Tuesday, 7 January 2014

টেলিফোনে আলাপ করার কয়েকটি কৌশল

বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহার করে আমরা অতিথি বা নতুন ডিস্ট্রিবিউটরদের সহিত যোগাযোগ করতে পারি। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো টেলিফোন। মনের ভাব প্রকাশ করা ও কুশল বিনিময়ের অন্যতম পন্থা টেলিফোনিক আলাপ। আমরা নিম্নোক্ত কিছু বিষয়ের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখব যা পরবর্তীতে সফলতা অর্জনে সহায়ক হবে।
 
নিজেকে তৈরী করে নিনঃ  মানসিকভাবে নিজেকে প্রথমে প্রস্তুত করে নিন যা আপনাকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ আত্ববিশ্বাসী না হলে আপনার ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে বেশি কি ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন তার একটি সম্ভাব্য তালিকা প্রস্তুত করুন এবং তা চর্চা করুন।
 
সঠিকভাবে স্ক্রিপট তৈরী করুনঃ  টেলিফোনিক আলোচনার পূর্বে একটি স্ত্রিপট তৈরী করে হাতে রাখুন। টেলিফোনে আলোচনার সময় অনেক কিছু তাৎক্ষণিক আপনার মনে নাও আসতে পারে। এজন্য স্ক্রিপট উল্লেখিত পয়েন্টগুলো আলোচনায় সহায়ক হবে। সঠিকও নির্ভুল তথ্য দিয়ে স্ত্রিপট তৈরী করুন যাতে গ্রহীতা বিভ্রান্ত না হন।
 
গ্রহীতার মনোযোগের প্রতি লক্ষ্য রাখুনঃ  উদ্দেশ্যে ফোন করেছেন তা যেন কোন অবস্থাতেই ভেস্তে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। এজন্য গ্রতীতা কতটুকু আগ্রহ বা মনোযোগ গিয়ে আপনার কথাগুলো শুনছে তার প্রতি সজাগ থাকুন। সাধারণত গ্রহীতা কোন কাজে ব্যস্ত থাকলে আপনার সুন্দর কথাগুলো ও তার নিকট বিরক্তিকর মনে হবে ফলে ব্যবসার ইতিবাচক দিকগুলো সে ভালোভাবে গ্রহন লাভ করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে নিন এবং পরবর্তীতে আলোচনার প্রস্তাব জানিয়ে সৌজন্যতার সহিত বিদায় নিন। টেলিফোনে কথা বলার সময় গ্রহীতাকে আগ্রহী মনে হবে যখন তখন সামনা সামনি আলোচনার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিন।
 
শুনতে অভ্যস্ত হউনঃ  নিজেকে ভালো শ্রোতা হিসেবে তৈরী করে নিন। আপনার পরিচিতজনের নিকট ফোন করার পর খুব স্বাভাবিক যে তিনি আপনার ব্যাপারে জানতে চাইবেন এবং তার নিজের সাফল্য ও সমস্যা আপনাকে শুনাতে চাইবেন। এতে তিনি দীর্ঘ সময় নিলেও তা আপনাকে ধৈর্য্য সহকারে শুনতে হবে। আপনার শোনার অনাগ্রহ তিনি যাতে কোন অবস্থায় বুঝতে না পারেন। সাধারণত মানুষ শোনার চেয়ে বলতে অভ্যস্ত, কিন্তু আপনাকে শুনার অভ্যস্ত হতে হবে। দ্বিমুখী আলোচনায় কোন প্রকার নেতিবাচক মনোভাব আপনার সাফল্যের অন্তরায়। এজন্য ইতিবাচক মনোভাব ও আলোচনা একান্ত প্রয়োজন।
 
ধৈর্য্যশীল হউনঃ  সম্ভাবনাময় ক্রেতার নিকট ফোন করার সময় ধৈর্য্যশীল হতে হবে। সাধারণত প্রথমবার ব্যবসার বিষয় সম্পর্কে আপনি আলোচনার সুযোগ নাও পেতে পারেন। পূণরায় সময় চেয়ে নিন এবং সুযোগ বুঝে ব্যবসার সম্ভাবনার কথা বলুন। মনে রাখবেন যে শ্রোতা যত বেশি সময় নিবে আর কার্যক্রম তত ইতিবাচক হবে।
 
