Sunday, 13 October 2013

আমরা প্রতিটি মানুষই ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি যে, সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। আপনার জীবনের যে কোনো ক্ষেত্রেই সততার প্রয়োজন অনস্বীকার্য। কারণ সততা ছাড়া আপনি কোনো ক্ষেত্রেই ভালো কিছু করতে পারবেন না, এমনকি তা আশা করাও আপনার জন্য ভুল। অসৎ পথে উপার্জন করলে আপনি আর্থিকভাবে সফল হলেও মানসিকভাবে সফল নন। কিন্তু সততা ধনী এবং দরিদ্র কারোরই একচেটিয়া নয়। ২ দলের মধ্যে যে কেউ সৎ বা অসৎ হতে পারে। আত্মসম্মানবোধ কম থাকলে অসমতা আসে। সত্যিকার সততা সঠিক কাজ করার ইচ্ছা থেকে পরিচালিত হয়, ধরা পড়ার ভয়ে নয়, তা কিছু লুকাতে চায় না। অনেকে মনে করেন যে, সততা তাদের সীমিত করে দেয়। বস্তুত উল্টোটাই সত্য। সততা লোকদের মিথ্যা থেকে মুক্ত করে এমন একটি পরিবেশের সৃষ্টি করে, যেখানে তারা খোলাখুলিভাবে আলাপ-আলোচনা করতে পারে, কাজে ঝুঁকি নিতে পারে এবং সৃজনশীল হতে পারে। 
একটি কথা আমরা বরাবরই শুনে থাকি যে, অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়লে সে গর্তে একসময় নিজেকে পড়তে হয়। এমন একজন বিত্তশালী কন্ট্রাক্টর তার ৩৫ বছরের সুপারভাইজারকে বলল, আমি একটা শেষ বাড়ি তৈরি করব, কিন্তু আমি এক বছরের জন্য চলে যাচ্ছি তাই বাড়িটা আমার হয়ে তুমি তৈরি করবে। অবশ্যই ভালো জিনিস ব্যবহার করবে, টাকার জন্য ভাববে না। এতদিন আমরা যে বাড়ি তৈরি করেছি, এ বাড়িটা সবটার চেয়ে শ্রেষ্ঠ হওয়া চাই। লোকটি নির্দেশ দিয়ে চলে গেল। সুপারভাইজারের শুরু হল_ ঈদ আনন্দ। কারণ তার টাকা কমানোর সহজ রাস্তা করে দিয়েছেন কন্ট্রাক্টর। সে বাড়ির ভেতর দিকে অত্যন্ত সস্তা জিনিস ব্যবহার করল এবং বাড়িটার ডিজাইন বা কারুকাজ এতই চমৎকারভাবে করেছিল, যা বর্ণনা করাই কঠিন। এক বছর পর কন্ট্রাক্টর ফিরে এল। সে সুপারভাইজারকে জিজ্ঞাসা করল, বাড়িটা সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? সুপারভাইজার উত্তর দিল, এ যাবৎ আমি যত বাড়ি তৈরি করেছি তার মধ্যে এ বাড়িটাই সেরা। কন্ট্রাক্টর বাড়ির দলিল সুপারভাইজারকে বুঝিয়ে দিয়ে বলল, তোমার জন্য এটা আমার বিদায় উপহার। ভেবে দেখুন অন্যকে ঠকাতে গেলে নিজে ঠকতে হয় কি না? এভাবে প্রতিনিয়ত অসৎ ব্যক্তিরা অন্যকে ঠকাতে গিয়ে নিজেরাই ফাঁদে পড়ে যায়। আপনার ভেতরে সদিচ্ছা থাকলে আপনি জিততে না পারলেও অন্তত ঠকবেন না। যদি কখনো অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়েন তবে তাতে নিজেকেই পড়তে হবে। অনেকে মনে করেন, যদি কেউ চুরি করে ধরা না পড়ে অথবা যার থেকে চুরি করা হয়, তার যদি প্রচুর থাকে তা হলে সেটা চুরি নয়, যে জিনিস আমার নয় তা যথাস্থানে ফেরত দেওয়ার সদিচ্ছা থাকলেও তা চুরি। কিছু সংখ্যক লোকের একটা সাধারণ অভ্যাস হচ্ছে, অন্যের জিনিস নিয়ে রেখে দিয়ে তা ন্যায্য বলে ভাবা। একজন তরুণী তার বন্ধুদের বলল, সে দাম না দিয়েই একটি জামা পেয়েছে। কারণ দোকানের কর্মচারী খেয়াল না করায় জামার দাম ধরেনি। সেও দাম না দেওয়ার জন্য কোনো বাধ্যবাধকতাবোধ করেনি। সে ভেবে নিল এটা তো কর্মচারীর দোষ। তার ভুলে আমার লাভ হয়েছে। এটা এক ধরনের চুরি বা অসৎ উপায়। চুরি বলতে শুধু মালপত্র চুরিই বোঝায় না। অন্যের ক্ষতি বুঝেও না বোঝার ভান করা_ এটাও এক প্রকার চুরি বা অসততা। এ ধরনের লোক কখনই সাফল্য হাতে পায় না। বরং হতাশায় পর্যবসিত হয়।সমালোচনা সফলতার হাতিয়ার

মানুষ হয়তো একদিন ভাবতে পারতো না কখনো লোহার তৈরি জাহাজ পানিতে ভাসবে। বিমান আকাশে উড়বে। পৃথিবীর এক প্রানেত্দ বসে অন্য প্রানেত্দ কথা বলতে পারবে। চিঠি বা এসএমএস কয়েক সেকেন্ডে পেঁনছে যাবে বিশেষ খবর অন্য প্রানেত্দ। মানুষ হয়তো এও ভাবেনি ডাইরেক্ট সেলিং ব্যবসা পৃথিবীতে এতটা জনপ্রিয়তা পাবে। র্বতমানে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা বহুমুখী পণ্য বিপণন পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। মানুষ নিজেদের প্রয়োজনের তাগিদেই এ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছেন। র্বতমানে এ পেশায় সফলতা লাভ করছেন অসংখ্য মানুষ। ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিচ্ছেন শুধু এ পেশাকে
প্রতিটি মানুষের একটি আশা বা স্বপ্ন থাকে। সে চাওয়া তার জীবনে পূরণ হোক বা না হোক। স্বপ্ন বা আশা ছেড়ে কোনো স্বাভাবিক মানুষ এ জগতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ আশা বা চাওয়াকে সামনে রেখেই একজন মানুষ অতিক্রম করে তার বাল্য কৌশল, যৌবন ও বার্ধক্য। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পর্বগুলোর মধ্যে যৌবনকালেকে বলা হয় গোল্ডেন এজ বা স্বর্ণালি যুগ। লর্ড বার্নার্ড শ বলেছেন, এ যৌবনের কাছে আমার তিনটি উপদেশ ১) কাজ কর ২) কাজ কর ৩) কাজ কর। তাই আপনি গভীরভাবে চিন্তা করুন কাজ ছাড়া কেউ কখনো বড় হতে পারে না। জীবনের সব শাখাকে পুষ্পপল্লবে সুসজ্জিত করতে হলে আমাদের তাই কোনো না কোনো কাজের মাধ্যমেই করতে হবে। প্রায়ই বলা হয় 'পরিশ্রমে ধন আনে, পুণ্যে আনে সুখ, আলস্যে দারিদ্র্য আনে। তাই আমরা আজ এখন থেকেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই আমরা আমাদের সময়কে আলস্যে বা হেলা ফেলায় নষ্ট করবো না। আমি এমন কাজ করবো বা আমার এ জীবনের সব চাহিদা পূরণ করে দেওয়ার পরও আমার ভবিষ্যৎ বংশধরদের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করে। দেয় পৃথিবীতে সঠিকভাবে বিচরণের নির্দেশনা। তাই সে স্বর্ণালি শিখরে বিচরণ করলে তাকে অমরত্মদান করবে। এরূপ একটি পেশার নাম মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। সারা বিশ্বেও এখন এ নেটওয়ার্কিং মার্কেটিংয়েই জয়জয়কার। এ পেশায় প্রতি সপ্তাহে আড়াই লাখেরও বেশি লোক যোগদান করছে। বর্তমানে সারাবিশ্বে ৩৭ কোটিরও বেশি লোক নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত। নেটওয়ার্ক পেশা হলো জাদুর পরশ, যারা তাকে পজিটিভলি গ্রহণ করে এবং নিয়মিত কাজ করে তাকে সে স্বর্ণ করে তোলে। আবার পরের জনকেও সে পরশ করে সেও সোনায় পরিণত হয়। অর্থাৎ এ পেশায় সফল লিডার থেকে আরো অনেক সফল লিডার তৈরি হয় তখন অতিরিক্ত যোগ্য ব্যক্তিটি তার সবরূপ কর্মেই দক্ষতার পরিচয় দেয়। সে জীবনে পিছ পা হয় না। তখন সে পৃথিবী অন্যরূপে দেখে। দেখে চারদিকে শুধু তার প্রাপ্তি, প্রাপ্তিতেই ভরে যায় তার ভুবন। সুখ তার জীবনে চারদিক দিয়ে এসে লুটোপুটি খায়। তাই বলা হয়- এম.এল.এম. অর্থ আনে/আনে সম্মান/সাধারণে দেখে শুধু/কেউ নাই তার সমান। 
সাধারণ মানুষেরা শুধু তাদের একই রূপ কাজ করেই জীবিকা। নির্বাহ করে। কখনো ভিন্ন কোনো পন্থা বা কৌশল অবলোকন করে না। তারা তাদের গতানুগতিক একই পেশার মাধ্যমে সব কাজ করে। ফলে জীবনে তেমন উন্নতি করতে পারে না। আপনি চিন্তা করুন আজকের নেটে সফল ব্যক্তিটি। এক সময় আপনার মতোই সাধারণ মানুষই ছিল না তিনি তার কর্মের মাধ্যমেই অনেকের এ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি বিন্দু বিন্দু করে নেটওয়ার্কে অগ্রসর হয়ে আজকে তার এ অবস্থানের পেছনে আছে এক গুচ্ছ শ্রমের ফল। তাই আর এখন থেকে শুধু তাকিয়ে থাকা নয় এখনই নেটওয়ার্কে কাজ করা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আপনি ইচ্ছে করলে এখন থেকেও কাজ করতে পারেন। এখান থেকে আপনি পাবেন জীবনে চলার জন্য বাস্তবমুখী বিভিন্নরূপ ট্রেনিং। কারণ ওদের আছে দক্ষ্য ট্রেনার যারা খুবই যুগোপযোগী ট্রেনিং দিয়ে থাকে। এ ব্যবসায় আপনি দিনে কতটুকু সময় দেবেন তা আপনার ইচ্ছার ওপরই নির্ভরশীল। এখানে এতো স্বাধীনতা আছে যে কারো কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না। মানতে বাধ্য করা হয় না কোনো বড় কর্তার নিয়ম। শুনতে হয় না কোনো গালমন্দ কথা। পৃথিবীতে এটিই মানে হয় একমাত্র পেশা। অনেকে তার প্রফেশনের পাশাপাশি প্রথমে পার্টটাইম ও পরে যখন বুঝতে পারে এর চেয়ে লাভজনক ব্যবসা পৃথিবীতে নেই। আর তখনই তিনি শুরু করেন ফুলটাইম হিসেবে। কোনো কিছুকে সিরিয়াস হওয়াই বুদ্ধিমানের লক্ষণ। আর তা যদি হয় এম.এল.এম. তবে তো কথাই নেই। জীবনের ভালো সিদ্ধান্তগুলো বা জীবনের ভালো কাজগুলো আগেভাগেই শেষ করতে হয়। তা না হলে সারাজীবনে আর তা করা নাও হয়ে উঠতে পারে। যেমন সব সময়ই একজন অশিক্ষিত মানুষের মুখ থেকে না হলেও অন্তর থেকে হলেও বের হয়ে আসে ইস আমি যদি শিক্ষিত হতাম। তবে জীবনও জগৎকে আরো সঠিকভাবে বুঝতে পারতাম। সর্বত্রই আমার বিচরণ হতো। মুক্ত বিহঙ্গের মতো। তেমনি আজকে শিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত ভাইয়েরা এখন ও যারা এ ব্যবসা করছেন না একসময় বলবেন ইস যদি আগে শুরু করতে পারতাম। বড় দেরি হয়ে গেছে তাই আর নয় অনুশোচনা; আর নয় শুধু পুথিগত বিদ্যা। আসুন সবাই মূল্যবান সময় নষ্ট না করে প্রতিটি মুহূর্তকে অফুরন্ত সম্ভাবনায় ভরে তুলি। সবাই হই মাল্টিলেভেল মার্কেটিং-এ সুশিক্ষিত। গড়ি আমার পৃথিবীকে স্বপ্ন দিয়ে আর যে স্বপ্নকে সত্যিকারে দু'চোখে দেয় দিনের আলোয়। যেখানে শুধু সুখ আর সুখ।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করি? Kazi ashraful Islam

