প্লিজ!
- আমার মত একজন নতুন নেটওয়ার্কার এর প্রতি আপনার পরামর্শ কি?
বিঃদ্রঃ আলোচনার সময় অবশ্যই উক্ত সফল ব্যক্তির নাম এবং মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে ডায়েরিতে সংরক্ষন করে রাখবেন। আরো বিস্তারীত জানার জন্য অল্প সময়ে প্রশিক্ষন আত্মস্থ করা এবং মনে রাখার কৌশসমূহঃপ্রশিক্ষন টিপস্ টি পড়ুন।
২। সম্ভাব্য ক্রেতার তালিকা তৈরি এবং বাছাই করা।
সম্ভাব্য ক্রেতার তালিকা তৈরির প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি। অনেক নতুন নেটওয়ার্কাররা কাগজে কলমে তালিকা তৈরি করার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন। আবার অনেকে তালিকা তৈরি করতে যেয়ে আমার পরিচিত উমুক ব্যক্তি ব্যবসাটা করতে পারবে না বা তুমুক ব্যক্তি বোকা সোকা বা তার এ জাতীয় ব্যবসায় আগ্রহ থাকবে না ইত্যাদি পূর্বধারনা করে থাকেন। এই ধারনা গুলো একে বারেই ভুল এবং ব্যবসায়ীক সফলতার জন্য ক্ষতিকর।
তালিকা তৈরির নিয়মাবলীঃ
- আপনার পরিচিত সকল ব্যক্তির নাম যাদের বয়স ১৮ বছরের উপরে সকলকেই তালিকার আওতায় নিয়ে আসুন।
- তালিকা বড় করার জন্য FRIENDS সূত্রটি কাজে লাগাতে পারেন।
F= Friends (কাছের বা দূরের বন্ধু)
R= Relative (আত্মিয় স্বজন)
I= Insurance worker (ইনসুরেন্স বা এজাতীয় কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তি)
E= Employee/Employeer (চাকুরীজীবি বা চাকুরী দাতা)
N= Neighbours (প্রতিবেশী)
D= Doctors (ডাক্তার বা এজাতীয় পেশাজীবি)
S=Strangers (আগন্তুক বা অপরিচিত ব্যক্তি)
উপরি উক্ত সূত্রটি অনুসরন করে প্রত্যেকটি সেক্টরে কিছু কিছু করে নাম লিখতে থাকলে দেখবেন আপনার সম্ভাব্য ক্রেতাদের নামের তালিকা অনেক বড় হতে থাকবে।
৩। স্বপ্ন এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করা।
পৃথিবির প্রতিটি মানুষের বেচে থাকা এবং ভাল থাকার পিছনে স্বপ্নের একটি বিড়াট ভূমিকা আছে। এখানে স্বপ্ন বলতে বুঝাতে চাচ্ছি আপনি কেন কাজ করবেন এই প্রশ্নের উত্তর কে। ধরুন আপনি হয়তো কাজ করতে চান সন্মান অর্জন করার জন্য আবার অন্য কেউ হয়তো টাকা আয় করার জন্য। আবার কেউ হয়ত কাজ করেন পরিবারের ভালবাসার মানুষগুলোকে স্বচ্ছল ভাবে লালন পালন করার জন্য অথবা নিজের পছন্দের গাড়ি বা বাড়িটি নিজের টাকার তৈরি করার জন্য। মজার ব্যপার হচ্ছে একজন নেটওয়ার্কার যে কারনেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করুক না কেন, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং আপনাকে জীবনের প্রত্যেকটি চাওয়া পাওয়া পূরণ করার জন্য যথেষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারে। পৃথিবীতে হাতে গোনা দুই একটি প্রফেশন আছে যেখানে একই সাথে জীবনের সবগুলো চাওয়া কে পাওয়াতে পরিণত করা যায় যার মধ্যে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসা অন্যতম।
