Tuesday 4 March 2014

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার কৌশল

যে কোন ব্যবসার মূল লক্ষ্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা অর্থাৎ বিক্রয় বৃদ্ধি করা। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ কারণ এম.এল.এম. খুচরা বিক্রয়ের উপর নির্ভরশীল। খুচরা বিক্রয়ে সরাসরি সম্পৃক্ত ক্রেতাগণ। একজন ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে পণ্য ক্রয় করার পাশাপাশি নতুন ক্রেতাদের স্পন্সর করাতে পারলেই দীর্ঘমেয়াদী কমিশন অর্জন সহজতর হয়। নতুন ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার কৌশল এমন হতে পারে-

 

জীবন যাত্রা বদলে ফেলুনঃ
 নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসার প্রাথমিক পর্যায়ের আয় দ্বারা আপনার জীবনযাত্রা বদলে ফেলুন। আপনার পরিবর্তন অন্যদের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি করবে। আপনার পরিবর্তনে মূল কারণ আয় বৃদ্ধি। আপনার বাড়তি আয়ের জন্য নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসা সম্পর্কে জানার পরই ক্রেতারদের আকৃষ্ট করা সহজতর হবে।

 

সম্পর্ক আরো গভীর করে তুলুনঃ
  আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক পূর্বের চেয়ে গভীরতা করে ফেলুন। তাদের সুখ-দুঃখে, সমস্যাগ্রস্থ অবস্থায় পাশাপাশি থাকার চেষ্টা করুন। তাদের কাছে আপনার গ্রহনযোগ্যতা বেশি হলে আপনার দেখানো পথ-ই তারা অনুসরণ করবে।

 

টেলিফোনে কুশল বিনিময় করুনঃ
 প্রত্যেকেই তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের কাছ হতে ফোন প্রত্যাশা করে। সম্ভাব্য ক্রেতার আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে তার সাথে কুশল বিনিময় করুন। তার পরিবার পরিজনের খোঁজ খবর নিন এবং আপনার নতুন ব্যবসা দেখার নিমন্ত্রন করুন। আপনার ইতিবাচক কথোপকথন সম্ভাব্য ক্রেতার মাঝে আগ্রহ তৈরী করবে।

 

ক্রেতার কর্মদক্ষতার তারিফ করুনঃ
  প্রত্যেক মানুষ নিজের কর্মদক্ষতা সাফল্যের তারিফ শুনতে পছন্দ করে। নেতিবাচক মানুষগুলো এর পেছনে কোন দূরভিসন্ধি খুঁজে বেড়ায়। যেটুকু তারিফ পাওয়ার যোগ্য সেটুকু করুন। পরিশেষে বলুন, “আপনার দ্বারা আরো চমৎকার কিছু সম্ভব, অবশ্য এজন্য আপনার ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট” এ বলে আগ্রহ যাচাই করুন।

 

আপনার সফলতার কথা বলুনঃ
 পরিচিতজনের সাফল্যের কথা সবাই শুনতে পছন্দ করে। তবে এর পূর্বে প্রমান করতে হবে আপনি সফল। আপনি যত সংক্ষেপে ও সুন্দরভাবে আপনার সফলতার কথা সম্পন্ন করতে পারবেন আপনার সম্ভাব্য ক্রেতা ততই আকৃষ্ট হবেন।

 

সত্য প্রকাশে অনড় থাকুনঃ
 আপনি কি করছেন তা অবশ্যই আপনি জানেন। যদি না জেনে করেন তবে আগে জেনে নিন। আপনি যা করছেন তা সত্য, যদি তা অসত্য হয় তবে বিরত থাকুন। সত্য প্রকাশে অনড় থাকুন। আপনার চারপাশের মানুষ আপনার ও আপনার প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ আপনার কর্মের প্রতি আগ্রহী হবে। কাল্পনিক কোন বিষয়কে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবেন না, সত্য আপনাকে সাফল্যের পথে নিয়ে যাবে। অধিকাংশ ক্রেতাই সত্যের পথ খোঁজেন।

 