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করি? এক কথায় উত্তর দিতে গেলে বলতে হয়, স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করি। প্রত্যেক মানুষই জীবনে সফলতা চায়। সফলতা কোনো সোনার হরিণ নয়। আপনি সফল এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ মানুষ জন্ম নিয়েছে সফল হওয়ার জন্য। মানুষের জীবনে ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই। তথাপি এমন লোকের নাগাল পাওয়া মোটেও কষ্টসাধ্য নয়, যে নিজেকে ভাগ্যের হাতে সঁপে দিয়ে বলে থাকে, সফলতা আমার জন্য নয়। আমার ভাগ্যটাই খারাপ। অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্পষ্টতই বলেছেন, 'যে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে না আমি তার ভাগ্যের পরিবর্তন করি না।' তার মানে হচ্ছে চাইতে হবে বা স্বপ্ন দেখতে হবে। কী রকম স্বপ্ন। নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন। মানুষ ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে না; যা দেখে তা ঘটে যাওয়া ঘটনার পুনরাবৃত্তি মাত্র। ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভেনিশ হয়ে যায়। মানুষ স্বপ্ন দেখবে জেগে জেগে। স্বপ্ন দেখে নিজের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করবে। প্রশ্ন জাগতে পারে, কেমন স্বপ্ন? এই স্বপ্নকে আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করবো। প্রথমত, ব্যক্তিগত স্বপ্ন। যে স্বপ্ন আমাদের সফলতার পথ দেখাবে। আমরা সবাই সফল হতে চাই; কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছি কী_ সফলতা কি? কেউ গান গেয়ে সফল হতে চাই, কেউ কবিতা লিখে সফল হতে চাই। কেউ পছন্দের খাবার খেয়ে নিজেকে সফল ব্যক্তি ভাবি। আবার কেউ ভালো বক্তৃতা করেও নিজেকে সফল ভাবি। এমনিভাবে চাকরি, ব্যবসা, বুদ্ধিবৃত্তি আরো বহুবিধভাবে আমরা নিজেকে সফল ভাবি। এসব ক্ষেত্রে অনেকের সফলতা আবার আকাশচুম্বী। মাঝে মধ্যে পত্রিকার পাতায় দেখি অমুক গাঁয়ের অমুক হাঁস-মুরগির খামার করে সফল। কেউ আবার বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করে সফল। সফলতার এই ধারাটিকেও কিন্তু কোনো অংশে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কেননা দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত একটি পরিবারের দুবেলা দু-মুঠো অন্নের সফলতাকে আমরা নিশ্চয়ই সম্মান করবো। কিন্তু প্রকৃত সফলতার কথা জানতে চাইলে আপাত সফল ব্যক্তির বুক চিরে একটি লম্বা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসবে_ কারণ এখনো তিনি তার পছন্দের বাড়িতে থাকেন না। তিনি তার পছন্দর গাড়িতে চড়তে পারেন না। তিনি তার পছন্দের জামাটি কিনতে পারেন না, পরিবারের চাহিদামতো খরচ করতে পারেন না। সুতরাং ব্যক্তিগত স্বপ্ন হবে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের যথার্থ বাস্তবায়ন। মানুষ পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ। তাই তাকে পারিবারিক স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য স্বপ্ন দেখতে হবে। আমরা আমাদের পরিবার-পরিজনকে ভালোবাসি। তাদের সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের প্রাণ আকুলি-বিকুলি করে। কিন্তু আমরা ক'জন বুকে সাহস নিয়ে এগিয়ে আসতে পারি। 'আমি আমার মাকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসি, তার জন্য জীবন বিলিয়ে দিতে আমার দ্বিধা নেই। আমি আমার স্ত্রী-সন্তানকে এত ভালোবাসি যে, তাদের জন্য জীবন বাজি রাখতে পারি'_ এসবই হচ্ছে আমাদের মুখের কথা। কারণ আমরা তাদের সত্যি সত্যিই ভালোবাসি। আসুন এই ভালোবাসার একটি প্রমাণ দেয়া যাক (খোদা না করুন)। 
একদিন স্কুল থেকে প্রচ- জ্বর নিয়ে আপনার প্রিয় সন্তানটি বাড়ি ফিরল। কয়েক দিন গেল। কোনো ওষুধে জ্বর সারছে না। আপনি দুশ্চিন্তায় ডুবে গেছেন। আপনার স্ত্রী অধৈর্য হয়ে উঠেছেন। অবশেষে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরীক্ষায় ধরা পড়লো আপনার সন্তানের লিউকোমিয়া অর্থাৎ বস্নাড ক্যান্সার। চিকিৎসার জন্য এক্ষুনি বিদেশে নেয়া দরকার। প্রাথমিক অবস্থা, সুচিকিৎসায় সেরে যাবে। তার চিকিৎসার জন্য লাখ বিশেক টাকা দরকার। সন্তানের জন্য আপনি অবশ্যই আপনার সর্বস্ব বিক্রি করে দিতে রাজি; কিন্তু আপনার পরিবার পরিজনের ভবিষ্যৎ? পরিবারের যে কোনো সদস্যের প্রয়োজন মেটাতে আপনি কি নিজেকে সব সময় প্রস্তুত রাখতে পেরেছেন? যদি উত্তর না-সূচক হয়; তাহলে? আপনাকে পারিবারিক স্বপ্ন দেখতে হবে। পরিবারের সবার মুখে হাসি ধরে রাখতে যা করা দরকার তার সন্ধান করতে হবে। মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা অনেক। আমাদের জাতীয় সংগীতে বলা হয়েছে 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি...'। আমরা আমাদের দেশকে সন্দেহাতীতভাবে ভালোবাসি। তাই তো ত্রিশ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করে বিশ্বের মানুষকে অবাক করে দিয়েছি। আমরা রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক স্বাধীনতা লাভ করেছি বটে; কিন্তু আজো অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পারিনি, যা আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পূর্বশর্ত ছিল। আপনি যখন স্বাধীন দেশের রাস্তায় মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে নিতে বুক ফুলিয়ে হাঁটতে থাকেন তখন আপনারই সন্তানের বয়সী একটি শিশু যখন ভিক্ষার জন্য হাত বাড়ায় তখন কি আপনার বুক চিরে একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে না? এই দীর্ঘশ্বাস কেন? তা কি কখনো নিজেকে প্রশ্ন করে দেখেছেন? মানুষের জন্য অনেক ভালো কাজ করার বাসনা আমাদের প্রত্যেকের মনেই লুকিয়ে আছে। আমরা ভালো কিছু করতে চাই। আমরা মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে চাই। আমাদের এই চাওয়ায় কোনো খাঁদ নেই। তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা একটাই তাহলো আমরা এখনো নিজেকে অর্থনৈতিকভাবে মুক্তি দিতে পারিনি। সুতরাং অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করা মানেই এম.এল.এম. বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। দ্রুত এবং কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্য অর্জনে নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। 
আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, বিবেক বুদ্ধি ও প্রয়োজনীয় সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিয়েই সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সুচিন্তিতভাবে এবং আত্মবিশ্বাস সহকারে অগ্রসর হওয়া মানেই হচ্ছে অনিবার্য এবং অবধারিত সফলতা। জীবনে এই সফলতার জন্য যে জিনিসটির বেশি প্রয়োজন তা হচ্ছে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। জীবনে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দরকার। কোনোভাবেই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণযোগ্য নয়। জীবনে সমস্যা আসতেই পারে এটা খুবই স্বাভাবিক। সফল মানুষ মাঝে মধ্যে সমস্যা বা ব্যর্থতাকে ওয়েলকাম করেন। যারা সৎ, সাহসী, ন্যায়পরায়ণ এবং অধ্যবসায়ী, যশ খ্যাতি এবং প্রতিষ্ঠা তাদের পায়ে লুটিয়ে পড়ে। সফল মানুষ মনে করেন অপরাপর সব মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করা এবং তা টিকিয়ে রাখা তার নিজের দায়িত্ব। আর এসবই সম্ভব জীবনে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এমনই একটি কর্মসাধনা, যার দ্বারা একজন মানুষ ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে নিজেকে সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মোৎসর্গ করতে পারে। আর এ কারণেই আমি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করি।

