Sunday, 13 October 2013

আমরা প্রতিটি মানুষই ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি যে, সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। আপনার জীবনের যে কোনো ক্ষেত্রেই সততার প্রয়োজন অনস্বীকার্য। কারণ সততা ছাড়া আপনি কোনো ক্ষেত্রেই ভালো কিছু করতে পারবেন না, এমনকি তা আশা করাও আপনার জন্য ভুল। অসৎ পথে উপার্জন করলে আপনি আর্থিকভাবে সফল হলেও মানসিকভাবে সফল নন। কিন্তু সততা ধনী এবং দরিদ্র কারোরই একচেটিয়া নয়। ২ দলের মধ্যে যে কেউ সৎ বা অসৎ হতে পারে। আত্মসম্মানবোধ কম থাকলে অসমতা আসে। সত্যিকার সততা সঠিক কাজ করার ইচ্ছা থেকে পরিচালিত হয়, ধরা পড়ার ভয়ে নয়, তা কিছু লুকাতে চায় না। অনেকে মনে করেন যে, সততা তাদের সীমিত করে দেয়। বস্তুত উল্টোটাই সত্য। সততা লোকদের মিথ্যা থেকে মুক্ত করে এমন একটি পরিবেশের সৃষ্টি করে, যেখানে তারা খোলাখুলিভাবে আলাপ-আলোচনা করতে পারে, কাজে ঝুঁকি নিতে পারে এবং সৃজনশীল হতে পারে। 
একটি কথা আমরা বরাবরই শুনে থাকি যে, অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে সে গর্তে একসময় নিজেকে পড়তে হয়। এমন একজন বিত্তশালী কন্ট্রাক্টর তার ৩৫ বছরের সুপারভাইজারকে বলল, আমি একটা শেষ বাড়ি তৈরি করব, কিন্তু আমি এক বছরের জন্য চলে যাচ্ছি তাই বাড়িটা আমার হয়ে তুমি তৈরি করবে। অবশ্যই ভালো জিনিস ব্যবহার করবে, টাকার জন্য ভাববে না। এতদিন আমরা যে বাড়ি তৈরি করেছি, এ বাড়িটা সবটার চেয়ে শ্রেষ্ঠ হওয়া চাই। লোকটি নির্দেশ দিয়ে চলে গেল। সুপারভাইজারের শুরু হল_ ঈদ আনন্দ। কারণ তার টাকা কমানোর সহজ রাস্তা করে দিয়েছেন কন্ট্রাক্টর। সে বাড়ির ভেতর দিকে অত্যন্ত সস্তা জিনিস ব্যবহার করল এবং বাড়িটার ডিজাইন বা কারুকাজ এতই চমৎকারভাবে করেছিল, যা বর্ণনা করাই কঠিন। এক বছর পর কন্ট্রাক্টর ফিরে এল। সে সুপারভাইজারকে জিজ্ঞাসা করল, বাড়িটা সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? সুপারভাইজার উত্তর দিল, এ যাবৎ আমি যত বাড়ি তৈরি করেছি তার মধ্যে এ বাড়িটাই সেরা। কন্ট্রাক্টর বাড়ির দলিল সুপারভাইজারকে বুঝিয়ে দিয়ে বলল, তোমার জন্য এটা আমার বিদায় উপহার। ভেবে দেখুন অন্যকে ঠকাতে গেলে নিজে ঠকতে হয় কি না? এভাবে প্রতিনিয়ত অসৎ ব্যক্তিরা অন্যকে ঠকাতে গিয়ে নিজেরাই ফাঁদে পড়ে যায়। আপনার ভেতরে সদিচ্ছা থাকলে আপনি জিততে না পারলেও অন্তত ঠকবেন না। যদি কখনো অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়েন তবে তাতে নিজেকেই পড়তে হবে। অনেকে মনে করেন, যদি কেউ চুরি করে ধরা না পড়ে অথবা যার থেকে চুরি করা হয়, তার যদি প্রচুর থাকে তা হলে সেটা চুরি নয়, যে জিনিস আমার নয় তা যথাস্থানে ফেরত দেওয়ার সদিচ্ছা থাকলেও তা চুরি। কিছু সংখ্যক লোকের একটা সাধারণ অভ্যাস হচ্ছে, অন্যের জিনিস নিয়ে রেখে দিয়ে তা ন্যায্য বলে ভাবা। একজন তরুণী তার বন্ধুদের বলল, সে দাম না দিয়েই একটি জামা পেয়েছে। কারণ দোকানের কর্মচারী খেয়াল না করায় জামার দাম ধরেনি। সেও দাম না দেওয়ার জন্য কোনো বাধ্যবাধকতাবোধ করেনি। সে ভেবে নিল এটা তো কর্মচারীর দোষ। তার ভুলে আমার লাভ হয়েছে। এটা এক ধরনের চুরি বা অসৎ উপায়। চুরি বলতে শুধু মালপত্র চুরিই বোঝায় না। অন্যের ক্ষতি বুঝেও না বোঝার ভান করা_ এটাও এক প্রকার চুরি বা অসততা। এ ধরনের লোক কখনই সাফল্য হাতে পায় না। বরং হতাশায় পর্যবসিত হয়।সমালোচনা সফলতার হাতিয়ার