কৃত্রিমতা বর্জন করুন ঃ
  কৃত্রিমতা আপনার নিজস্ব সত্তাকে নষ্ট করবে। স্মার্ট হতে গিয়ে এমন আচরণ করবেন না যা ক্রেতার মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে। মনে রাখবেন অধিকাংশ ক্রেতাই বুদ্ধিমান। বুদ্ধিমান ক্রেতা বা প্রসপেক্টদের নিকট বুদ্ধিমত্তার সহিত উপস্থাপন।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং দক্ষতা অর্জনের উপায়

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় সফলতা লাভের জন্য কিংবা রয়্যালটি আয় উপভোগ করার জন্য প্রয়োজন দক্ষতা অর্জন। এমএলএম দক্ষতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা যেতে পারে তন্মধ্যে নিন্মোক্ত বিষয়সমূহ অনুশীলনের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন ত্বরান্বিত হয়।

 

ক. সংশ্লিষ্ট বিষয়টি ভালভাবে জানাঃ  নেটওয়ার্ক মার্কেটিং হোক কিংবা অন্য কোন পেশা, বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট বিষয়টি ভালোভাবে জানা, ভালোভাবে জেনে শুরু করা আর না জেনে শুরু এ দুয়ের পার্থক্য হলো সাফল্য। কারণ বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান লাভের জন্য প্রচুর বই পড়ার অভ্যাস থাকতে হবে, পৃথিবীর খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে হবে এজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করুন।

 

খ. সফল নেটওয়ার্কারদের অনুসরণ করুনঃ  দক্ষতা অর্জনের জন্য সফল নেটওয়ার্কারদের অনুসরন করুন যেমন-তারা কিভাবে কাজ করছে, কিভাবে কথা বলছে, কিভাবে প্রেরণা যুগাচ্ছে, কি উপদেশ দিচ্ছে, কিভাবে গ্রুপ বা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছে, পণ্য বিক্রয়ে কি কৌশল অবলম্বন করছে ইত্যাদি। আপনি জ্ঞানী হলেও নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সম্পর্কিত জ্ঞান তাদের বেশি থাকাই স্বাভাবিক, নতুন নতুন তথ্য জানার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। নিজের চেয়ে সফল যারা তাদের অনুসরণ করা মানে নিজের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা।

 

গ. ভালো বক্তা হয়ে উঠুনঃ  ভালো বক্তা হওয়ার জন্য ভালো জানতে হবে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এজন্য ভালো বক্তা হওয়া মানে দক্ষতা অর্জনে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া। শুধু নিজে বলবেন তা নয় অন্যদের বলার সুযোগ দিতে হবে। অধিকাংশ ব্যক্তির মতামতের সহিত যখন আপনার মতামত মিলে যাবে তখনই বুঝবেন আপনার সিদ্ধান্ত সমূহ সঙ্গতিপূর্ণ যা দক্ষতার পরিচয় বহন করে।

 

ঘ. সকল প্রকার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুনঃ  দক্ষতা অর্জনের জন্য সকল প্রকার প্রশিক্ষন গ্রহন করতে হবে যেমন পণ্য সম্পর্কিত ও বিক্রয় সম্পর্কিত প্রশিক্ষন, প্রেষণামূলক প্রশিক্ষণ, মনোভাব বিষয়ক প্রশিক্ষণ, কমিশন পদ্ধতি ও টীম বিল্ডিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি। প্রতিটি বিষয়ের পৃথক প্রশিক্ষন আপনাকে বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা লাভে এগিয়ে নেবে। প্রশিক্ষনের পর যে কোন কাজ পূর্বের চেয়ে অনেক সহজবোধ্য মনে হবে এবং সঠিকভাবে সম্পাদন করার অনেক কৌশল আপনি বের করতে সক্ষম হবেন।

 

ঙ. এমএলএম এর মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত  করুনঃ নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় সফলতার জন্য দক্ষতা প্রয়োজন এবং দক্ষতা লাভের জন্য এমএলএম-এর মৌলিক বিষয় যেমন প্রেজেন্টেশন, ক্লোজিং, ফলোআপ, প্রশিক্ষন ইত্যাদি বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে হবে। ডাউন-লাইনে ডিস্ট্রিবিউটরের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপ-লাইনার বা লিডারদের দায়িত্ব বেড়ে যায়। দক্ষতার সাথে পরিচালনায় ব্যর্থ হলে আপনার সফলতার সম্ভাবনাও ক্ষীন হয়ে আসবে। এজন্য এমএলএম এর মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