Friday, 6 September 2013

ডিসট্রিবিঊটার ঝরে যাওয়ার কিছু কারন ও তার সমাধান (পর্ব-১)

Kazi Ashraful Islam
সালাম সকলকে-
অনেকদিন পর আবার লিখছি। ব্যস্ততার কারনে অনেকদিন ব্লগিং এ ছিলাম না। বন্ধুরা আজকে আমরা ডিসট্রিবিটর তৈরীতে করনীয় এবং ঝড়ে যাওয়ার আমার দেখা কয়েকটি কারন উল্লেখ করবো।

যদি আপনাদের সাথে একটিও মিল খুজে পান অবশ্যই জানাবেন। কেননা ব্যবসার শুরুতে এই ভুল্গুলো আমরা অনেকেই করে থাকে।
আজকে আমি, একদম আমার এবং আমাদের করা ভুলগুলো কথা বলবো তাই কথাগুলো ফ্রী ভাবে বলছি।

এটি একটি হ্ময়ষ্ণু ব্যবসা কারন এটা যখন হ্ময় হয় তখন আপনাকে কোন মেসেজ দিয়ে যায় না।

যেমন- ধরুন আপনি একদিন কোথায় রিক্সা দিয়ে যাচ্ছেন হটাৎ আপনাকে ছিনতাইকারীরা ধরলো।তখন তারা আপনার কাছে যা আছে তা দিতে বললো। এ সময় আপনি আপনার সাথে যা আছে তা দিয়ে দিলেন অথবা না থাকলে বললেন কিছু নাই। যখন নাই বলবেন তখন তারা কি বলবে। আপনাকে একটা চড় দিতে পারে। (মনে হতে পারে আমি এরকম উদা কেন দিলাম)

কিন্তু আমাদের ব্যবসার হ্মেত্রে এই ব্যপারটার বিপরীত ঘটে। খেয়াল করুন আপনার বা আমার ডিসট্রিবিউর যখন ব্যবসাটা ছেড়ে দেয়, তখন কি তারা তার কারন বা আমার অন্যায়টা বলে যা অথবা কোন চড় দিয়ে যায় ।না এরকম টা হয় না,তাড়া নিরবে চলে যায়।
এখন প্রশ্নটা হল কেন?

হ্যাঁ ভুলটা অবশ্যই আপনার অথবা আমার।

আমাদের কিছু ছোটখাটো ভুলের কারনে এটা ঘটে-
যেমন ধরুন-
আপনার BC যে সাইট week আপনি সে পাশে সময় বেশী দিচ্ছেন। এটা আমরা সাধারণত করে থাকি।  ধরুন আপনি সেই সাইট এর একজন গেস্ট নিয়ে প্লান করছেন ,ঠিক ওই সময় আপনার strong সাইট এর একটি ছেলে একজন গেস্ট নিয়ে এসেছে ।সে আপনাকে ভাল প্লানার বলে যানে তাই আপনাকে প্লান করতে বললো,আপনি কি করলেন তাকে বললেন যে, দেখছেন না আমি একটু ব্যস্ত।

তখন ওই ডিসট্রিবিউটার কি করলো তার গেস্ট নিয়ে সে বসে প্লান করতে ভয় পায় ,কি করবে সে তার সাথে কথাবার্তা বলে চলে গেল।
কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, সে মনে মনে আপানার ব্যাপারে খারাপ ধারনা পোষন করে ফেলেছে।যে আজকে আমাকে সময় দিলে না দাড়াঁও।আমিও তোমাকে দেখাবো। তারমানে তার উপর আপানার লিডারশিপ ডাউন হল।
কিন্তু সে কি আপনাকে কিছু বলেছে না! 

উৎসাহ পেলে সামনে এগুবো,সাথে আছেন তো-
তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করুন- +60196536002

কেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং (নতুনদের জন্য)

 Why Network marketing?

হ্যাঁ বন্ধু,কেমন আছ নিশ্চই ভাল।আমি 

হয়তো ভাবছো এটা কেমন পাগলামি।ওকে হয়তো তুমি রাইট ----  

হ্যাঁ এটা অনেকের জন্য পাগলামি, আবার হতে পারে এটা তোমার অর্থনৈতিক সম্যাসার মুক্তির পথ। 

অবশ্যই আমরা এখানে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং নিয়ে কথা বলবো।কেননা পশ্চিমা পৃথিবীতে এটাকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর চতুর্থ বিপ্লব। আর এটা এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনি অল্প সময়ে আপনার ক্যারিয়ার তৈরী করতে পারবেন।

কেননা আমার মনে হয় ,সব বিষয়ের ই একটা ভাল লাগার বয়স বা সময় আছে। ধরুন আপনার বয়স ১৮-২৫ । এ সময়ে আপনি একটি বাইক চালিয়ে বা অলংকার পরে যে অনুভুতি হবে অবশ্যই ৪০+ সেরকম হবে না।

কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, আমাদের অনেকের ই ১৮-২৫ এর সময় এগুলো কেনার মত অর্থ থাকে না ।আবার ৪০+ আমরা এগুলো অর্জন করতে পারি কিন্ত -----।

আমিতো একটির উদাহরন দিলাম এরকমের নানা শখ  থাকে,যা অসহায়ভাবে হারিয়ে যায়।

কিন্তু নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ আমরা আমাদের অনার্স শেষ করার পুর্বেই অর্থাৎ ৪-৫ বছরে আমরা চাকুরীর ৩০ বছরের সফলতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারি। ১৮-২৫ এর ভিতরেই বাবা-মার জন্য অনেক কিছু করতে পারি ।

এছাড়াও উল্লেখযোগ্য কিছু বিউটি হচ্ছে-

তাই মার্কেটিং প্লানটি দেখুন আর অনুধাবন করার চেষ্টা করুন  বিল ক্লিংটন, রবার্ট কোয়াসাকির মত পৃথিবী বড় ধনকুবরা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করছে ও অন্যকে উৎসাহিত করছে।

বন্ধু আপনাকে ধন্যবাদ সময় নিয়ে এটি পড়ার জন্য- যেকোন জিজ্ঞাসা-+60196536002

দেখুন-


Tuesday, 27 August 2013

Why Network Marketing business is Important for YOU ?

As Robert Kiyosaki says:

“You cannot become rich working for others”,
most people today never earn an above average income because they only get paid when they are working. When they quit working they quit getting paid.

How would it be if you grow money tree? In other words how would you like to develop a business that would create a continual stream of ongoing income that would continue to flow to you whether you went to work or not?
Since Network Marketing allows you to build an organization of hundreds or even thousands of other people from whose sales efforts, you can earn an income, your income will not be limited to you and your work alone.

Once you truly understand this principle it will be difficult for you to work for temporary income and lifestyle.

This is the only industry which makes an ordinary person to an extra ordinary success with Financial Freedom, Time Freedom, Peace of mind, Positive new friends?..etc.
In other words it makes you complete successful person. Network Marketing is nothing but a LIFE STYLE, Incredible, and Unbelievable Lifestyle.