মানুষ হয়তো একদিন ভাবতে পারতো না কখনো লোহার তৈরি জাহাজ পানিতে ভাসবে। বিমান আকাশে উড়বে। পৃথিবীর এক প্রানেত্দ বসে অন্য প্রানেত্দ কথা বলতে পারবে। চিঠি বা এসএমএস কয়েক সেকেন্ডে পেঁনছে যাবে বিশেষ খবর অন্য প্রানেত্দ। মানুষ হয়তো এও ভাবেনি ডাইরেক্ট সেলিং ব্যবসা পৃথিবীতে এতটা জনপ্রিয়তা পাবে। র্বতমানে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা বহুমুখী পণ্য বিপণন পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। মানুষ নিজেদের প্রয়োজনের তাগিদেই এ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছেন। র্বতমানে এ পেশায় সফলতা লাভ করছেন অসংখ্য মানুষ। ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিচ্ছেন শুধু এ পেশাকে
প্রতিটি মানুষের একটি আশা বা স্বপ্ন থাকে। সে চাওয়া তার জীবনে পূরণ হোক বা না হোক। স্বপ্ন বা আশা ছেড়ে কোনো স্বাভাবিক মানুষ এ জগতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ আশা বা চাওয়াকে সামনে রেখেই একজন মানুষ অতিক্রম করে তার বাল্য কৌশল, যৌবন ও বার্ধক্য। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পর্বগুলোর মধ্যে যৌবনকালেকে বলা হয় গোল্ডেন এজ বা স্বর্ণালি যুগ। লর্ড বার্নার্ড শ বলেছেন, এ যৌবনের কাছে আমার তিনটি উপদেশ ১) কাজ কর ২) কাজ কর ৩) কাজ কর। তাই আপনি গভীরভাবে চিন্তা করুন কাজ ছাড়া কেউ কখনো বড় হতে পারে না। জীবনের সব শাখাকে পুষ্পপল্লবে সুসজ্জিত করতে হলে আমাদের তাই কোনো না কোনো কাজের মাধ্যমেই করতে হবে। প্রায়ই বলা হয় 'পরিশ্রমে ধন আনে, পুণ্যে আনে সুখ, আলস্যে দারিদ্র্য আনে। তাই আমরা আজ এখন থেকেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই আমরা আমাদের সময়কে আলস্যে বা হেলা ফেলায় নষ্ট করবো না। আমি এমন কাজ করবো বা আমার এ জীবনের সব চাহিদা পূরণ করে দেওয়ার পরও আমার ভবিষ্যৎ বংশধরদের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করে। দেয় পৃথিবীতে সঠিকভাবে বিচরণের নির্দেশনা। তাই সে স্বর্ণালি শিখরে বিচরণ করলে তাকে অমরত্মদান করবে। এরূপ একটি পেশার নাম মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। সারা বিশ্বেও এখন এ নেটওয়ার্কিং মার্কেটিংয়েই জয়জয়কার। এ পেশায় প্রতি সপ্তাহে আড়াই লাখেরও বেশি লোক যোগদান করছে। বর্তমানে সারাবিশ্বে ৩৭ কোটিরও বেশি লোক নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত। নেটওয়ার্ক পেশা হলো জাদুর পরশ, যারা তাকে পজিটিভলি গ্রহণ করে এবং নিয়মিত কাজ করে তাকে সে স্বর্ণ করে তোলে। আবার পরের জনকেও সে পরশ করে সেও সোনায় পরিণত হয়। অর্থাৎ এ পেশায় সফল লিডার থেকে আরো অনেক সফল লিডার তৈরি হয় তখন অতিরিক্ত যোগ্য ব্যক্তিটি তার সবরূপ কর্মেই দক্ষতার পরিচয় দেয়। সে জীবনে পিছ পা হয় না। তখন সে পৃথিবী অন্যরূপে দেখে। দেখে চারদিকে শুধু তার প্রাপ্তি, প্রাপ্তিতেই ভরে যায় তার ভুবন। সুখ তার জীবনে চারদিক দিয়ে এসে লুটোপুটি খায়। তাই বলা হয়- এম.এল.এম. অর্থ আনে/আনে সম্মান/সাধারণে দেখে শুধু/কেউ নাই তার সমান। 