কণ্ঠস্বর স্বাভাবিক রাখুনঃ  বিক্রয়কর্মীদের ন্যায় কথাবার্তা থেকে বিরত থাকুন এক কণ্ঠস্বর স্বাভাবিক রাখুন। গ্রহীতা (অতিথি) কে সুযোগ প্রদান করবেন এমন ধারনার চেয়ে তাকে সম্ভাবনাময় ব্যবসার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রথম আচরন করুন আপনার কণ্ঠস্বর ও কথাবার্তার- মাধ্যমে সম্ভাবনাময় গ্রাহক হয়তো বুঝে নিতে পারেন আপনি কোন ব্যবসার কথা বলছেন, এক্ষেত্রে আপনি ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন করুন এবং আপনার কার্যক্রম দেখার আমন্ত্রন করুন।
 
পূনঃপূনঃ ফোন করবেন নাঃ  আপনি প্রথমবার ফোন করে ব্যর্থ হওয়ার পর অর্থাৎ গ্রাহক সম্পূর্ণ নেতিবাচক মনোভাব প্রদর্শনের পর আপনি পূনরায় ফোন করবেন না। আপনি দ্বিতীয় কোন মাধ্যম ব্যবহার করে তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন এবং এমন পরিবেশ তৈরী করুন যাতে গ্রাহক নিজেই আপনাকে ফোন করে। এবার গ্রাহকের আগ্রহ যাচাই করে আলোচনায় বসুন। সম্ভাবনাময় গ্রাহকের সাথে আলোচনার পূর্বে প্রয়োজনে আপনার দলনেতার সহিত আলোচনা করে নিন।
 
নেতিবাচক কথা বলবেন নাঃ  নেতিবাচক কথোপকখন আপনার সাফল্যের অন্তরায়। যখনি গ্রাহক নেতিবাচক মনোভাব পোষন করবেন তখনি যুক্তি দিয়ে তাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করুন। সাধারণত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং সম্পর্কে না জেনে শুধু লোকমুখে শুনে অনেকে মন্তব্য করে। আপনি তাকে সচক্ষে দেখার ও বুঝার আমন্ত্রণ করুন তাতে গ্রাহক অধিকতর পজেটিভ হবেনা।

সফল দল (টীম) গঠন করার কৌশল

যে কোন সংগঠনের বা প্রতিষ্ঠানে সফলতার মূলভিত্তি শক্তিশালী দল বা টীম গঠন। সেটা হোক ক্রিকেট বা ফুটবল খেলা, হোক স্থাপত্য নির্মান কিংবা উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধি সব কিছুর মূলে রয়েছে শক্তিশালী দলের ভূমিকা। দলীয় লক্ষ্য অর্জন সহজতর হয় যখন ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জিত হয় যা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় শতভাগ সত্য। প্রতিটি মানুষেরই দলগঠন করার কিছু কৌশল জানা থাকে যা জন্মলাভের পর পরিবেশ হতে শিখতে থাকে। আপনি যখনই দল গঠন করতে যাবেন নিন্মোক্ত কিছু বিষয় নির্ধারন করে নিনঃ

 

১. দল বা টীমের লক্ষ্য কি?    ২. দল বা টীমের উদ্দেশ্য কি?  ৩. দলের নীতিমালা কি হবে?   ৪. দলের কার্যক্রম কি হবে?   

 

আপনার অভিজ্ঞতা, শিক্ষন, আপ-লাইন ডিস্ট্রিবিউটরদের সহিত আলোচনা এবং এক্সপার্টদের পরামর্শ গ্রহন করবেন উপরোক্ত বিষয়গুলো নির্ধারনের ক্ষেত্রে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় এককভাবে কেহ সফল হতে পারে না। অন্যদের সহযোগিতা ব্যতীত উদাহরণ স্বরূপ ধরুন, আপনি আপনার ডাউনলাইনারদের নিয়ে যে দলটি গঠন করেছেন এর নাম দিয়েছেন “বিবর্তন চ্যালেঞ্জ গ্রুপ।” আপনার ঠিক ইমিডিয়েট ডাউনলাইনার (যাকে সরাসরি হাত বলে থাকি) আর একটি দল গঠন করেছে যার নাম “এক্সপার্ট মিশন গ্রুপ” ধরে নিই আপনার ডাউনলাইনের এরূপ দশটি গ্রুপ বা দল কাজ করছে। ডাউনলাইনের প্রত্যেকটি দলের সফলতা আপনার জন্য সফলতা বয়ে আনবে। লক্ষ্য করুন প্রতিটি দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে সামঞ্জস্য আছে। দলনেতা হিসেবে আপনার কাজ হবে নীতিমালা ও কার্যক্রম নির্ধারনে সহযোগিতা প্রদান। আপনার ডাউনলাইনের প্রতিটি দল বা গ্রুপই আপনার গ্রুপের সাব-গ্রুপ।

 