 

চ. ভালো উদ্যোগী হয়ে উঠুনঃ  যে কোন কাজে উদ্যোগ গ্রহন করা একটি উৎকৃষ্ঠ গুণ। কিছু মানুষ আছে যারা বেশ উদ্যোগী এবং এমন নতুন নতুন বিষয় তারা তৈরী করে যা দ্বারা সকলেই উৎসাহী হয়। ভালো ও আকর্ষণীয় বিষয়গুলো নিয়ে ভাবুন এবং উদ্যোগ নিন তা সম্পন্ন করার। যেমন ধরুন দীর্ঘদিন যাবত একই স্থানে (বদ্ধরুমে) প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন হঠাৎ এর পরিবর্তন করে নতুন উন্মুক্ত কোন স্থানে আয়োজন করলে তা অবশ্যই আকর্ষণীয় ও ফলপ্রসূ হবে। এসব উদ্যোগ গ্রহন দক্ষতার ছাপ রাখবে।

 

ছ. কাজে আনন্দ সৃষ্টি করুনঃ  যে কাজ আপনাকে আনন্দ দেয় সে কাজের ফলাফলও চমৎকার। অর্থাৎ যে কাজ আপনাকে করতে হবে সে কাজে আনন্দ সৃষ্টি করুন। মনে রাখবেন কাজ করার সময় কাজের ফলাফলের চিন্তা না করে সঠিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করুন। যেমন ভালো ক্লোজিং ও সঠিক সময়ে ফলোআপ করলে সম্ভাব্য ক্রেতার ইতিবাচক ফলাফল আসবেই। এজন্য যে কাজ করা উচিত তা আগে করুন এবং দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজে আনন্দ তৈরী করুন।

Monday 3 March 2014

সফলতার গোপন কিছু সূত্র


এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ সফল এবং সুখী হতে চায়। কিন্তু সে জানে না সফল এবং সুখী হওয়া যায় কিভাবে..................
সফল এবং সুখী হওয়ার মূল কিছু উপাদান রয়েছে। এই লেখাতে আমি সেই উপাদান গুলো সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
সফলতা এবং সুখের মধ্যে একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। অনেকে বলেন, “যারা সফল তারা সুখী”। কিন্তু Albart Schweitzer এর মতে, “সফলতা সুখের চাবিকাঠি নয় বরং সুখ হোল সফলতার চাবিকাঠি। আপনার কাজকে যদি আপনি মনে প্রানে ভালবাসতে পারেন অর্থাৎ যদি আপনি নিজের কাজ নিয়ে সুখী হন তবে আপনি অবশ্যই সফল হবেন।“

সফলতা কে এভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, যেমন একজন রিকশাওালার কাছে সি.এন.জি এর মালিক হওয়াই অনেক বড় সফলতা, আবার একজন ছাত্রের কাছে পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করাই অনেক বড় সফলতা, এবং একজন চাকরিজীবী এর কাছে প্রমোশন। এমনি করে সবার কাছে সফলতার সংজ্ঞা বা পরিমাপ এক নয়। তাই এভাবেও বলা যায়..........  এই ট্রেনের যাত্রীরা প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়েও রওয়ানা হয়ে হয়েছে গন্তব্য পানে। তারা জানে এ ঝুকির মধ্যে সাড়া জীবন থাকতে হবে না। গন্তব্য চলে এলেই আছে সুখ। “It’s a journey not a Destination”এই জীবনে চলার পুরো পথটি ই শেখার জন্য উন্মুক্ত এবং আমরা প্রতিনিয়তই শিখি। নতুন নতুন কর্ম পরিকল্পনা, প্রয়োগ ধরন, চিন্তা, আইডিয়া আমরা সবসময় ব্যবহার করি। কিন্তু এই উপাদান গুলো সকল সময়, সকল পরিবেশে আপনাকে কার্যসিদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

বিশ্বাস (Believe):বিশ্বাস হচ্ছে সফলতার সবচেয়ে বড় এবং প্রয়োজনীয় উপাদান। সফল হওয়ার জন্য প্রথমেই আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে আপনি সফল হবেন।