Kazi ashraful Islam 
Founder Brand partner of
Enloving International 

Sunday, 18 August 2013

ব্যবসা বৈধ বা হালাল হওয়ার জন্য ইসলাম নিম্নলিখিত ৭টি শর্তের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। সেগুলো হলো-



১। ক্রেতা ও বিক্রেতার উভয়ের সুস্থ মস্তিস্ক সম্পন্ন হওয়া 
২। ক্রেতা ও বিক্রেতা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া 
৩। বিক্রিত পণ্য যেন হালাল হয় 
৪। পন্যের মালিকানা হস্তান্তরযোগ্য হওয়া 
৫। বিক্রিত পণ্যের উপর বিক্রেতার পূর্ণ মালিকানা থাকা 
৬। বিক্রিত পণ্যের উপর অন্যের হক বা অধিকার না থাকা 
৭। পণ্য গ্রহণে সন্তুষ্টি বজায় থাকার জন্য ক্রেতার প্রতি বিক্রেতার পণ্য বর্ণনায় স্বচ্ছতা থাকতে হবে এবং ক্রেতা স্বচ্ছ ও বর্ণনা মতে সঠিক পণ্যটি যাতে পেতে পারেন। 

এই ৭টি শর্তই Enloving পূরণ করে। আর তাই Enloving এর ব্যবসা ১০০ ভাগ হালাল।

এমএলএম পদ্ধতিতে কিভাবে পণ্য বিপণন করা হয়?


প্রচলিত পদ্ধতিতে একটি পণ্য উৎপাদিত হয়ে সরাসরি ক্রেতা বা ব্যবহারকারীর নিকট যেতে পারে না। একটি পণ্য উৎপাদন করতে যে খরচ হয় সেই খরচের সাথে লভ্যাংশ যোগ করে সংশি¬ষ্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি একসাথে একটি এজেন্সীর কাছে পণ্যগুলো সরবরাহ করে থাকে। এজেন্সী পণ্যগুলোকে তার সুবিধামতো পাইকারী বিক্রেতাদের কাছে একটা লভ্যাংশ যোগ করে বিক্রি করে দেয়। পাইকারি বিক্রেতারা উক্ত পণ্যসমূহ খুচরা বিক্রেতাদের নিকট নিজের লভ্যাংশ রেখে সরবরাহ করে। ভোক্তা বা ক্রেতা অর্থাৎ যিনি পণ্য ব্যবহারকারী তাঁকে উক্ত পণ্যটি খুচরা দোকানদারের নিকট থেকে ক্রয় করতে হচ্ছে। ধরা যাক আব্দুল হালিম নামে এক ভদ্রলোক ঢাকার বসুন্ধরা সিটির একটি কাপড়ের দোকান থেকে একটি সার্ট বা জামা ক্রয় করলেন ১০০০ টাকা দাম দিয়ে। বসুন্ধরা সিটির ওই দোকানী সার্টটিতে লাভ করলেন মাত্র ১০০ টাকা, অর্থাৎ এই সার্টটি তিনি কোন একটি পাইকারী বিক্রেতার কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন ৯০০ টাকার বিনিময়ে। ওই পাইকারি বিক্রেতা আবার সার্টটিতে ২০০টাকা লাভ করেছেন, অর্থাৎ এজেন্সী থেকে তিনি সার্টটি ক্রয় করেছেন ৭০০ টাকা দিয়ে। এজেন্সী সার্টটিতে ৩০০ টাকা লাভ করেছে অর্থাৎ সার্টটি উৎপাদনকারী তাঁর খরচ এবং লাভসহ এজেন্সীর কাছে বিক্রি করেছে মাত্র ৪০০ টাকা দিয়ে। উৎপাদনকারীর যদি এই সার্টে উৎপাদন খরচ ৩০০ টাকা হয় তাহলেও দেখা যাচ্ছে তিনি সার্টটিতে ১০০ টাকা লাভ করলেন। অথচ প্রকৃত ব্যবহারকারী যিনি অর্থাৎ ভোক্তা বা ক্রেতাকে সার্টটি ক্রয় করতে হলো ১০০০ টাকা দিয়ে। মাঝখানে কয়েকটি হাতবদলের সময় সার্টটির দাম আরো ৬০০ টাকা বেড়ে গেল। যদি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি সরাসরি সার্টগুলো ক্রেতা/ ব্যবহারকারীর নিকট ১০০০ টাকা দামে বিক্রি করতো তাহলে ১০০ টাকার জায়গায় লাভ করতে পারতো ৭০০ টাকা। মধ্যস্বত্তভোগী বলে পরিচিত এজেন্ট, পাইকারি বিক্রেতা এবং খুচরা বিক্রেতারা এখানে অংশ নিতে পারতোনা। সে ক্ষেত্রে উক্ত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে যেত নতুবা তাকে আরো বিনিয়োগ করে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে হতো। কিন্তু উক্ত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যদি এমন কোন ঘোষণা দেয়, যে এখান থেকে একটি সার্ট যিনি ক্রয় করবেন, তাঁর রেফারেন্সে আরো ক্রেতা আসলে আমি যে মুনাফা অর্জন করবো, তাঁর একটি অংশ রেফারেন্সকারী ক্রেতাকে দেয়া হবে। তাহলেই উক্ত প্রতিষ্ঠানটি ডাইরেক্ট মার্কেটিং কোম্পানি বলে গণ্য হবে। আর এই ডাইরেক্ট মার্কেটিং কোম্পানি মূলতঃ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হয় বলেই একে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানি বলা হয়। বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় বলে, বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে পরিচিতি লাভ করে। ক্রেতা সদস্যদের মধ্যে লভ্যাংশ বন্টনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ কোম্পানি একটি লেভেল পরিমাপ করার কারণেই এ জাতীয় কোম্পানিগুলোকে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম কোম্পানি বলা হয়। নিচের ছকের মাধ্যমে প্রচলিত পদ্ধতির সাথে ডাইরেক্ট মার্কেটিং পদ্ধতির পার্থক্য তুলে ধরা হলোঃ

প্রচলিত পদ্ধতিঃ
পণ্য উৎপাদনকারী/ আমদানীকারক–> এজেন্সী–> পাইকাবিক্রেতা–> খুচরা বিক্রেতা–> ক্রেতা/ ভোক্তা
ডাইরেক্ট মার্কেটিং পদ্ধতিঃ
পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান/ আমদানীকারক–> সরাসরি ক্রেতা/ ভোক্তা।
প্রচলিত পদ্ধতিতে পণ্য বিপণনের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রয়োজন থাকলেও এমএলএম পদ্ধতিতে কোন বিজ্ঞাপনেরই প্রয়োজন হয় না।

www.enloving.com

Kazi ashraful Islam 

বায়োএনার্জেটিক হেলথ ব্রেসলেট:

 বায়োএনার্জেটিক হেলথ ব্রেসলেট

প্রারম্বিকা :-
সামপ্রতিক বছরগুলোতে প্রথাগত বা তথ্য প্রমাণ ভিত্তিক ডাক্তারী চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি নব চিকিৎসা পদ্ধতি পাশাপাশি নব নব চিকিৎসা পদ্ধতি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর, ব্যবহারে সহজ এবং প্রমানিত পদ্ধতি হচ্ছে চুম্বকীয় আবেশ এবং ঋণাত্মক আবেশ সমুদ্ধ উপাদানের ব্যবহার। এ ধরনের উপাদানের ব্যবহার প্রাথমিকভাবে ছোট খাট অসুস্থতাকে সারিয়ে আমাদের শরীরকে যেমনি উদ্যমশীল করতে সম, তেমনি সুস্থ অবস্থায় ব্যবহার শুরু করলে অনেক ধরনের কঠিন রোগ থেকে ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
বর্তমান বিশ্ব স্বাস্থ্যঃ
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস হতে জানা যায়, খৃঃ পূর্ব ২০০০ বৎসর পূর্বে চীনারা সর্বপ্রথম মানবদেহের বিভিন্ন চিকিৎসায় ম্যাগনেটিক থেরাপীর ব্যবহার শুরু করেন। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি লোক রোগের উপশমের জন্য ম্যাগনেটিক থেরাপী ব্যবহার করেতেছে। এদের মধ্যে চীনা, জাপানীজ, কোরিয়ানরাই প্রায় ৬০ মিলিয়ন। যার ফলে এতদ্অঞ্চলেল পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় মানুষ কম রোগাক্রান্ত
Enloving এর পণ্য: বায়োএনার্জেটিক হেলথ ব্রেসলেট :-

চুম্বকীয় আবেশ ।
ঋণাত্মক আবেশ ।
সূর্যের দূর অদৃশ্য লালরশ্মি
ষ্টেইনলেস ষ্টিল- ৩১৬মেটাল সমৃদ্ধ উপাদান দ্বারা এটি তৈরী যার গুনাগুন পরবর্তী দীর্ঘদিনেও অুন্ন থাকবে। ব্রেসলেটের মডেল কিংবা আকার আকৃতি ভিন্নতর হলে ও কার্যকারিতা একই। কারণ প্রতিটি ব্রেসলেট এ নিয়োডাইমিয়াম চুম্বকের পরিমান ২৫০০- ৩০০০ গস (জি)।
বায়োএনার্জেটিক হেলথ ব্রেসলেট ব্যহারের উপকারিতা :-

শরীরের রোগ প্রতিরোধ মতা বাড়ায়।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি

রক্ত কোলেষ্টরল ফ্রী করে।

বিভিন্ন ধরনের ব্যথা (বাতের ব্যথা, মাথাব্যথা, আঘাতজনিত ব্যথা, পেশীর ব্যথা, জোড়াসন্ধির ব্যথা, গ্যাষ্টিকের ব্যথা) দূর করে।

শরীরের যাবতীয় বিষাক্ত পদার্থ (টঙ্নি) বের করে দেয় ।

হাঁপানী (এ্যাজমা) নিয়ন্ত্রন করে।

ডায়াবেটিক রোধে কার্যকরী ভুমিকা রাখে।

কিডনী ও লিভারের সমস্যা দূর করে।

হরমোন উৎপাদন করে ও যৌন উদ্যম সবল করে ।

ঘুমে নাক ডাকা

কানত্দি/দূর্বলতা দূর করে শক্তি উজ্জীবিত করে।

নিজেকে সর্বদা ফ্রেশ এবং এনার্জেটিক মনে হয়।

হাই ব্লাডপ্রেসার (উচ্চ রক্তচাপ) নিয়ন্ত্রন করে।

অনিদ্রাভাব দূর করে।

হতাশাগ্রস্থতা নাশ করে।

মোবাইল ফোনের ভয়ানক রেডিয়েশন (পজেটিভ আয়ন) থেকে নিজেকে রা করে।

চর্মরোগ (এলার্জি, ব্রণ, একজিমা) উপশমসহ আরো অনেক রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার করে।

Enloving বায়োএনার্জেটিক হেলথ ব্রেসলেট প্রাপ্তি স্থানঃ


Enloving Bangladesh : 
Loading.........(coming soon)

Enloving Malaysia office 
Mohammad alamgir hossain (alam)
+60109107192
mohammad moti howladar 
+60146290343
mohammad amin sarker
+60169837915

প্রতিটি বায়োএনার্জেটিক হেলথ ব্রেসলেট মূল্য ৮০০০ টাকা কিংবা ১০০ us ডলার (দুই পিস)


কেউ যদি নিতে চান তা হলে, নিম্ন লিখিত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করুন:-


Wednesday, 14 August 2013

এম.এল.এম. এর উপর কিছু কথা (পার্ট-১) যারা জানেন না তাদের জন্য

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কিংবা মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা পদ্ধতিতে আপনাকে স্বাগতম। বিশ্ব জুড়ে একথা প্রমাণিত যে, উৎপাদিত পণ্য বা সেবার যথাযথ বাজার বা মার্কেটের অনুপস্থিতিতে সকল আয়োজন ধূলিসাৎ হয়ে যায়, থেমে যায় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের গতি। এক্ষেত্রে সকল উদ্যোক্তাই একমত যে, বিপণন কর্মকান্ড সফল না হয়ে কোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানই টিকে থাকতে পারে না। এসব বিবেচনা থেকেই বিশ্বব্যপী রথী-মহারথী, উদ্যোক্তা ও বিপণন বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন কর্মপদ্ধতি, নীতি ও প্রয়োগিক দিক নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন। উদ্ভুত প্রেক্ষাপটে একথা গৌরবের সাথে বলা যা যে, মাত্র কয়েক দশকে পণ্য বিপণন ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা মাল্টি লেভল মার্কেটিং পদ্ধতিটি বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত সফল একটি মার্কেটিং কনসেপ্ট বা Mechanism হিসেবে যথেষ্ঠ আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে। পদ্ধতিগত বৈশিষ্ট্য, প্রয়োগশৈলী এবং গণমূখী চরিত্র বা প্রকিয়া ধীরে ধীরে এ পদ্ধতিটিকে এযাবৎকালে উদ্ভাবিত আধুনিক বিপণন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠতম মার্কেটিং পদ্ধতির রূপ পরিগ্রহে উৎসাহিত করেছে।  (প্রত্যেক ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা ক্ষেত্র তৈরী করার চেয়ে নেটওয়ার্ক ব্যবসা ক্ষেত্র অপেক্ষাকৃত অধিক নিরাপদ।)

সময়ের চাহিদা পূরণে সক্ষম এই বহুমাত্রিক পণ্য বিপণন ব্যবসায় (Direct Marketing or Network Marketing or Multi-Level Marketing) ডাইরেক্ট মার্কেটিং বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং পদ্ধতিটি বাংলাদেশে সর্বস্তরের মানুষের কাছে ক্রমাগত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। যে প্রেক্ষাপটে এ ব্যবসা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, তার বিশদ ব্যাখ্যা এ স্বল্প পরিসরে দেয়া না গেলেও একথা নিঃসন্দেহে বালা যায় যে, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা এম.এল.এম. পদ্ধতি প্রয়োগে বেকারপীড়িত এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে আত্ম-কর্মসংস্থানের পথ দেখিয়েছে, আলোর পথ পেতে সাহায্য করেছে। কর্মবিহীন শিক্ষিত যুবক-যুবতী এ পদ্ধতিতে আত্মকর্মনির্ভর হয়ে সার্বক্ষণিক বা আংশিক শ্রম দিয়ে, যৎসামান্য পুজি বিনিয়োগে বা বিনা পুজিতে (পণ্য বিপণনের মাধ্যমে) নিজেদেরকে স্বাবলম্বী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। ছাত্র-ছাত্রী, স্বল্প আয়ের চাকুরিজীবী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সমাজসেবী, রাজনীতিবিদ, এমনকি যে কোন পেশার মানুষকে এ প্দ্ধতি এনে দেয় আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং স্বস্তিময় জীবনমান। এজন্য অতি উচ্চ শিক্ষা বা পূর্ব অভিজ্ঞতা অত্যাবশ্যকীয় নয়। আর এজন্য বিশ্বের বহু দেশে এই বিপণন পদ্ধতিটি "Freedom Enterprise" হিসেবে আখ্যায়িত।

এখন আমরা জনবো ডাইরেক্ট মার্কেটিং বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং বলতে যা বুঝায়-"ভোক্তাশ্রেণীর পারস্পরিক সম্পর্ককে তথ্য সরবরাহ ও বিজ্ঞাপনের কাজে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে পণ্য দ্রুত এবং সরাসরি ভোক্তার কাছে বিপণন করাটাই ডাইরেক্ট মার্কেটিং বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর বৈশিষ্ট্য।"

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আমরা অনেকেই জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুকাল ধরে পরোক্ষভাবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কর্মটি করে চলছি এবং তা অনেকটা মনের অজান্তে। এবংএকথাটিও সত্য যে, এ সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই তথ্যনির্ভর ধারণাও যথেষ্ট কম।

এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে, আপনি যখন কোন একটি ভাল বই পড়ে বেশ আনন্দ পান, কিংবা কোন ভাল রেষ্টুরেন্টের খাবার খেয়ে উপভোগ করেন বা ভাল একটি সিনেমা বা নাটক দেখে খুব আনন্দ উপভোগ করেন, তখন আপনি এটি আপনার নিজস্ব পরিমণ্ডলের অন্যদের কাছে প্রায়শঃ প্রচার করে থাকেন। আর এ কাজটি আপনি নিছক কথার ছলেই বলে বেড়ান।

যদি কাজটি আপনি প্রতিনিয়ত করে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই নেটোয়ার্কিং পদ্ধতির কাজটি করে বেড়াচ্ছেন বলে ধরে নেয়া যায় এবং এর ফলে আপনাকে বলা যায় একজন নেটওয়ার্কার। পার্থক্য শুধু এতটুকু যে আপনার টেওর্য়াক কাজের দ্বারা যে পণ্য বা সেবার ফ্রি বিজ্ঞাপন হয়ে যাচ্ছে, যাবে এর জন্য যে বিপণনকারী সংগঠন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে  (দোকানদার বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি), তাদের কেউই আপনাকে কোন বিপণন কমিশন বা আর্থিক সুবিধা দিচ্ছেন না বা দেবেননা। ন্যূনতম সৌহার্দ্যবোধে আপনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনও করেননি বা করবেন না, বিনামূল্যে এই বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজটি করার জন্যে। তবে নেটওর্য়াক মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান আপনার এ ধরণের প্রচারের কারণে যদি কোম্পানীর কোন পণ্য বা সেবা বিপণন হয়ে থাকে, সে জন্য আপনাকে আর্থিক সুবিধা হিসেবে বিপণন কমিশন দিতে আগ্রহী। গতানুগতিক পণ্য বিপণন পদ্ধতির সাথে কাঠামোগত নেটোয়ার্ক বিপণন পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য এটুকুই।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতি হচ্ছে, ব্যক্তির সংগে ব্যক্তির (ইন্টার-পার্সোনাল) সম্পর্ককে ব্যবহার করে মৌখিক বিজ্ঞাপনজনিত প্রচারের মাধ্যমে পণ্য বিপণন করা এবং এ ধরনের বিপণনে উদ্বুধ্ধকরনের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদনকারী বা উৎস থেকে ভোক্তার কাছে সরাসরি ক্রয়/বিক্রয় সম্পন্ন করা। বাড়তি খরচ পরিহার করে তার একটা বিশাল অংশ ক্রয়/বিক্রয়কারী ভোক্তাশ্রেণীকে একত্রে প্রচারকার্মে অংশগ্রহণ করার জন্য "কমিশন" হিসেবে প্রদান করাই হচ্ছে এ বিপণন পদ্ধতির মূল দর্শন। কারণ এই মৌখিক প্রচার পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে পণ্য বিপণন প্রক্রিয়ায় গতানুগতিক মধ্যসত্ত্বভোগীর প্রয়োজন হয় না, ফলে বিপণনে বাড়তি খরচের বিষয়টির বিলুপ্তি ঘটে। এই পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবা বিপণনে সাধারণতঃ কোন ব্যয়বহুল শো-রুম খরচ ও বিজ্ঞাপন খরচের প্রয়োজন হয় না। তাই উৎপাদনকারীগণ কিংবা সরবরাহকারীগণ সবাই অধিক পরিমাণ পণ্য খুব সহজে এবং কম খরচে ভোক্তাদের কাছে সরাসরি বাজারজাত করতে সক্ষম হন। এ কারণে এ বিপণন পদ্ধতিটি গতানুগতিক বিপণন প্রক্রিয়ায় ব্যবসা সম্প্রসারণের তুলনায় সংস্কার-সমৃদ্ধ একটি আধুনিক প্রক্রিয়া মাত্র।