আর আপনি যদি কোন স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে চান তবে অবশ্য তার জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ হয়তোবা আপনার স্বপ্ন আপনি এখান থেকে সফল হয়ে আপনার নিজের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে বাবা মাকে নিয়ে হজ্জ্ব করতে চান। এখন আপনি কতদিন সময়ের মধ্যে স্বপ্নটি বাস্তবায়ন করতে চান তার একটি সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা জরুরী।
স্বপ্ন এবং লক্ষ্য দুটি কে যদি আপনি একটি ফ্রেমের মধ্যে নিয়ে আসতে পারেন তবে আপনার সফলতা অনেক দ্রুত আপনার হাতে ধরা দিবে। স্বপ্ন এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করার জন্য তিনটি ভিন্ন সময় কে হিসেব করে করলে ভাল ফলাফল আশা করা যায়। যেমনঃ
সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে অর্জন যোগ্য স্বপ্নঃ (৬ মাস থেকে ৯ মাস মেয়াদী)
মধ্যম মেয়াদী সময়ের মধ্যে অর্জন যোগ্য স্বপ্নঃ (১২ মাস থেকে ২৪ মাস মেয়াদী)
দীর্ঘ মেয়াদী সময়ের মধ্যে অর্জন যোগ্য স্বপ্নঃ (৩ বছর থেকে ৫ বছর মেয়াদী)
৪। সম্ভাব্য ক্রেতার সাথে যোগাযোগ বা আমন্ত্রন করা।
যে কোন ব্যবসা প্রসারিত করার জন্য প্রচারের কোন বিকল্প নেই। ট্রেডিশনাল ব্যবসার প্রচার করার জন্য বিপুল অংকের টাকা প্রচারে অর্থাৎ বিজ্ঞাপন বাবদ খরচ করা হয়। এক্ষেত্রে প্রচার মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হয় পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশন, কোন একটি প্রোগ্রাম এর স্পন্সর হওয়া ইত্যাদি। আর নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রচার অর্থাৎ বিজ্ঞাপন দেয়ার কাজটি করতে হয় একজন নেটওয়ার্কারকে নিজে নিজে। তিনি তার পরিচিত সম্ভাব্য ক্রেতাদের সাথে মৌখিক ভাবে প্রোডাক্ট এবং কাজের সুযোগ সম্পর্কে প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। আর এ প্রক্রিয়াকেই বলা হচ্ছে ইনভাইট বা আমন্ত্রন করা।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় সফলতা অর্জন করার জন্য সম্ভাব্য ক্রেতার সাথে যোগাযোগ বা আমন্ত্রন করা অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়। আর আমন্ত্রন করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসার পন্য এবং ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ো আলোচনা করার জন্য এপয়েন্টমেন্ট সেট করা। বিস্তারিত জানার জন্য ভিজিট করুনঃ বর্তমান সময়ে ইনভাইট
৫। ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা উপস্থাপন করা।
আপনি যে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানীতে কাজ শুরু করেছেন সে কোম্পানীর অবশ্যই একটি মার্কেটিং প্ল্যান আছে। মার্কেটিং প্ল্যান বলতে বুঝাতে চাচ্ছি ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় করনীয় সম্পর্কে জানানো, প্রোডাক্ট সম্পর্কে ধারনা এবং বিক্রি করার কৌশল, কমিশন বন্টন প্রক্রিয়া, বিভিন্ন ধাপে কাজের বিপরীতে প্রমোশন পাওয়ার বিষয় ইত্যাদি। আমন্ত্রিত অথিতির কাছ থেকে পাওয়া নির্ধারিত সময়ে সংক্ষিপ্ত আকারে উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করাকে ব্যবসায়ীক পরিকল্পণা উপস্থাপন করা বলা হয়। ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা কিভাবে উপস্থাপন করতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আপনার কোম্পানীর মার্কেটিং প্ল্যান বইটি ভালকরে মনোযোগের সহিত অন্ততঃ ৫ বার পড়ুন। পাশাপাশি ক্লোজিং ট্রেনিং এ অংশগ্রহন করুন।