এ বিশ্বাস মুলত তিনটি বিষয়ের উপর আনতে হয়ঃ১. নিজের উপর বিশ্বাস।২. কাজের ক্ষেত্রের উপর বিশ্বাস।৩. কাজের ধরনের উপর বিশ্বাস।

অর্থাৎ যে কোন কাজে সফলতা পাবার জন্য আপনি প্রথমেই ভাবুন যে এই কাজটি আমার জন্য, আমি অবশ্যই সফল হব, এবং আমার দ্বারাই সম্ভব। এর পর বিশ্বাস আনুন যে, এই কাজের যে ধরন, তাতে অনেকে সফল হয়েছে। 

বিশ্বাস এর তিনটি স্তর বা Level আছে।১. এলমূল এয়াকিন বা জেনে বিশ্বাস২. আইনুল এয়াকিন বা দেখে বিশ্বাস৩. হাক্কুল এয়াকিন বা ভুক্তভোগী হয়ে বিশ্বাস করা।

তৃতীয় স্তরের বিশ্বাস হচ্ছে সবচেয়ে গভীর এবং দৃঢ়। অনেকে বলেন বিশ্বাস হচ্ছে আমাদের যেকোন কাজের মূল পাওয়ার সাপ্লাই। বিশ্বাসই আমাদেরকে কোন কাজে সফল বা ব্যর্থ করে। তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং প্রাপ্তির অপেক্ষা এই দুয়ের মাঝে যে অনুভূতি আমাদের ধরে রাখে সেটাই বিশ্বাস। আপনি কি অর্জন করবেন বা কতটুকু অর্জন করবেন তার একটা সীমারেখা তৈরি করে এই বিশ্বাস। এটা অনেকটা এমন বক্তব্য এর মত, যেটা আপনি নিজেকে বলেন এবং সত্য বলে মনে করেন এবং সেটাই আপনার দৈনন্দিন জীবনকে পরিচালনা করে। যা কিছু আপনি সত্যিকার অর্থে বিশ্বাস করবেন তা আপনি অর্জন করতে পারবেন। হাদিসে আছে যে "প্রতিটি কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল।" মানুষ নিয়ত বা ইচ্ছা তখনই দৃঢ় ভাবে করে, যখন সে সেটা বিশ্বাস করে। অর্থাৎ আপনি সফল হবেন এই দৃঢ় বিশ্বাস নিজের মধ্যে স্থাপন করাই সফলতার প্রথম সূত্র। 

একটি প্রচলিত কথাও আছে যে "বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদুর।"

তাই আসুন, সফলতার মঞ্চে উঠার জন্য আমরা প্রথমেই বিশ্বাস করি জে আমরা সফল হব। হাল ছাড়া যাবে না কখনই। ঠিক এই ছবিটির মত করে.......
চেষ্টা করে যেতে হবে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত।
সবাই সফল হন নিজ নিজ কাজে। এই প্রত্যাশায়... 
ধন্যবাদ সবাইকে।





সফলতার গোপন কিছু সূত্র - ১

What is Positive Attitude ??? (Part-2)




আমাদের কোনটা প্রয়োজন এবং কেন প্রয়োজনঃ
আপনি যদি ভাবেন যে আপনি সফল হবেন, সেটি সঠিক।
আপনি যদি ভাবেন যে আপনি সফল হবেন না, সেটিও সঠিক।
তাই এইটাই ভাবা ভালো না যে, “আপনি অবশ্যই সফল হবেন।“

আমরা সবাই জীবনে সফল ও সুখী হতে চাই। সারা বিশ্বে এমন একজন ব্যাক্তিও খুঁজে পাওয়া যাবে না যে জীবনে সফল ও সুখী হতে চায় না। 

আমরা আসলে জানিনা যে কিভাবে সফলতা এবং সুখ পাওয়া যায়। তাই আমরা উপরের আলোচনা থেকে অবশ্যই বুঝতে পেরেছি যে সফল এবং সুখী হতে গেলে আমাদের প্রয়োজন Positive Attitude.