সাধারণ মানুষেরা শুধু তাদের একই রূপ কাজ করেই জীবিকা। নির্বাহ করে। কখনো ভিন্ন কোনো পন্থা বা কৌশল অবলোকন করে না। তারা তাদের গতানুগতিক একই পেশার মাধ্যমে সব কাজ করে। ফলে জীবনে তেমন উন্নতি করতে পারে না। আপনি চিন্তা করুন আজকের নেটে সফল ব্যক্তিটি। এক সময় আপনার মতোই সাধারণ মানুষই ছিল না তিনি তার কর্মের মাধ্যমেই অনেকের এ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি বিন্দু বিন্দু করে নেটওয়ার্কে অগ্রসর হয়ে আজকে তার এ অবস্থানের পেছনে আছে এক গুচ্ছ শ্রমের ফল। তাই আর এখন থেকে শুধু তাকিয়ে থাকা নয় এখনই নেটওয়ার্কে কাজ করা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আপনি ইচ্ছে করলে এখন থেকেও কাজ করতে পারেন। এখান থেকে আপনি পাবেন জীবনে চলার জন্য বাস্তবমুখী বিভিন্নরূপ ট্রেনিং। কারণ ওদের আছে দক্ষ্য ট্রেনার যারা খুবই যুগোপযোগী ট্রেনিং দিয়ে থাকে। এ ব্যবসায় আপনি দিনে কতটুকু সময় দেবেন তা আপনার ইচ্ছার ওপরই নির্ভরশীল। এখানে এতো স্বাধীনতা আছে যে কারো কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না। মানতে বাধ্য করা হয় না কোনো বড় কর্তার নিয়ম। শুনতে হয় না কোনো গালমন্দ কথা। পৃথিবীতে এটিই মানে হয় একমাত্র পেশা। অনেকে তার প্রফেশনের পাশাপাশি প্রথমে পার্টটাইম ও পরে যখন বুঝতে পারে এর চেয়ে লাভজনক ব্যবসা পৃথিবীতে নেই। আর তখনই তিনি শুরু করেন ফুলটাইম হিসেবে। কোনো কিছুকে সিরিয়াস হওয়াই বুদ্ধিমানের লক্ষণ। আর তা যদি হয় এম.এল.এম. তবে তো কথাই নেই। জীবনের ভালো সিদ্ধান্তগুলো বা জীবনের ভালো কাজগুলো আগেভাগেই শেষ করতে হয়। তা না হলে সারাজীবনে আর তা করা নাও হয়ে উঠতে পারে। যেমন সব সময়ই একজন অশিক্ষিত মানুষের মুখ থেকে না হলেও অন্তর থেকে হলেও বের হয়ে আসে ইস আমি যদি শিক্ষিত হতাম। তবে জীবনও জগৎকে আরো সঠিকভাবে বুঝতে পারতাম। সর্বত্রই আমার বিচরণ হতো। মুক্ত বিহঙ্গের মতো। তেমনি আজকে শিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত ভাইয়েরা এখন ও যারা এ ব্যবসা করছেন না একসময় বলবেন ইস যদি আগে শুরু করতে পারতাম। বড় দেরি হয়ে গেছে তাই আর নয় অনুশোচনা; আর নয় শুধু পুথিগত বিদ্যা। আসুন সবাই মূল্যবান সময় নষ্ট না করে প্রতিটি মুহূর্তকে অফুরন্ত সম্ভাবনায় ভরে তুলি। সবাই হই মাল্টিলেভেল মার্কেটিং-এ সুশিক্ষিত। গড়ি আমার পৃথিবীকে স্বপ্ন দিয়ে আর যে স্বপ্নকে সত্যিকারে দু'চোখে দেয় দিনের আলোয়। যেখানে শুধু সুখ আর সুখ।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করি? Kazi ashraful Islam

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করি? এক কথায় উত্তর দিতে গেলে বলতে হয়, স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করি। প্রত্যেক মানুষই জীবনে সফলতা চায়। সফলতা কোনো সোনার হরিণ নয়। আপনি সফল এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ মানুষ জন্ম নিয়েছে সফল হওয়ার জন্য। মানুষের জীবনে ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই। তথাপি এমন লোকের নাগাল পাওয়া মোটেও কষ্টসাধ্য নয়, যে নিজেকে ভাগ্যের হাতে সঁপে দিয়ে বলে থাকে, সফলতা আমার জন্য নয়। আমার ভাগ্যটাই খারাপ। অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্পষ্টতই বলেছেন, 'যে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে না আমি তার ভাগ্যের পরিবর্তন করি না।' তার মানে হচ্ছে চাইতে হবে বা স্বপ্ন দেখতে হবে। কী রকম স্বপ্ন। নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন। মানুষ ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে না; যা দেখে তা ঘটে যাওয়া ঘটনার পুনরাবৃত্তি মাত্র। ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভেনিশ হয়ে যায়। মানুষ স্বপ্ন দেখবে জেগে জেগে। স্বপ্ন দেখে নিজের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করবে। প্রশ্ন জাগতে পারে, কেমন স্বপ্ন? এই স্বপ্নকে আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করবো। প্রথমত, ব্যক্তিগত স্বপ্ন। যে স্বপ্ন আমাদের সফলতার পথ দেখাবে। আমরা সবাই সফল হতে চাই; কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছি কী_ সফলতা কি? কেউ গান গেয়ে সফল হতে চাই, কেউ কবিতা লিখে সফল হতে চাই। কেউ পছন্দের খাবার খেয়ে নিজেকে সফল ব্যক্তি ভাবি। আবার কেউ ভালো বক্তৃতা করেও নিজেকে সফল ভাবি। এমনিভাবে চাকরি, ব্যবসা, বুদ্ধিবৃত্তি আরো বহুবিধভাবে আমরা নিজেকে সফল ভাবি। এসব ক্ষেত্রে অনেকের সফলতা আবার আকাশচুম্বী। মাঝে মধ্যে পত্রিকার পাতায় দেখি অমুক গাঁয়ের অমুক হাঁস-মুরগির খামার করে সফল। কেউ আবার বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করে সফল। সফলতার এই ধারাটিকেও কিন্তু কোনো অংশে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কেননা দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত একটি পরিবারের দুবেলা দু-মুঠো অন্নের সফলতাকে আমরা নিশ্চয়ই সম্মান করবো। কিন্তু প্রকৃত সফলতার কথা জানতে চাইলে আপাত সফল ব্যক্তির বুক চিরে একটি লম্বা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসবে_ কারণ এখনো তিনি তার পছন্দের বাড়িতে থাকেন না। তিনি তার পছন্দর গাড়িতে চড়তে পারেন না। তিনি তার পছন্দের জামাটি কিনতে পারেন না, পরিবারের চাহিদামতো খরচ করতে পারেন না। সুতরাং ব্যক্তিগত স্বপ্ন হবে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের যথার্থ বাস্তবায়ন। মানুষ পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ। তাই তাকে পারিবারিক স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য স্বপ্ন দেখতে হবে। আমরা আমাদের পরিবার-পরিজনকে ভালোবাসি। তাদের সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের প্রাণ আকুলি-বিকুলি করে। কিন্তু আমরা ক'জন বুকে সাহস নিয়ে এগিয়ে আসতে পারি। 'আমি আমার মাকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসি, তার জন্য জীবন বিলিয়ে দিতে আমার দ্বিধা নেই। আমি আমার স্ত্রী-সন্তানকে এত ভালোবাসি যে, তাদের জন্য জীবন বাজি রাখতে পারি'_ এসবই হচ্ছে আমাদের মুখের কথা। কারণ আমরা তাদের সত্যি সত্যিই ভালোবাসি। আসুন এই ভালোবাসার একটি প্রমাণ দেয়া যাক (খোদা না করুন)। 
একদিন স্কুল থেকে প্রচ- জ্বর নিয়ে আপনার প্রিয় সন্তানটি বাড়ি ফিরল। কয়েক দিন গেল। কোনো ওষুধে জ্বর সারছে না। আপনি দুশ্চিন্তায় ডুবে গেছেন। আপনার স্ত্রী অধৈর্য হয়ে উঠেছেন। অবশেষে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরীক্ষায় ধরা পড়লো আপনার সন্তানের লিউকোমিয়া অর্থাৎ বস্নাড ক্যান্সার। চিকিৎসার জন্য এক্ষুনি বিদেশে নেয়া দরকার। প্রাথমিক অবস্থা, সুচিকিৎসায় সেরে যাবে। তার চিকিৎসার জন্য লাখ বিশেক টাকা দরকার। সন্তানের জন্য আপনি অবশ্যই আপনার সর্বস্ব বিক্রি করে দিতে রাজি; কিন্তু আপনার পরিবার পরিজনের ভবিষ্যৎ? পরিবারের যে কোনো সদস্যের প্রয়োজন মেটাতে আপনি কি নিজেকে সব সময় প্রস্তুত রাখতে পেরেছেন? যদি উত্তর না-সূচক হয়; তাহলে? আপনাকে পারিবারিক স্বপ্ন দেখতে হবে। পরিবারের সবার মুখে হাসি ধরে রাখতে যা করা দরকার তার সন্ধান করতে হবে। মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা অনেক। আমাদের জাতীয় সংগীতে বলা হয়েছে 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি...'