এবার দেখা যাক যাদের নিয়ে দল বা গ্রুপ তৈরী করবেন তাদের কিভাবে বাছাই করবেন। আপনার ডাউনলাইনের প্রত্যেক ডিস্ট্রিবিউটরই আপনার গ্রুপের সদস্য, কিন্তু এদের মধ্যে রয়েছে পরিশ্রমী আবার কেউবা অলস। কারো আগ্রহ বেশি কারও কম। এদের মধ্য হতে বাছাই করতে হবে গ্রুপের দায়িত্বশীল লোকদের। বাছাইয়ের জন্য নিন্মোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করুনঃ

 

প্রথম ধাপঃ ডাউনলাইন ডিস্ট্রিবিউটরদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করুন। এবার পরীক্ষা করে দেখুন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার মতো তার যোগ্যতা আছে কিনা।

 

দ্বিতীয় ধাপঃ ব্যক্তির আগ্রহ যাচাই করুন। শখের বসে যারা কাজ করছে তারা যে কোন দলের জন্য উপযুক্ত নয়। যারা এ ব্যবসা সম্পর্কে খুবই আশাবাদী ও ফলাফল প্রত্যাশী তাদের চিহ্নিত করুন। এজন্য দক্ষ দলনেতা হিসেবে আপনাকে আগ্রহী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা আবশ্যক।

 

তৃতীয় ধাপঃ এধাপে আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রতিক্রিয়া যাচাই করুন। কাজের ধরন, নিরলস শ্রম ও ব্যক্তিক উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে ডিস্ট্রিবিউটররা ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া করে। আপনি যাদের নিয়ে দল গঠন করবেন তাদের নিকট হতে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া একান্ত আবশ্যক।

 

চতুর্থ ধাপঃ এধাপটিতে যাচাই করুন আগ্রহী ব্যক্তি কতটুকু দায়িত্বশীল। নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ ব্যক্তিদের দায়িত্বপ্রদান অনুচিত। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের খুঁজে নেয়ার জন্য প্রথমে তাদের ছোট কাজ দিন এবং সময় বেঁধে দিন। যারা অধিক আগ্রহী কিন্তু দায়িত্বে অবহেলা করে তারা যে কোন দলের জন্য ক্ষতিকর আবার যারা আগ্রহী ও দায়িত্ব পালন করে তারা দলের নেতৃত্বে যোগ্য।

 

পঞ্চম ধাপঃ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর ব্যক্তির আগমন ঘটবে আপনার দলে। কেউবা চাকুরীজিবী, কেউবা ব্যবসায়ী, কেউবা ছাত্র, কেউবা গৃহবধু, কেউবা চাকুরী সন্ধানী, কেউবা পেশাজীবি ইত্যাদি। আপনাকে কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে যেমনঃ- চাকুরীজিবীরা পূর্ণ সময় প্রদানে অক্ষম, আবার গৃহবধুরা নির্দিষ্ট সময় প্রদান করতে পারবেন না ইত্যাদি।

 

উপরোক্ত সব বিষয়গুলো বিবেচনা করে দল গঠন করতে হবে। একই দলে বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর লোকজনের সমাগম ঘটাতে হবে। এতে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের সংমিশ্রণ ঘটে। এর ফলাফলও অনেক শ্রেয়।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার কৌশল

যে কোন ব্যবসার মূল লক্ষ্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা অর্থাৎ বিক্রয় বৃদ্ধি করা। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ কারণ এম.এল.এম. খুচরা বিক্রয়ের উপর নির্ভরশীল। খুচরা বিক্রয়ে সরাসরি সম্পৃক্ত ক্রেতাগণ। একজন ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে পণ্য ক্রয় করার পাশাপাশি নতুন ক্রেতাদের স্পন্সর করাতে পারলেই দীর্ঘমেয়াদী কমিশন অর্জন সহজতর হয়। নতুন ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার কৌশল এমন হতে পারে-

 

জীবন যাত্রা বদলে ফেলুনঃ
 নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসার প্রাথমিক পর্যায়ের আয় দ্বারা আপনার জীবনযাত্রা বদলে ফেলুন। আপনার পরিবর্তন অন্যদের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি করবে। আপনার পরিবর্তনে মূল কারণ আয় বৃদ্ধি। আপনার বাড়তি আয়ের জন্য নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসা সম্পর্কে জানার পরই ক্রেতারদের আকৃষ্ট করা সহজতর হবে।

 

সম্পর্ক আরো গভীর করে তুলুনঃ
  আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক পূর্বের চেয়ে গভীরতা করে ফেলুন। তাদের সুখ-দুঃখে, সমস্যাগ্রস্থ অবস্থায় পাশাপাশি থাকার চেষ্টা করুন। তাদের কাছে আপনার গ্রহনযোগ্যতা বেশি হলে আপনার দেখানো পথ-ই তারা অনুসরণ করবে।