Positive Attitude আবার দুই ভাগে বিভক্ত
  1. Good Attitude
  2. Right Attitude
Good Attitude বলতে এমন আচরণ কে বুঝায়, যা ব্যাক্তির নিজের জন্য ভালো। বা এটাকে বলা যায় “খাস” বা “বিশেষ”। এ আচরনের মানুষদের বিশেষ কিছু শ্রেণী পছন্দ করে
 
এবং

Right Attitude বলতে এমন আচরণ কে বুঝায়, যা আপনার জন্যও ভালো এবং সবার জন্যও ভালো মানে সার্বজনীন একে বলা যায় “আম” বা “সাধারন”। এ আচরনের মানুষদের সবাই পছন্দ করে।

যেমন কোন একটা বিষয়কে আপনি খুব ভালো মনে করেন এবং আপনি মনে প্রানে বিশ্বাস করেন। আবার কোন বিষয়কে আপনি খারাপ মনে করেন এবং মনে প্রানে ঘৃণা করেন। কিন্তু ঐ বিষয়টি নিয়ে সাধারন অনেকের সাথে আপনার মতের মিল হতে পারে আবার না ও হতে পারে। কিন্তু আপনি সার্বিক বিচার না করে আপনার মতামত পোষণ করে যাওয়া এবং আপনার মতামতের উপর যুক্তি দাড় করানো, এটাGood হতে পারে কিন্তু Right নয়। Right তখনই হবে যখন আপনি উক্ত বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জানবেন এবং কেউ জানতে চাইলে আলোচনা করবেন, সমালোচনা নয়। কারন আপনার ভালো না লাগা প্রাধান্য দিয়ে একটা বিষয়কে যদি কারো কাছে ভুল উপস্থাপন করেন এবং সে প্রত্যক্ষ না হোক পরোক্ষ ভাবেও যদি ক্ষতির সম্মুখীন হয় তবে একটা সময় সে তা বুঝতে পারবে, বা আপনি বুঝতে পারবেন। তখন নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না বা আত্ম কষ্টে বা বিবেকের দংশনে কষ্ট পাবেন। যেকোনো ব্যাপার পরিপূর্ণ জেনে বুঝে বিচার করাকে, গ্রহন করাকে অথবা বর্জন করাকে এবং ভালো না বুঝলে আলোচনা করাকেই Right Attitude বলে। তবে স্থান, কাল, পাত্র, ভেদে আপনি Good বাRight Attitude দেখাতে পারেন।।

Keep away from people who try to belittle your ambitions. Small people always do that, but the really great ones make you feel that you too, can become great.”
Mark Twain

সমালোচনা করে বোকারা, আলোচনা করে বুদ্ধিমানরা এবং পর্যালোচনা করে জ্ঞানীরা।

What is Positive Attitude ?????? (part-1)


ইতিবাচক মনোভাব(Positive Attitude) কি?


Attitude কি? 
র্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হচ্ছে মানুষের মনোভাব পরিবর্তন করে তার জীবন যাত্রার মানকে পরিবর্তন করা। এই মনোভাব কে ই ইংরেজিতেAttitude বলা হয়। একটি মানুষের মনুষ্যত্ব এবং সামাজিকতার ধারক এবং বাহক হচ্ছে এইAttitude । মানুষের সফলতা এবং ব্যর্থতাও নির্ভর করে এর উপর। এই লেখায় আমি Attitude এর কিছু বিষয় আলোচনা করবো যা আমাদের সফলতা এবং জীবন গঠনে কেমন মনোভাব রাখা দরকার তা বুঝতে সহায়তা করবে।
প্রকারভেদঃ
Attitude কে Act বা আচরনের উপর ভিত্তি করে ২ ভাগে ভাগ করা যায়।
  • Pro-Active Attitude
  • Re-Active Attitude

    এবং Thinking বা চিন্তা করার ধরনের উপর ভিত্তি করেও একে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। 
  • Positive Attitude
  • Negative Attitude