পরবর্তী পার্টে ডাইরেক্ট মার্কেটিং বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা এম.এল.এম পদ্ধতির সূচনা নিয়ে আলোচনা করা হবে।


Tuesday, 30 July 2013

জানার কোনো বয়স নেই

আমাদের দেশে এখন ভিক্ষুক আর ব্লগার এর সংখ্যা প্রায় সমান .......
keyboard দিয়ে দুই চারটা ওয়ার্ড লিখতে পারলেই ব্লগার হওয়া যায়না . 
ইদানীং আমি দেখছি ... কিছু লোক কিছু কিছু বিষয়ে না জেনেই উল্টা পাল্টা পোস্ট করে যাচ্ছে .... তারমধ্যে network marketing এর অন্যতম ...
আরে ভাই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং একটা বিশ্বজুরে স্বীকৃত একটি পদ্ধতি , এবং এই সাবজেক্ট এর ওপর অনার্স মাস্টার্স কোর্স আছে ... আপনাদের মনে সন্দেহ থাকলে খুজ খবর নিয়ে দেখতে পারেন ..
আমার কথা হলো যে বিষয়ে ওপর অনার্স মাস্টার্সে পড়াশুনা আছে সেই বিষয়ে আপনারা কেন আজে বাজে পোস্ট লিখেন ??
আপনার যদি ভালো না লাগে এই সিস্টেম আপনি কাজ করার দরকার নাই ....
ডাক্তার সবাই হয় না... 
না হয় সবাই ইঞ্জিনিয়ার ....
যার যার বেক্তিগত বেপার ....
why you talk about another person ??

আমি একটা example দেই  ...
আমরা উকিল পেশাজীবীদের ভালো করে সবাই চিনি তাই না ....
আচ্ছা একজন raper কিংবা killer যদি কোনো উকিল এর নিকট যায় তার বা আসামির পক্ষে উকালতি করার জন্য ...  উকিল কি তার মক্কেলকে  ফিরিয়ে দেয় ?
কখনোই না ... ওই উকিল সে যতো রকমের চেষ্টা আছে সব করে সে তার মক্কেলকে নির্দোষ প্রমান করে আসামিকে বের করে আনে .... প্রকাস্য দিবালোকে .... কই আমিতো আজ পর্যন্ত কোনো উকিল এর বিরদ্ধে কথা বলতে দেখি নাই কাওকে ? 
আরে ভাই network marketing করে বেকার কিছু পোলাপাইন আপনারা কেনো তাদের পেটে লাথি দেন ?
তারাতো মানুষের কাছে মাত্র ৫-৭ হাজার টাকার পণ্য বিক্রয় করছে .... তারাতো একটা পদ্মা সেতুর টাকা হাতিয়ে নেয় না ...
না করে আদম পাচার ....
১০-১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ইতালি আমেরিকা নিয়ে যাবার কথা বলে না ......
সবাইকে আমার অনুরুধ  কোনো বিষয়ের উপর না জেনে মন্ত্বব্য করবেন না ....
কারণ জানার কোনো বয়স নেই  .
ধন্যবাদ  
Kazi ashraful Islam 
International networker

Monday, 29 July 2013

এখনই Enloving প্রোডাক্ট সেল/ব্যবসা করা সম্ভব!



Enloving এর অনেক ডিস্ট্রিবিউটর আছেন যারা মনে করেন বর্তমান সময়ে Enloving ব্যবসা করা সম্ভব নয়! বা Enloving  প্রোডাক্ট নিয়ে মানুষকে বললে কাজ হবে না, কারন মিডিয়ায় নেতিবাচক প্রচার-প্রচারনার কারনে বাংলাদেশের সাধারন মানুষ Network marketing সম্পর্কে নেগেটিভ হয়ে আছে। আমি এর সাথে দ্বীমত পোষণ করি। হে এটা সত্য আবেগ দিয়ে বললে হয়তো আপনি আমার কথা বিশ্বাস করবেন না। তাই চলুন দেখি লজিক্যালি সম্ভব কি না।

আগে চলূন আমরা একে একে চারটি উদাহরন দেখি এবং বুঝার চেষ্টা করি,

প্রথমতঃ ধরুন আপনাকে একটি কচুর লতি এবং একটি ব্লেড দেয়া হলো এবং বলা হলো কচুর লতিটি কেটে দুই টুকরা করে দিতে। তাহলে আপনি কি এটা কেটে দুই টুকরা করতে পারবেন? নিশ্চই পারবেন। কারন কচুর লতি কাটার জন্য ব্লেডই যথেষ্ঠ।
সিদ্ধান্ত/ফলাফলঃ কচুর লতি কাটার জন্য একটি ব্লেডই যথেষ্ঠ।

দ্বীতিয়তঃ এবার আসুন আপনাকে একটি বাশের কঞ্চি এবং একটি ব্লেড দেয়া হল। এবার কি আপনি সহজে কেটে দুই টুকরা করে দিতে পারবেন। নিশ্চই না! তবে বাশের কঞ্চি কাটার কোন উপায় কি আপনার জানা আছে? নিশ্চই আছে। আপনি হয়তো বলবেন আমাকে একটা দা/চাপাতি দেন এক কোপে কেটে দুই টুকরা করে দেব। তাই নয় কি?
সিদ্ধান্ত/ফলাফলঃ বাশের কঞ্চি ব্লেড দিয়ে কাটা কস্টসাধ্য কিন্তু দা/চাপিাতি দিয়ে সহজেই কাটা যায়।

তৃতীয়তঃ এবার আসুন আপনাকে একটি লোহার টুকরা বা রড এবং নরমাল ব্লেড/দা দেয়া হলো। আপনি কি এটা দুই টুকরা করতে পারবেন? নিশ্চই না। তবে যদি একটি হেসকো ব্লেড (লোহা কাটার যন্ত্র) দেয়া হয় তাহলে কি পারবেন? নিশ্চই পারবেন। তাই নয় কি?
সিদ্ধান্ত/ফলাফলঃ লোহার টুকরা/রড ব্লেড/দা/চাপাতি দিয়ে কাটা কস্টসাধ্য কিন্তু হেসকো ব্লেড দিয়ে সহজেই কাটা যায়।

চতুর্থতঃ আবার আসুন আপনাকে একটি শক্ত কাচ এবং হেসকো ব্লেড/দা/চাপাতি দেয়া হলো। এবার কাচ কেটে দুই টুকরা করে দিতে পারবেন কি? নিশ্চই না! তবে আপনাকে একটি ধারালো হীরক খন্ড দিয়ে বলা হলে আপনি অবশ্য কাচটি কেটে সহজেই দুই টুকরা করে দিতে পারবেন। তাই নয় কি?
সিদ্ধান্ত/ফলাফলঃ শক্ত কাচ ব্লেড/দা/চাপাতি/হেসকো ব্লেড দিয়ে কাটা কস্টসাধ্য কিন্তু ধারালো হীরক খন্ড দিয়ে সহজেই কাটা যায়।

উপরোক্ত চারটি উদাহরন এবং তা থেকে প্রাপ্ত সিদ্ধান্ত বা ফলাফলসমূহ বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পাই যে, কোন বস্তু নরম বা শক্ত যেমনই হোক না কেন কাটা যায়। তবে তা করার জন্য যথোপযুক্ত কাটার লাগে। তাই নয় কি?

এখন আসুন আমরা মূল আলোচনায় আসি, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসা একজন মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ এর ব্যবসা করার তীব্র ইচ্ছা এবং সেলিং দক্ষতার উপর নির্ভর করে।

তার অর্থ এই নয় যে, আমি বলতে চাচ্ছি আপনি ব্যবসা বুঝেন না বা আপনার সেলিং দক্ষতা নাই। আমি বলতে চাচ্ছি আপনি অবশ্যই দক্ষ তবে হয়তোবা আপনার দক্ষতা উদাহরন ১ এর ব্লেড এর মত। এই দক্ষতা দিয়ে আপনি আগে ১০ জন অতিথির সাথে বসলে হয়তোবা ৫ জন প্রোডাক্ট ক্রয় করতো। কারন তখনকার পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিপরীতে আপনার অতিথিরা কচুর লতির মত নরম ছিল। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে আপনার ঐ সকল অতিথিরা হয়তো লোহার মত বা কাচের মত শক্ত হয়ে আছে। তাই আপনার আগের দক্ষতা দিয়ে বিক্রি করার চেস্টা করছেন বিধায় বিক্রি হচ্ছে না।

এমতাবস্থায় আমার মূল বক্তব্য হচ্ছে আপনি আপনার দক্ষতাকে সময়োপযোগী করে গড়ে তুলূন। সফলতা অবশ্যই আসবে, ইনশা-আল্লাহ্।

কিভাবে দক্ষতা সময়োপযোগী করে গড়ে তুলবেন?

দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমার কাছে তিন টি উপায় জানা আছেঃ

১। প্রশিক্ষন গ্রহন করুন
২। প্রশিক্ষন গ্রহন করুন
৩। প্রশিক্ষন গ্রহন করুন

আমার এই সাইটটি আপনাকে সহযোগীতা করবে। কিন্তু পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে আয়োজিত প্রশিক্ষন গুলোতে অংশগ্রহন করুন। এছাড়াও সফল/অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে বসে পরামর্শ গ্রহন করুন। কিভাবে প্রশিক্ষন গ্রহন করলে দ্রুত দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায় এর উপর লেখা অল্প সময়ে প্রশিক্ষন আত্মস্থ করা এবং মনে রাখার কৌশল সমূহ শীর্ষক প্রশিক্ষন টিপস্ টির সহায়তা নিতে পারেন।

আশা করছি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সঠিক প্রশিক্ষন গ্রহন করে নিজের সেলিং দক্ষতা এমন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন যে, আপনাকে যে প্রোডাক্টই দেয়া হোক না কেন আপনি সেল করতে পারবেন এবং নিয়মিত আয় নিশ্চিত করতে পারবেন।

ধন্যবাদ

Kazi ashraful Islam 
Founder distributor :
Enloving international ltd

Sunday, 28 July 2013

কেন প্রশিক্ষন গ্রহন করবেন?


যে কোন বিষয়ে কাজ শুরু করার পূর্বে সে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেয়া প্রয়োজন। যদিও বাংলাদেশে ডাইরেক্ট সেলিং বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসা প্রায় বিগত ১ যুগেরও বেশি সময় যাবৎ পরিচালিত হয়ে আসছে তার পরেও এই ব্যবসাটি সম্পর্কে জানার সুযোগ তুলনামূলক ভাবে খুবই কম। যার ফলে এই বিষয়টি নিয়েব্যপক সম্ভাবনা থাকার পরেও বিষয়টি নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি এবং ভূল ধারনা লক্ষ্য করা যায়। তাই বিষয়টি সম্পর্কে প্রকৃত সত্য তথ্য, ইতিহাস এবং ডাইরেক্ট সেলিং ব্যবসার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা জানার জন্য প্রশিক্ষনের কোন বিকল্প নেই।

আর যারা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় ক্যারিয়ার তৈরি করতে চান অথবা এই ব্যবসাটি কে পার্টটাইম হিসেব করতে চান

তাদের জন্য নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর উপর প্রশিক্ষন গ্রহন করা বাধ্যতামূলক।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১৮-২০ বছর পড়াশোনা করার পর আমরা কোন একটি নির্দিষ্ট বিষেয়ের উপর কাজ করার মতো জ্ঞান বা প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করে থাকি। দুঃখজনক ব্যপার হচ্ছে এত সময়, শ্রম এবং অধ্যাবস্যায় প্রয়োগ করার পরেও অধিকাংশ ব্যক্তিকে শিক্ষিত বেকার হিসেবে পরিগনিত হতে হয়। আর যারা অনেকটা ভাগ্যগুনে বা মামা চাচার সহযোগীতায় কাজ করার সুযোগ পায় তাদের মধ্যেও কাংখিত সফলতার হার অনেক কম পরিলক্ষিত হয়।

এমন পরিস্থিতির বিপরীতে যেহেতু আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় স্বাধীনভাবে ক্যারিয়ার তৈরি করার স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাই আমি আপনাকে সাধুবাদ জানাই এবং আপনার সিদ্ধান্ত খুবই সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত বলে স্বীকৃতি দিতে চাই। কিন্তু একটু লক্ষ্য কলে দেখুন আপনার ১৮-২০ বছর পড়ালেখা করে নিজেকে তৈরি করার মোট সময়ের মধ্যে কতটুকু সময় আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসার জন্য বিনিয়োগ করেছেন।  আমি জানি উত্তর হবে ১ ঘন্টাও না! এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে আপনি সফলতা অর্জন করবেন কিভাবে?

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং নিয়ে সুদীর্ঘ অর্ধ  যুগেরও বেশি সময় কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, এখানে অনেক উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি আছে যে সফল হতে পারেনি আবার অনেক অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত ব্যক্তিকে দেখেছি সফলতা পেতে। এই দুই শ্রেনীর ব্যক্তির মধ্যে সফলতা বা ব্যর্থতার মূল কারন হচ্ছে প্রশিক্ষন নেয়ার আগ্রহ থাকা এবং না থাকা। মনে রাখবেন যখন আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন এই ব্যবসা সম্পর্কে আপনার জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা শুন্য যদিও আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড হতে পারে আপনি উচ্চ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত। এটা সত্য যারা শিক্ষিত তারা হয়তো অন্যদের তুলনায় নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসার খুটি নাটি দ্রুত জানতে, উপলব্ধি করতে এবং আয়ত্ব করতে সক্ষম হবেন।

অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিকে এও বলতে শুনেছি যে, আমি বিবিএ এমবিএ করা আমাকে আপনারা কি প্রশিক্ষন দিবেন? আমি সব জানি? আপনার প্রতি আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনার শিক্ষাজীবনে কয়টা সা্ব্জেক্ট বা কত ক্রেডিট ছিল নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর উপর। জানি সরল উত্তর হবে একটিও না। তাহলে আমার পরামর্শ হচ্ছে দয়া করে প্রশিক্ষন গ্রহন করুন। আপনার জন্য সুসংবাদ হচ্ছে আপনি ব্যবসাটি দ্রুত আয়ত্ব করতে পারবেন। কিন্তু প্রশিক্ষন অবশ্যই নিতে হবে।

এই উদাহরনটি একটু লক্ষ্য করুনঃ

ধরুন আপনি জানেন কিভাবে আলূ চাষ করতে হয়। এই বিষয় এর উপর আপনি হয়তোবা উচ্চ প্রশিক্ষন নিয়েছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এখন আপনাকে যদি দেয়া হয় একটি মাটির কলসি তৈরি করে দিতে। এমতাবস্থায় আপনার সারা জীবনের শিক্ষা, অভিজ্ঞতার আলোকে যতই চেষ্টা করেন আপনি কি কুমারের মত সুন্দর করে একটি কলসি তৈরি করতে পারবেন? নিশ্চই না! কিন্তু যদি আপনি একজন অশিক্ষিত (প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায়) কুমারের কাছ থেকে বিষয়টি একটু দেখেন এবং অনুশিলন করেন দেখবেন আপনি হয়তো ঐ কুমারের চেয়েও সুন্দর করে তৈরি করতে পারবেন।

তাইি আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে, যেকোন বিষয়ে ভাল করতে চাইলে অবশ্যই ঐ বিষয়ে প্রশিক্ষন নিতে হবে। তাই নয় কি?

আমার অভিজ্ঞতায় অনেক ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি আমি সব প্রশিক্ষন গ্রহন করে ফেলেছি! এখন কি করব?

আপনার জন্য পরামর্শ হচ্ছে প্রশিক্ষনগুলো আবার গ্রহন করুন। তার পর কি করবেন? আবার প্রশিক্ষন নিবেন। তার পর? আবার প্রশিক্ষন নিবেন।

এভাবে একই প্রশিক্ষন কতবার এবং কত দিন গ্রহন করতে হবে?

উত্তর দিতে চাইনা শুধু আপনাকে একটি প্রশ্ন করতে চাই, প্রতিদিনই তো তিন বেলা নিয়ম করে খাবার গ্রহন করছেন। একই খাবার আর কত দিন গ্রহন করতে থাকবেন? নিশ্চই যতদিন বেচে থাকবেন! তাই না? ঠিক তেমনি, যতদিন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসা করবেন এবং ব্যবসায়ীক উন্নতি চাইবেন ঠিক ততদিন প্রশিক্ষন গ্রহন করতে হবে।

একই প্রশিক্ষন বার বার করতে ভাল লাগে না! বিরক্ত লাগে! করনীয় কি?

দেখুন আমরা যারা মানুষ তাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। অভাব আছে। যার ফলেই আমাদের কাজ করতে হয়। জীবিকার তাগিদে বেচে থাকার জন্য এমন অনেক কিছুই আমাদের প্রতিনিয়ত করতে হয় যা করতে আমাদের ভাল লাগেনা বা আমরা বিরক্ত হই। যেমন ধরুন প্রতিদিন সকাল বেলা নিয়ম করে একই টয়লেটে হাজিরা দিতে বা একই বাথরুমে গোসল করতে আমাদের ভাল লাগে না কিন্তু করতে হয়। প্রতি দিন বাজারের ব্যাগ নিয়ে বাজারে যেতে ভাল লাগে না কিন্তু যেতে হয়। স্কুল কলেজ বা চাকুরীতে নিয়ম করে যেতে হয় কিন্তু ভাল লাগে না। এমনও হতে পারে আমার এই লেখাটি পড়তে আপনার বিরক্ত লাগছে কিন্তু সফলতা পাবার জন্য করনীয় কি জানার জন্য বিরক্তি নিয়ে হলেও পড়ছেন! ঠিক তেমনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় সফলতা পেতে এবং সফলতার উচ্চ শিখরে নিজেকে দেখতে চাইলে নিয়মিত প্রশিক্ষন নিতে হবে।

যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় সফলতার জন্য একটি কাজের পরামর্শ দিন। তাহলে বলব অবশ্যই নিয়মিত প্রশিক্ষন গ্রহন করুন। আপনার সফলতা নিশ্চিত, ইনশা-আল্লাহ্।


১০০ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং টিপস-দ্বিতীয় অংশ


১০০ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং টিপস – দ্বিতীয় অংশ

একজন সফল নেটওয়ার্কারের সাক্ষাৎকার

প্রশ্ন কেন আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসাকরছেন?