 

টেলিফোনে কুশল বিনিময় করুনঃ
 প্রত্যেকেই তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের কাছ হতে ফোন প্রত্যাশা করে। সম্ভাব্য ক্রেতার আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে তার সাথে কুশল বিনিময় করুন। তার পরিবার পরিজনের খোঁজ খবর নিন এবং আপনার নতুন ব্যবসা দেখার নিমন্ত্রন করুন। আপনার ইতিবাচক কথোপকথন সম্ভাব্য ক্রেতার মাঝে আগ্রহ তৈরী করবে।

 

ক্রেতার কর্মদক্ষতার তারিফ করুনঃ
  প্রত্যেক মানুষ নিজের কর্মদক্ষতা সাফল্যের তারিফ শুনতে পছন্দ করে। নেতিবাচক মানুষগুলো এর পেছনে কোন দূরভিসন্ধি খুঁজে বেড়ায়। যেটুকু তারিফ পাওয়ার যোগ্য সেটুকু করুন। পরিশেষে বলুন, “আপনার দ্বারা আরো চমৎকার কিছু সম্ভব, অবশ্য এজন্য আপনার ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট” এ বলে আগ্রহ যাচাই করুন।

 

আপনার সফলতার কথা বলুনঃ
 পরিচিতজনের সাফল্যের কথা সবাই শুনতে পছন্দ করে। তবে এর পূর্বে প্রমান করতে হবে আপনি সফল। আপনি যত সংক্ষেপে ও সুন্দরভাবে আপনার সফলতার কথা সম্পন্ন করতে পারবেন আপনার সম্ভাব্য ক্রেতা ততই আকৃষ্ট হবেন।

 

সত্য প্রকাশে অনড় থাকুনঃ
 আপনি কি করছেন তা অবশ্যই আপনি জানেন। যদি না জেনে করেন তবে আগে জেনে নিন। আপনি যা করছেন তা সত্য, যদি তা অসত্য হয় তবে বিরত থাকুন। সত্য প্রকাশে অনড় থাকুন। আপনার চারপাশের মানুষ আপনার ও আপনার প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ আপনার কর্মের প্রতি আগ্রহী হবে। কাল্পনিক কোন বিষয়কে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবেন না, সত্য আপনাকে সাফল্যের পথে নিয়ে যাবে। অধিকাংশ ক্রেতাই সত্যের পথ খোঁজেন।

 

কৃত্রিমতা বর্জন করুন ঃ
  কৃত্রিমতা আপনার নিজস্ব সত্তাকে নষ্ট করবে। স্মার্ট হতে গিয়ে এমন আচরণ করবেন না যা ক্রেতার মনে সন্দেহ সৃষ্টি করে। মনে রাখবেন অধিকাংশ ক্রেতাই বুদ্ধিমান। বুদ্ধিমান ক্রেতা বা প্রসপেক্টদের নিকট বুদ্ধিমত্তার সহিত উপস্থাপন।

কেন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় অনেকে ব্যর্থ হয়

যারা ব্যর্থ তারা সব কাজে ব্যর্থতার সম্ভাবনা থাকে। কারণ তারা কাজে নামার পূর্বে ব্যর্থতার ভয় কাঁধে নিয়ে নেয়। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং একটি সহজ ব্যবসা। কিন্তু অনেকের জন্য ভয়ংকর রকম জটিল। কোনো ধারণা নেই এমন একজন লোক যখন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসা আরম্ভ করে এবং কোনো প্রশিক্ষণ ব্যতীত নতুনদের পরামর্শ দেয় তবে তার ব্যবসা জটিল হবেই। একজন অতি বুদ্ধিমান লোক যখন জানতে পারলেন ডাউন-লাইনের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে কমিশন বৃদ্ধি পায় পরদিন তিনজন নতুন অতিথি নিয়ে উপস্থিত হলেন। কিন্তু অতি বুদ্ধিমান লোকটি তখনো ব্যবসারম্ভ করেননি। পরের ঘটনা বুঝতেই পারছেন চারজনই তর্কে জড়িয়ে পড়ল কে আগে জয়েন করবে। এজন্য এ ব্যবসায় প্রশিক্ষন কিংবা দিক নির্দেশনা অত্যাবশ্যক। আমরা এক নজরে দেখে নেই কেন এমএলএম ব্যবসায় অনেকে ব্যর্থ হয়।

 