প্রথমত,
Act  বা আচরনের ভিত্তিতে সংজ্ঞায়িত করার জন্য এককথায় বলা যায়,
যাকে হাসাইলে হাসে, কাঁদাইলে কাঁদে, রাগাইলে রাগে, খেপাইলে খ্যাপে, উস্কানিতে ঝগড়া করে, অর্থাৎ যিনি পরিস্থিতির সঠিক response করতে পারেন না বা নিজের আচরনের উপর যার কোন নিয়ন্ত্রন নেই তাকেই বলে Re-Active Attitude. সবসময় তিনি আশেপাশের পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হন।
এবং যাকে হাসাইলে হাসে না, কাঁদাইলে কাঁদে না, রাগাইলে রাগে না, খেপাইলে খ্যাপে না, উস্কানিতে ঝগড়া করে না, অর্থাৎ যিনি পরিস্থিতির সঠিকresponse করতে পারেন বা নিজের আচরনের উপর পুর্ন নিয়ন্ত্রন রাখেন তাকেই বলে Pro-Active Attitude. সবসময় যিনি আশেপাশের পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হন না এবং পরিবেশ কে যিনি প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। এই ধরনের আচরনধারী মানুষদের কে Responsible (response + able) বা দায়িত্বশীল মানুষ ও বলা যায়।
সাধারণত ছোট বাচ্চা বা পশু পাখিরা Re-Active Attitude এর হয়। চিন্তা ভাবনার প্রসারতা কম থাকলে এই আচরণ প্রকাশ পায়। ছোটবেলা জ্যৈষ্ঠ দের কাছে শুনেছি “মানুষের মতো মানুষ হ”  তখন অনেক ভাবেই ভেবে দেখলাম যে আমি তো দু’পা ওয়ালা মানুষ, আমি আবার মানুষ হব কিভাবে? আস্তে আস্তে বুঝলাম, পশুকে পশু হতে হয় না, সে জন্ম সুত্রেই পশু, কিন্তু মানুষকে মানুষ হতে হয়।" মানুষ জন্মসুত্রে মানুষের আকৃতি নিয়ে জন্মায়, কিন্তু ধীরে ধীরে জ্ঞ্যান অর্জনের মাধ্যমে তার চিন্তা, আচরণ, বোধ, বুদ্ধির প্রসার ঘটে এবং সে প্রকৃত মানুষে রূপান্তরিত হয় বা Pro-Active আচরনের অধিকারী হয়।
এক কথায় বিশ্বের সকল সফল ব্যাক্তির আচরন ই ছিল Pro-Active.
 
দ্বিতীয়ত,
চিন্তা ভাবনা বা Thinking এর ধরনের উপর ভিত্তি করে মনোভাব বা Attitude যদি ব্যাখ্যা করতে চাই তবে আমি প্রথমেই একটি ছবি দেখাবো........





অনেকেই বলবেন যে গ্লাসটি অর্ধপূর্ণ (আশাবাদী বাPositive Attitude )    এবং

অনেকেই বলবেন যে গ্লাসটি অর্ধ খালি (নিরাশাবাদী বাNegative Attitude)





আমাদের আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা এবং কাজ থেকেই বুঝা যায় যে, সে Negative না PositiveAttitude এর অধিকারী।

(চলবে.............)

একজন সফল ও একজন ব্যর্থ ব্যাক্তির তুলনা


 
 একজন সফল ও একজন ব্যর্থ ব্যাক্তির তুলনা

সফলব্যাক্তি    :    সর্বদা সমাধানের পথ দেখায় 
ব্যর্থ ব্যাক্তি      :    সর্বদা সমস্যার কথাই বলে।

সফলব্যাক্তি    :    সর্বদা প্রোগ্রাম করে বেড়ায়।
ব্যর্থ ব্যাক্তি      :    সর্বদা ক্ষমা চেয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখে।

সফলব্যাক্তি    :    আপনার জন্য কিছু করতে চায়। 
ব্যর্থ ব্যাক্তি      :    আপনার জন্য কিছু করা “ওটা তার কাজ নয়”  এই বলে বেড়ায়।  

সফলব্যাক্তি    :    প্রতিটি সমস্যার সমাধান সে জানে
ব্যর্থ ব্যাক্তি     :    প্রতিটি সমাধানকেও সমস্যা মনে করে।

সফলব্যাক্তি   :    কঠিন কিছুর সম্ভাব্য সমাধান দিতে পারে। 
ব্যর্থ ব্যাক্তি    :    কোন সম্ভাব্য কিছুকেও কঠিন মনে করে।

সফলব্যাক্তি     :    সর্বাত্মক চেষ্টা করে 
ব্যর্থ ব্যাক্তি      :    খুব কম চেষ্টা করে।

সফলব্যাক্তি    :    কোন ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত তৈরি করতে পারে।
ব্যর্থ ব্যাক্তি     :    যে কোন বিষয়কে উপেক্ষা করে।