উত্তর এটি একটি স্বাধীন ব্যবসা যেখানে আর্থিক স্বচ্ছলতা লাভ করা যায়। কিছু সময় পরিশ্রম করে দ্রুত অবসর নেয়া যায় এবং মানুষের ভালবাসা অর্জন করা যায়-এজন্য।

প্রশ্ন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় আপনারউদ্দেশ্য কি?

উত্তর আমার ডাইনলাইনের প্রত্যেক ডিস্ট্রিবিউটরকে সম্পদশালী করে তোলতে সাহায্য করা।

প্রশ্ন আপনি এখানে মূলত কি কাজ করেন?

উত্তর আমি এখানে তিনটি কাজ করি এক- সেল্স ভলিউম বাড়াতে পণ্য বিক্রয় করি, দুই- আমার টিমে মেম্বার সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করি, তিন- প্রত্যেককে আমার কাজগুলো নকল করতে পরামর্শ দেই।

প্রশ্ন ব্যবসারম্ভের শুরু থেকেই কি আপনি ফুলটাইম সময় দিচ্ছেন?

উত্তর ব্যবসারম্ভের প্রাক্কালে চাকুরীর পাশাপাশি এখানে পার্ট টাইম সময় দিয়েছি, এখানে এসে জেনেছি, শিখেছি এবং স্পন্সর করিয়েছি। এখন ফুলটাইমার কারন আর্থিক স্বচ্ছলতা লাভ করেছি পরিবারকে সময় দিতে পারছি এবং স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি।

প্রশ্ন আপনার মতো কি আমার পক্ষে সম্ভবহবে?

উত্তর আমাকে ডুপ্লিকেট করুন হয়তো আমার চেয়ে বেশী সফল হবেন।

প্রশ্ন এখানে একসাথে এত লোক কাজ করেআপনার সমস্যা হয়না?

উত্তর না, কারন এখানে প্রত্যেক নিজের জন্য কাজ করে, প্রত্যেকে প্রত্যেককে সহযোগিতা করে এবং প্রত্যেকে এক প্রতিষ্ঠানে কাজ করে।

প্রশ্ন আপনার মতো প্রাথমিক পর্যায়ে কাউকেস্পন্সর করতে ব্যর্থ হলে কি করা উচিত?

উত্তর প্রাথমিক পর্যায়ে পণ্যসামগ্রী ক্রয় ও বিক্রয়ের মাধ্যমে কমিশন অর্জন করে ধৈর্য্য ধারন করা উচিত।

প্রশ্ন কোন্টি আপনার নিকট গুরুত্বপূর্ণ পণ্যবিক্রয় না কি স্পন্সরিং?

উত্তর দুটোই, তবে কমিশন প্লানের ধরন অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদে সফলতার জন্য স্পন্সরিং অধিক গুরুত্বর্পূন যেমন- বাইনারিতে।

প্রশ্ন আপনি কিভাবে টিম্ওয়ার্ক করবেন?

উত্তর আমার ডাউনলাইনের প্রত্যেক ডিস্ট্রিবিউটর আমার টিমের সদস্য

এ ক্ষেত্রে আমি যা করি তা হলো-

ক. প্রত্যেক সদস্যকে লক্ষ্য নির্ধারন করতে বলি ।

খ. সপ্তাহে বা মাসে লক্ষ্যার্জন করতে কতটুকু সমর্থ হলো তা লিপিবদ্ধ করতে পরামর্শ দেই।

গ এরপর প্রত্যেককে তার দলের  লক্ষ্য নির্ধারন করার পরামর্শ দেই।

ঘ. অতপর প্রত্যেককে এবং প্রত্যেক গ্রুপের কাজের মূল্যায়ন করি।

প্রতিটি গ্রুপ লক্ষ্য পূরন করতে কতটুকু সমর্থ হলো এবং লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হলে সমস্যা চিহ্নিত  করে তা সামাধানের পথে এগোই। এক্ষেেএ আমার আপলাইনারও আমার পরামর্শক।

প্রশ্নঃ নেটওর্য়াক মাকেটিং ব্যবসা হতে কতসময় পর্যন্ত আয় করা যায়?

উত্তর একমাএ নেট্ওয়ার্ক মাকেটিং ব্যবসায় দীর্ঘ সময় আয় করা সম্ভব  এমনকি মূত্যর পর নমিনী এ আয় ভোগ করাতে পারে ।

প্রশ্নঃ আপনার মতে নেট্ওর্য়াক মাকেটিং কিআত্নকর্মসংস্থানের উপায় ?

উত্তরঃ নেট্ওয়ার্ক মাকেটিং একটি বিনিয়োগবিহীন ব্যবসা । পেশা হিসেবে নেয়ার সুযোগ রয়েছে বিধায় এ পদ্ধতিকে আত্নকর্মসংস্থানের উপায় বলতে পারি।

প্রশ্নঃ নেট্ওর্য়াকমাকেটিং  আপনার স্লোগানকি?

উত্তরঃ সম্লিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে র্শীষে উত্তোরণ ।

প্রশ্নঃ আপনি কি নিজেকে সফল মনে করেন 

উত্তর যেদিন এ প্রতিষ্টানে জয়েন করি সেদিন হতে আমি সফল, এখন সফলতম হওয়ার চেষ্টা করছি।

প্রশ্নঃ আপনার অনুপ্রেরনা কি?

উত্তরঃ আমার সততা ।

প্রশ্নঃ একজন মানুষকে সুখী হতে হলে কি করাউচিত?

উত্তরঃ সুখের সন্ধান করা উচিত ।

প্রশ্নঃ আপনি শুরুতে  কেমন আর এখন কেমনআছেন?

উত্তর শুরুতে ছিলাম আত্মকেন্দ্রিক, আশাহত আর সুযোগ সন্ধানী এখন উন্মুক্ত, স্বপ্নে বিভোর আর অকৃত্রিম সহযোগী।

প্রশ্ন আপনার আপ-লাইন কি আপনাকেসার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন?

উত্তর আমার আপ-লাইন আরো অনেকেরই আপ-লাইন সেজন্য সার্বক্ষণিক তদারকি করতে পারেন না তবে যখনই আমার প্রয়োজন হয় তখনই আমাকে তারা সহযোগিতা করেন।

প্রশ্ন আপনি কিভাবে প্রমান করবেন আপনারকোম্পানী শতভাগ সঠিক?

উত্তর আমাদের কোম্পানী পণ্য বিপণন করে। যেহেতু অর্থের বিনিময়ে দৃশ্যমান পণ্য বিক্রয় করে এবং লভ্যাংশ ডিস্ট্রিবিউটরদের মাঝে বন্টন করে সুতরাং এটি শতভাগ বৈধ।

প্রশ্ন আপনার মতে পিরামিড স্কীম  নেটওর্য়াকমার্কেটিং  দুটোর তফাৎ কি?

উত্তর সংক্ষেপে বলা যায় প্রথমটিতে কাগজ বিনিময় হয় দ্বিতীয়টিতে পণ্য বিনিময় হয়।

প্রশ্ন বহিবিশ্বে এমএলএম এত জনপ্রিয় হলেওআমাদের দেশে মোট জনসংখ্যার পাঁচ ভাগমানুষ এখনো  ব্যবসায় আসেনি কেন?

উত্তর প্রথমে দেখা যাক কারা এম এল এম ব্যবসায় আসে না ঃ

ক) যারা নতুনত্ব বিশ্বাস করে না।

খ) যারা এত সহজ আয়কে অবিশ্বাস্য মনে করে।

গ) যারা পিরামিড স্কীম দ্বারা প্রতারিত।

ঘ) এবং যারা শুনে বিশ্বাস করে, দেখার প্রয়োজন মনে করেন না।

এবার দেখা যাক কারা এমএলএম ব্যবসায়আসে

ক) যারা ইতিবাচক মনোভাব সম্পন্ন।

খ) যারা নিজের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করতে চায়, এবং যারা অন্যের সাফল্যে আনন্দ লাভ করে।

প্রশ্ন একজন চাকুরীজীবি  একজননেটওয়ার্কারের মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তর প্রথমজন আয় অনুযায়ী ব্যয় করেন ও দ্বিতীয়জন ব্যয় অনুযায়ী আয় করেন। প্রথমজন জীবনভর পরিচালিত হয় ও একজন নেটওর্য়াকার নিজেই পরিচালক।

প্রশ্ন আপনার সাফল্যের পেছনে কারণগুলোকি?

উত্তর আত্মবিশ্বাস, দৃঢ়তা, পরিকল্পনা ও সময় সচেতনতা।

প্রশ্ন নতুনদের প্রতি আপনার পরামর্শ কি?

উত্তর যা করবেন বুঝে করুন, যা করবেন আন্তরিকতার সহিত করুন, যা আশা করেন তা বাস্তবায়নের জন্য অন্তত একবার প্রাণপন চেষ্টা করুন।

Thank you 4 reading this :-)