ক. যিনি ব্যবসা বুঝেন নাঃ   নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতিকে আমরা ব্যবসা হিসেবে চিহ্নিত করি। অবশ্যই সফলতার জন্য ব্যবসা বুঝতে হবে। ব্যবসা মানে কি শুধু লাভ-ক্ষতির? দশ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে প্রথম একবছর শোরুম কিংবা ঘরভাড়া যোগান দেয়া কষ্টকর হয়ে যেতে পারে। তাহলে কি পরের বছরই ব্যবসা ছেড়ে দেয়? ধৈর্য্য, অভিজ্ঞতা অর্জন, পরিচিতি ও মুনাফা অর্জন করতে হবে তবেই লাভ আসবে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় সবকিছুর জন্য যদি দুমাস ব্যয় করেন-দীর্ঘ মেয়াদী আয়ের পর সৃষ্টি হবে। যিনি দু’মাস ব্যয় করতে পারেননা ধরে নিতে হবে তিনি ব্যবসা বুঝেন না। তিনি ব্যর্থ হবেন এটাই সত্য।

 

খ. মার্কেটিং জানেন না বলেইঃ  যে কোন পণ্য বিপননে আপনাকে কথা বলতে হবে। পণ্যের গুণাগুণ, মূল্য, বিক্রয়োত্তর সেবা ইত্যাদি বলতে না পারলে বিক্রয় সম্ভব হয় না। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ এসব ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদী কমিশন ও রেমিডিউল আয়ের সম্পর্কে বলতে হবে ক্রেতাদের। অর্থাৎ কোম্পানী, পদ্ধতি ও পণ্য সম্পর্কিত বিপননে ব্যর্থ হলে আপনি ব্যর্থ হবেন। আমরা নেতিবাচক পরিবেশে বাস করে এমন অভ্যস্থ যে কেউ কোন সুযোগ বা সম্ভাবনার কথা বললে ও বিশ্বাস করতে চাইনা। এজন্য ভালো বিক্রয়কর্মী না হলে আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এ সফলতা পাবেন না।

 

গ. অসৎ উপায় অবলম্বনঃ  এমএলএম ব্যবসায় সফলতা প্রাপ্তি যেমন সহজ তেমনি ব্যর্থতাও দেখা যায় যখন কেউ অসৎ উপায় অবলম্বন করে যেমন ডাউন-লাইনের অতিথি চুরি করা, তাদের ভুল পরামর্শ দেয়া, অন্য গ্রুপে বিবাদ সৃষ্টি করা অন্যদের অর্থ আত্মস্বাত করা ইত্যাদি। যেহেতু এমএলএম ব্যবসায় ডুপ্লিকেশন হয় এজন্য আপনি যা করবেন ঠিক আপনাকেই অনুসরন করবে আপনার ডাউন-লাইনাররা। আপনার শিখানো পন্থায় আপনাকে ব্যর্থ হতে বাধ্য করবে।

 

ঘ. অন্যের উপর নির্ভরশীলতাঃ  নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় দলীয় উৎপাদনশীলতা অনেক বেশি তাই বলে অন্যের উপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। নিজের কর্মদক্ষতা প্রমান করতে পারলেই সফল হওয়া সম্ভব। অনেক বুদ্ধিমান মানুষ নির্বুদ্ধিতার কাজ করে যখন অন্যকে দিয়ে নিজের কাজটুকু সারিয়ে ফেলতে চায়। এ ব্যবসায় প্রত্যেককে দৌড়াঁতে হয় যারা পিছনে পড়ে যায় তারা পূনরায় নিজস্থান দখল করতে বহুগুণ কষ্ট করতে হয়। যারা নির্ভরশীল তাদের ব্যর্থতা অনিবার্য।

 

ঙ. নেতৃত্ব প্রদানে ব্যর্থতাঃ  নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় এককভাবে বিপণন করে বেশি দূর এগোনো যায় না। যখনই নতুন কাউকে স্পন্সর করবেন কিংবা দলগঠন করার চেষ্টা করবেন তখনি নেতৃত্ব প্রদানের বিষয়টি চলে আসে। আপনার ডাউন-লাইনে যতবেশি নেতা তৈরীতে সক্ষম হবেন আপনার সফলতা তত বেশি হবে। কিন্তু নেতা তৈরীর জন্য আপনাকে নেতা হতে হবে। অর্থাৎ নেতৃত্ব প্রদানের সামর্থ্য প্রয়োজন। নেতৃত্ব প্রদানে ব্যর্থতার দরুন নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসায় অনেকে ব্যর্থ হয়।

Wednesday, 1 January 2014

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কেন করি?

