প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতিতে আমরা মূলত ৪ টি বিশেষ প্রক্রিয়ায় যে কোন একটি বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারি। এগুলো হচ্ছেঃ
১। বই পড়ার মাধ্যমে।
২। বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষন গ্রহন করার মাধ্যমে।
৩। সফল বা অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে অভিজ্ঞতা জানার মাধ্যমে।
৪। সরাসরি কাজ টি করার মাধ্যমে।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় এই চারটি ধাপকেই কিভাবে কাজে লাগানো যায় তার উপর ব্যখ্যা বিশ্লেষন এবং উদাহরন সহ নিম্নে আলোচনা করা হলো।
১। বই পড়ার মাধ্যমে।
- মার্কেটিং প্ল্যান বই
- বেসিকস্ অফ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
- এম.এল.এম ইনফরমেশন
- তুমিও জিতবে
- উচ্চাকাঙ্খার ম্যাজিক ইত্যাদি
বিঃদ্রঃ যখন বই পড়বেন তখন সাথে একটি পেন্সিল রাখবেন। যে বিষয়গুলো ভাল লাগবে তা আন্ডারলাইন করে রাখবেন। এভাবে পরবর্তীতে অল্প সময়ে আপনি তথ্যটি বের করে কাজে লাগাতে পারবেন।
২। বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষন গ্রহন করার মাধ্যমে।
- বেসিক ট্রেনিং ১,২,৩
- বিজনেজ ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং
- ইনভাইট ট্রেনিং
- ক্লোজিং ট্রেনিং
- ফলোআপ ট্রেনিং
- ভিশন ক্লিয়ার ট্রেনিং
- মেরাথন ট্রেনিং
- মোটিভেশনাল বা সেলিব্রেশন প্রোগ্রাম
বিঃদ্রঃ যখন ট্রেনিং গ্রহন করবেন তখন সাথে একটি ডায়েরী এবং কলম রাখবেন। যে বিষয়গুলো ভাল লাগবে তা ডায়েরীতে লিখে রাখবেন। এভাবে পরবর্তীতে অল্প সময়ে আপনি তথ্যটি বের করে কাজে লাগাতে পারবেন।
৩। সফল বা অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে অভিজ্ঞতা জানার মাধ্যমে।
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসার অন্যতম বড় সুবিধার দিক হচ্ছে যে, এই ব্যবসায় আপনি অন্যদের সহযোগীতা পাবেন খুব সহজেই। এক্ষেত্রে আপনার আপলাইন, হেল্পলাইন এমনকি ডাউনলাইন এর কাছ থেকেও সহযোগীতা নেয়া যায়। ট্রেডিশনাল ব্যবসায় এধরনের সহযোগীতা পাবার সুযোগ খুবই সীমিত থাকে।
যেমন ধরুনঃ আপনি কোন একটি হোটেল এর পাশে আরেকটি হোটেল ব্যবসা দিতে চাচ্ছেন। এখন আপনি যদি বর্তমানের হোটেল মালিকের কাছে গিয়ে এখানে হোটেল দিলে কেমন হবে এবং কিভাবে পরিচালনা করলে ভাল হয় এমন বিষয় নিয়ে পরামর্শ গ্রহন করতে চান। তবে আপনি দেখবেন অনেক ক্ষেত্রেই আপনাকে সঠিক বুদ্ধি দিতে চাইবে না, কারন আপনি এখানে হোটেল ব্যবসা খুললে বর্তমান হোটেলের কিছু কাস্টমার আপনার হোটেলে চলে যেতে পারে। অর্থাৎ ব্যবসায়ীক প্রতিযোগীতার কারনে আপনাকে মন খুলে সহযোগীতা করা হয় না।
অন্যদিকে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় আপনার সফলতার সাথে আপনার আপলাইন বা ডাউনলাইনের সফলতা জড়িত থাকে বিধায় তারা আপনাকে সহযোগীতা করতে সদা প্রস্তুত থাকে। এছাড়াও যেহেতু এই ব্যবসাটি বেশিরভাগ মানুষ পার্টটাইম কাজ হিসেবে শুরু করে থাকে তাই তারা তাদের নিজেদের অনুপস্থিতিতে যেন আপনার কাছ থেকে অফিসিয়াল এবং ব্যবসার বিভিন্ন কাজে সহযোগীতা পেতে পারে এই কারনে নিজেরাও আপনাকে ফ্রি সহযোগীতা করার মাধ্যমে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। যার ফলে আপলাইন বা ডাউন লাইন ছাড়াও হেল্পলাইন ব্যবসায়ীরাও আপনাকে সহযোগীতা করার জন্য সদা প্রস্তুত থাকে যা ট্রেডিশনাল ব্যবসায় খুবই বিরল।
আপনার একদিন আগেও যিনি এই ব্যবসাটি শুরু করেছে তিনি যদি নিয়মিত কাজের সাথে জড়িত থেকে থাকেন তবে নিঃসন্দেহে তিনি আপনার চেয়ে অভিজ্ঞ। বই পড়ে বা ট্রেনিং গ্রহন করার পর কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হলে উক্ত বিষয়টি নিয়ে আপনি সফল/অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করবেন। দেখবেন সঠিক সমাধান খুজে পাবেন। যা আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি বড় করতে সহযোগীতা করবে।
৪। সরাসরি কাজ টি করার মাধ্যমে।
উপরিউক্ত তিনটি ধাপ অর্থাৎ বই পড়া এবং প্রশিক্ষন গ্রহন করা এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করার মাধ্যমে শুধু ব্যবসা সম্পর্কিত সকল তথ্য পাওয়া যাবে। যেটাকে আমরা পুথিগত বিদ্যা বলে থাকি। এখন বিদ্যা বা জ্ঞানকে আমরা যখন কাজে লাগানো শুরু করব তখনই কেবল অভিজ্ঞতা তৈরি হবে। আর এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই আপনি আপনার সফলতাকে অনেক গুনে বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
ধরুন আপনি ট্রেনিং বা বই পড়ে শিখলেন কিভাবে একজন অতিথিকে ইনভাইট করতে হয়। এখন আপনি যখন বাস্তবিক ভাবে আপনার অতিথিকে ইনভাইট করতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনি আপনার প্রশিক্ষন লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ইনভাইট করবেন। কিন্তু আপনি হয়তো দেখবেন যে, আপনি আপনার অতিথির কাছ থেকে যেমনটি প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করেছিলেন হুবুহু সেরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে না।
এমতাবস্থায় আপনি কি করবেন? আপনি আপনার প্রত্যাশার বিপরীতে কি কি ব্যতিক্রম পেয়েছেন তা আপনার ডায়েরীতে নোট করবেন।
আবার আপনি আপনার প্রশিক্ষন লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে কোন অতিথিকে ফলোআপ করতে গেলেন এবং হয়তো সেখানে প্রত্যাশার সাথে ব্যতিক্রম কিছু অভিজ্ঞতা পেলেন। এইগুলোও আপনার ডায়েরীতে নোট করে ফেলূন। এখন এই নোট গুলো নিয়ে আপনি ধাপ ৩ এর সফল বা অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে তাদের সাথে আপনার ব্যতিক্রম অভিজ্ঞতা গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। দেখনবেন আপনি অনেক পরিপক্ক এবং সঠিক সমাধান খুজে পাবেন।
Thanhs
ReplyDelete