। আমরা আমাদের দেশকে সন্দেহাতীতভাবে ভালোবাসি। তাই তো ত্রিশ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করে বিশ্বের মানুষকে অবাক করে দিয়েছি। আমরা রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক স্বাধীনতা লাভ করেছি বটে; কিন্তু আজো অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পারিনি, যা আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পূর্বশর্ত ছিল। আপনি যখন স্বাধীন দেশের রাস্তায় মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে নিতে বুক ফুলিয়ে হাঁটতে থাকেন তখন আপনারই সন্তানের বয়সী একটি শিশু যখন ভিক্ষার জন্য হাত বাড়ায় তখন কি আপনার বুক চিরে একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে না? এই দীর্ঘশ্বাস কেন? তা কি কখনো নিজেকে প্রশ্ন করে দেখেছেন? মানুষের জন্য অনেক ভালো কাজ করার বাসনা আমাদের প্রত্যেকের মনেই লুকিয়ে আছে। আমরা ভালো কিছু করতে চাই। আমরা মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে চাই। আমাদের এই চাওয়ায় কোনো খাঁদ নেই। তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা একটাই তাহলো আমরা এখনো নিজেকে অর্থনৈতিকভাবে মুক্তি দিতে পারিনি। সুতরাং অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করা মানেই এম.এল.এম. বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। দ্রুত এবং কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্য অর্জনে নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। 
আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, বিবেক বুদ্ধি ও প্রয়োজনীয় সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিয়েই সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সুচিন্তিতভাবে এবং আত্মবিশ্বাস সহকারে অগ্রসর হওয়া মানেই হচ্ছে অনিবার্য এবং অবধারিত সফলতা। জীবনে এই সফলতার জন্য যে জিনিসটির বেশি প্রয়োজন তা হচ্ছে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। জীবনে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দরকার। কোনোভাবেই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণযোগ্য নয়। জীবনে সমস্যা আসতেই পারে এটা খুবই স্বাভাবিক। সফল মানুষ মাঝে মধ্যে সমস্যা বা ব্যর্থতাকে ওয়েলকাম করেন। যারা সৎ, সাহসী, ন্যায়পরায়ণ এবং অধ্যবসায়ী, যশ খ্যাতি এবং প্রতিষ্ঠা তাদের পায়ে লুটিয়ে পড়ে। সফল মানুষ মনে করেন অপরাপর সব মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করা এবং তা টিকিয়ে রাখা তার নিজের দায়িত্ব। আর এসবই সম্ভব জীবনে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এমনই একটি কর্মসাধনা, যার দ্বারা একজন মানুষ ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে নিজেকে সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মোৎসর্গ করতে পারে। আর এ কারণেই আমি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করি।