এক কথায় উত্তর দিতে গেলে বলতে হয়, স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করি। প্রত্যেক মানুষই জীবনে সফলতা চায়। সফলতা কোনো সোনার হরিণ নয়। আপনি সফল এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ মানুষ জন্ম নিয়েছে সফল হওয়ার জন্য। মানুষের জীবনে ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই। তথাপি এমন লোকের নাগাল পাওয়া মোটেও কষ্টসাধ্য নয়, যে নিজেকে ভাগ্যের হাতে সঁপে দিয়ে বলে থাকে, সফলতা আমার জন্য নয়। আমার ভাগ্যটাই খারাপ। অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্পষ্টতই বলেছেন, 'যে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে না আমি তার ভাগ্যের পরিবর্তন করি না।' তার মানে হচ্ছে চাইতে হবে বা স্বপ্ন দেখতে হবে। কী রকম স্বপ্ন। নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন। মানুষ ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে না; যা দেখে তা ঘটে যাওয়া ঘটনার পুনরাবৃত্তি মাত্র। ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভেনিশ হয়ে যায়। মানুষ স্বপ্ন দেখবে জেগে জেগে। স্বপ্ন দেখে নিজের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করবে। প্রশ্ন জাগতে পারে, কেমন স্বপ্ন? এই স্বপ্নকে আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করবো। প্রথমত, ব্যক্তিগত স্বপ্ন। যে স্বপ্ন আমাদের সফলতার পথ দেখাবে। আমরা সবাই সফল হতে চাই; কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছি কী_ সফলতা কি? কেউ গান গেয়ে সফল হতে চাই, কেউ কবিতা লিখে সফল হতে চাই। কেউ পছন্দের খাবার খেয়ে নিজেকে সফল ব্যক্তি ভাবি। আবার কেউ ভালো বক্তৃতা করেও নিজেকে সফল ভাবি। এমনিভাবে চাকরি, ব্যবসা, বুদ্ধিবৃত্তি আরো বহুবিধভাবে আমরা নিজেকে সফল ভাবি। এসব ক্ষেত্রে অনেকের সফলতা আবার আকাশচুম্বী। মাঝে মধ্যে পত্রিকার পাতায় দেখি অমুক গাঁয়ের অমুক হাঁস-মুরগির খামার করে সফল। কেউ আবার বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করে সফল। সফলতার এই ধারাটিকেও কিন্তু কোনো অংশে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কেননা দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত একটি পরিবারের দুবেলা দু-মুঠো অন্নের সফলতাকে আমরা নিশ্চয়ই সম্মান করবো। কিন্তু প্রকৃত সফলতার কথা জানতে চাইলে আপাত সফল ব্যক্তির বুক চিরে একটি লম্বা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসবে_ কারণ এখনো তিনি তার পছন্দের বাড়িতে থাকেন না। তিনি তার পছন্দর গাড়িতে চড়তে পারেন না। তিনি তার পছন্দের জামাটি কিনতে পারেন না, পরিবারের চাহিদামতো খরচ করতে পারেন না। সুতরাং ব্যক্তিগত স্বপ্ন হবে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের যথার্থ বাস্তবায়ন। মানুষ পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ। তাই তাকে পারিবারিক স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য স্বপ্ন দেখতে হবে। আমরা আমাদের পরিবার-পরিজনকে ভালোবাসি। তাদের সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের প্রাণ আকুলি-বিকুলি করে। কিন্তু আমরা ক'জন বুকে সাহস নিয়ে এগিয়ে আসতে পারি। 'আমি আমার মাকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসি, তার জন্য জীবন বিলিয়ে দিতে আমার দ্বিধা নেই। আমি আমার স্ত্রী-সন্তানকে এত ভালোবাসি যে, তাদের জন্য জীবন বাজি রাখতে পারি'_ এসবই হচ্ছে আমাদের মুখের কথা। কারণ আমরা তাদের সত্যি সত্যিই ভালোবাসি। আসুন এই ভালোবাসার একটি প্রমাণ দেয়া যাক (খোদা না করুন)। 