৬। ক্লোজিং দেয়া।
ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা শেয়ার করার পর আপনার অতিথির মনে বেশকিছু প্রশ্ন জাগতে পারে। এমতাবস্থায়, আপনার অতিথিকে কাছি কাছি বসিয়ে আন্তরিকতার সাথে বলতে পারেন যে, আমার প্রাথমিক আলোচনা শেষ, এখন আপনার কোন প্রশ্ন আছে কি না? থাকলে আমার সাথে নির্ধিধায় শেয়ার করতে পারেন। এবার আপনার অতিথি যত গুলো প্রশ্ন করবেন তার প্রত্যেকটি একটি একটি করে কাগজে লিখে ফেলুন। প্রশ্ন করা শেষ হলে একটি একটি করে সঠিক তথ্য নির্ভর উত্তর প্রদান করুন। এই প্রক্রিয়াকেই বলা হচ্ছে ক্লোজিং দেয়া।
৭। ফলোআপ করা।
ক্লোজিং দেয়ার পর সাধারনত আপনার অতিথি আপনার সাথে বিদায় কুশল বিনিময় করে চলে যাবে। বাসায় যাবার পর আপনার প্রস্তাবিত বিষয় গুলো নিয়ে তিনি একান্ত ভাবে আরও চিন্তা করবেন। পাশা পাশি আপনার অতিথির বন্ধু-বান্ধব বা আত্মিয়-স্বজন দের সাথে বিষয়টি নিয়ে শেয়ার করতে পারে। যেহেতু আপনার অতিথি বিষয়টি নিয়ে একেবারেই নতুন এবং কম জানেন তাই তার পরিচিত ব্যক্তিদের কিছু প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক। যার ফলশ্রুতিতে তারা আপনার অতিথিকে বিষয়টি নিয়ে অপরিপক্ক মন্তব্য প্রদান করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এমতাবস্থতায় আপনার অতিথির মনে নতুন করে আরো কিছু প্রশ্নের উদ্রেগ হতে পারে। ঠিক এমনি সময়ে আপনার অতিথির সাথে পুনরায় যোগাযোগ করে তার নতুন প্রশ্ন গুলোর উত্তর সন্তুষ্টজনক উপায়ে উপস্থাপন করার প্রয়োজন হতে পারে। আর এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার অতিথি যখন সন্তুষ্ট হবে তখন তিনি জয়েন করার সিদ্ধান্ত নিবেন এবং জয়েন করবেন। আলোচিত উপরের এই প্রক্রিয়াটি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর ভাষায় ফলোআপ করা হিসেবে পরিচিত। বিস্তারিত জানার জন্য ভিজিট করুনঃ বর্তমান সময়ে ফলোআপ
৮। সাইন আপ করানো বা জয়েন করানো।
কোন একজন অতিথি আলোচিত সাতটি ধাপ এর মধ্যে আমন্ত্রন থেকে শুরু করে ফলোআপ ধাপ এর মধ্য দিয়ে পার হবার পর আপনার অতিথি যখন সন্তুষ্ট হবে তখনই তিনি একটি পন্য ক্রয় করে কাজ শুরু করার সিদ্ধন্ত নিবেন। এমতাবস্থায় আপনার অতিথিকে পন্য ক্রয় করার জন্য পন্য অর্ডার পত্র পূরণ করা এবং কাজ শুরু করার জন্য চুক্তি পত্র সম্পাদন করতে হতে পারে। এই প্রক্রিয়াকে সাইন আপ করানো বা জয়েন করানো বলা হয়। এক্ষেত্রে আপনার অতিথিকে দিয়ে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজ পত্র পূরণ করাবেন। তাতে করে তিনি প্রথম দিনেই শিখে ফেলতে পারবেন কি ভাবে উক্ত ফরম সমূহ পূরণ করতে হয়।
No comments:
Post a Comment