সফলব্যাক্তি    :    সমস্যার কারন খুঁজে সমাধানের চেষ্টা করে।
ব্যর্থ ব্যাক্তি     :    সমস্যার জন্য সর্বদা কাউকে না কাউকে দায়ী করে।

সফলব্যাক্তি    :    প্রতিটি বালিয়াড়ির পাশে সবুজ দেখতে পায়।
ব্যর্থ ব্যাক্তি     :    সবুজের পাশে বালিয়াড়িই শুধু চোখে পরে।

সফলব্যাক্তি    :    উন্নতি সাধনে ক্রমাগত ব্রত হয়। 
ব্যর্থ ব্যাক্তি     :    ব্যর্থতার জন্য ভাগ্যকে দোষারোপ করে।
আপনি কি সফল ব্যাক্তি হতে চান না ব্যর্থ ব্যাক্তি হতে চান ??

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর টিপস এবং ট্রিক্স


  •  


            লেখক ঃঃ   হিল্টন জন
    সংগ্রাহক এবং অনুবাদক ঃঃ   ইমরান-আল-হাসান

    1.    নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হোল ব্যবসায়িক উপস্থাপনা(Business Presentation)। এটি শিখতে প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে সময় দেয়া উচিৎ এবং এভাবে প্রায় ৩ মাস সময় দিয়ে এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে শেখা উচিৎ।

    2.    আনন্দময়, ভাবনাহীন, আকর্ষণীয়, অর্থবহ দিনানিপাত করাই সুখের গোপন কথা। এর সবই অল্প সময়ের কঠোর পরিস্রম এর মাধ্যমেনেটওয়ার্ক মার্কেটিং থেকে পাওয়াযায়

    3.    যারা তাদের সময় বিভিন্ন কাজে বা একসাথে একাধিক কাজে ব্যয় করে, তারা তেমন সৃষ্টিশীল, গতিশীল, অর্জনকারী এবং সুখী হয় না তাদের মতো যারা একটা নির্দিষ্ট সময় একটা নির্দিষ্ট কাজে পুরো মনঃসংযোগ করে।
    সূর্যের আলো কখনো কোথাও আগুন ধরায় না। কিন্তু ফোকাস করলে আগুন ধরতে বাধ্য।

    4.    যারা পজিটিভ ভাবনাকারি অদেখা কে দেখে, অবর্ণনীয় কে অনুভব করে এবং অসম্ভব কে জয় করে।

    5.    নিজের চিন্তা ভাবনাকে সমীকরণের বাইরে বিচার বিশ্লেষণ এর সম্পূর্ণ উর্ধে নিয়ে আসাই হচ্ছে মানুশের সাথে যোগাযোগ করার আকর্ষণীয় উপায়। এই ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকুনঃ
         ১. আপনি করুন...............
         ২. আপনার প্রয়োজন............
         ৩. আমি আপনার জন্য কি করতে পারি............
    বলতে পারেন  “চলুন আমরা করি।“

    6.    বিবাহিত দম্পতির মধ্যে কে আসল “বস” তা নির্ণয় করার জন্য প্রশ্ন করুন, “আপনারা আমার অনুষ্ঠান থেকে কি ধরনের উৎসাহ পেলেন?” যে প্রথমে উত্তর দেবে সেই “বস”।

    7.    পুরাতন প্রসপেক্ট এর কাছে পুনরায় বিক্রি করার জন্য তার সাথে নিয়মিত প্রেজেন্টেশান সিডি, কোম্পানির খবর, নতুন প্রোডাক্ট, প্রোগ্রাম এর দাওয়াত ইত্যাদি দিয়ে যোগাযোগ রাখতে হবে। কারন ডাইরেক্ট সেলিং এর ক্রেতা কখনো সাবেক হয় না।

    8.    প্লান-সো দেখানোর আগে গেস্ট কে তার কতক্ষন সময় আছে জিজ্ঞেস করুন, এতে আপনি বুঝবেন যে গেস্ট আপনার কথা কতোটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে। আলোচনা দীর্ঘায়িত করবেন না, এতে গেস্ট বুঝবে আপনি নিজের এবং তার সময়ের মূল্যায়ন বোঝেন।