একদিন স্কুল থেকে প্রচ- জ্বর নিয়ে আপনার প্রিয় সন্তানটি বাড়ি ফিরল। কয়েক দিন গেল। কোনো ওষুধে জ্বর সারছে না। আপনি দুশ্চিন্তায় ডুবে গেছেন। আপনার স্ত্রী অধৈর্য হয়ে উঠেছেন। অবশেষে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরীক্ষায় ধরা পড়লো আপনার সন্তানের লিউকোমিয়া অর্থাৎ বস্নাড ক্যান্সার। চিকিৎসার জন্য এক্ষুনি বিদেশে নেয়া দরকার। প্রাথমিক অবস্থা, সুচিকিৎসায় সেরে যাবে। তার চিকিৎসার জন্য লাখ বিশেক টাকা দরকার। সন্তানের জন্য আপনি অবশ্যই আপনার সর্বস্ব বিক্রি করে দিতে রাজি; কিন্তু আপনার পরিবার পরিজনের ভবিষ্যৎ? পরিবারের যে কোনো সদস্যের প্রয়োজন মেটাতে আপনি কি নিজেকে সব সময় প্রস্তুত রাখতে পেরেছেন? যদি উত্তর না-সূচক হয়; তাহলে? আপনাকে পারিবারিক স্বপ্ন দেখতে হবে। পরিবারের সবার মুখে হাসি ধরে রাখতে যা করা দরকার তার সন্ধান করতে হবে। মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা অনেক। আমাদের জাতীয় সংগীতে বলা হয়েছে 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি...'। আমরা আমাদের দেশকে সন্দেহাতীতভাবে ভালোবাসি। তাই তো ত্রিশ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করে বিশ্বের মানুষকে অবাক করে দিয়েছি। আমরা রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক স্বাধীনতা লাভ করেছি বটে; কিন্তু আজো অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পারিনি, যা আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পূর্বশর্ত ছিল। আপনি যখন স্বাধীন দেশের রাস্তায় মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে নিতে বুক ফুলিয়ে হাঁটতে থাকেন তখন আপনারই সন্তানের বয়সী একটি শিশু যখন ভিক্ষার জন্য হাত বাড়ায় তখন কি আপনার বুক চিরে একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে না? এই দীর্ঘশ্বাস কেন? তা কি কখনো নিজেকে প্রশ্ন করে দেখেছেন? মানুষের জন্য অনেক ভালো কাজ করার বাসনা আমাদের প্রত্যেকের মনেই লুকিয়ে আছে। আমরা ভালো কিছু করতে চাই। আমরা মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি চাই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে চাই। আমাদের এই চাওয়ায় কোনো খাঁদ নেই। তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা একটাই তাহলো আমরা এখনো নিজেকে অর্থনৈতিকভাবে মুক্তি দিতে পারিনি। সুতরাং অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করা মানেই এম.এল.এম. বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। দ্রুত এবং কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্য অর্জনে নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। 
আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, বিবেক বুদ্ধি ও প্রয়োজনীয় সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিয়েই সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সুচিন্তিতভাবে এবং আত্মবিশ্বাস সহকারে অগ্রসর হওয়া মানেই হচ্ছে অনিবার্য এবং অবধারিত সফলতা। জীবনে এই সফলতার জন্য যে জিনিসটির বেশি প্রয়োজন তা হচ্ছে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। জীবনে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দরকার। কোনোভাবেই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণযোগ্য নয়। জীবনে সমস্যা আসতেই পারে এটা খুবই স্বাভাবিক। সফল মানুষ মাঝে মধ্যে সমস্যা বা ব্যর্থতাকে ওয়েলকাম করেন। যারা সৎ, সাহসী, ন্যায়পরায়ণ এবং অধ্যবসায়ী, যশ খ্যাতি এবং প্রতিষ্ঠা তাদের পায়ে লুটিয়ে পড়ে। সফল মানুষ মনে করেন অপরাপর সব মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করা এবং তা টিকিয়ে রাখা তার নিজের দায়িত্ব। আর এসবই সম্ভব জীবনে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এমনই একটি কর্মসাধনা, যার দ্বারা একজন মানুষ ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে নিজেকে সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মোৎসর্গ করতে পারে। আর এ কারণেই আমি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং করি।
কাজী আশরাফুল ইসলাম
Founder brand partner of
Enloving International 

যে পেশায় স্বপ্ন সত্যি হয়

যে পেশায় স্বপ্ন সত্যি হয়
কাজী আশরাফুল ইসলাম

প্রতিটি মানুষের একটি আশা বা স্বপ্ন থাকে। সে চাওয়া তার জীবনে পূরণ হোক বা না হোক। স্বপ্ন বা আশা ছেড়ে কোনো স্বাভাবিক মানুষ এ জগতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ আশা বা চাওয়াকে সামনে রেখেই একজন মানুষ অতিক্রম করে তার বাল্য কৌশল, যৌবন ও বার্ধক্য। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পর্বগুলোর মধ্যে যৌবনকালেকে বলা হয় গোল্ডেন এজ বা স্বর্ণালি যুগ। লর্ড বার্নার্ড শ বলেছেন, এ যৌবনের কাছে আমার তিনটি উপদেশ ১) কাজ কর ২) কাজ কর ৩) কাজ কর। তাই আপনি গভীরভাবে চিন্তা করুন কাজ ছাড়া কেউ কখনো বড় হতে পারে না। জীবনের সব শাখাকে পুষ্পপল্লবে সুসজ্জিত করতে হলে আমাদের তাই কোনো না কোনো কাজের মাধ্যমেই করতে হবে। প্রায়ই বলা হয় 'পরিশ্রমে ধন আনে, পুণ্যে আনে সুখ, আলস্যে দারিদ্র্য আনে। তাই আমরা আজ এখন থেকেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই আমরা আমাদের সময়কে আলস্যে বা হেলা ফেলায় নষ্ট করবো না। আমি এমন কাজ করবো বা আমার এ জীবনের সব চাহিদা পূরণ করে দেওয়ার পরও আমার ভবিষ্যৎ বংশধরদের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করে। দেয় পৃথিবীতে সঠিকভাবে বিচরণের নির্দেশনা। তাই সে স্বর্ণালি শিখরে বিচরণ করলে তাকে অমরত্মদান করবে। এরূপ একটি পেশার নাম মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। সারা বিশ্বেও এখন এ নেটওয়ার্কিং মার্কেটিংয়েই জয়জয়কার। এ পেশায় প্রতি সপ্তাহে আড়াই লাখেরও বেশি লোক যোগদান করছে। বর্তমানে সারাবিশ্বে ৩৭ কোটিরও বেশি লোক নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত। নেটওয়ার্ক পেশা হলো জাদুর পরশ, যারা তাকে পজিটিভলি গ্রহণ করে এবং নিয়মিত কাজ করে তাকে সে স্বর্ণ করে তোলে। আবার পরের জনকেও সে পরশ করে সেও সোনায় পরিণত হয়। অর্থাৎ এ পেশায় সফল লিডার থেকে আরো অনেক সফল লিডার তৈরি হয় তখন অতিরিক্ত যোগ্য ব্যক্তিটি তার সবরূপ কর্মেই দক্ষতার পরিচয় দেয়। সে জীবনে পিছ পা হয় না। তখন সে পৃথিবী অন্যরূপে দেখে। দেখে চারদিকে শুধু তার প্রাপ্তি, প্রাপ্তিতেই ভরে যায় তার ভুবন। সুখ তার জীবনে চারদিক দিয়ে এসে লুটোপুটি খায়। তাই বলা হয়- এম.এল.এম. অর্থ আনে/আনে সম্মান/সাধারণে দেখে শুধু/কেউ নাই তার সমান। 
সাধারণ মানুষেরা শুধু তাদের একই রূপ কাজ করেই জীবিকা। নির্বাহ করে। কখনো ভিন্ন কোনো পন্থা বা কৌশল অবলোকন করে না। তারা তাদের গতানুগতিক একই পেশার মাধ্যমে সব কাজ করে। ফলে জীবনে তেমন উন্নতি করতে পারে না। আপনি চিন্তা করুন আজকের নেটে সফল ব্যক্তিটি। এক সময় আপনার মতোই সাধারণ মানুষই ছিল না তিনি তার কর্মের মাধ্যমেই অনেকের এ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি বিন্দু বিন্দু করে নেটওয়ার্কে অগ্রসর হয়ে আজকে তার এ অবস্থানের পেছনে আছে এক গুচ্ছ শ্রমের ফল। তাই আর এখন থেকে শুধু তাকিয়ে থাকা নয় এখনই নেটওয়ার্কে কাজ করা।  বর্তমান প্রেক্ষাপটে Enloving international লিমিটেড এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আপনি ইচ্ছে করলে এখন থেকেও কাজ করতে পারেন। এখান থেকে আপনি পাবেন জীবনে চলার জন্য বাস্তবমুখী বিভিন্নরূপ ট্রেনিং। কারণ ওদের আছে দক্ষ্য ট্রেনার যারা খুবই যুগোপযোগী ট্রেনিং দিয়ে থাকে। এ ব্যবসায় আপনি দিনে কতটুকু সময় দেবেন তা আপনার ইচ্ছার ওপরই নির্ভরশীল। এখানে এতো স্বাধীনতা আছে যে কারো কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না। মানতে বাধ্য করা হয় না কোনো বড় কর্তার নিয়ম। শুনতে হয় না কোনো গালমন্দ কথা। পৃথিবীতে এটিই মানে হয় একমাত্র পেশা। অনেকে তার প্রফেশনের পাশাপাশি প্রথমে পার্টটাইম ও পরে যখন বুঝতে পারে এর চেয়ে লাভজনক ব্যবসা পৃথিবীতে নেই। আর তখনই তিনি শুরু করেন ফুলটাইম হিসেবে। কোনো কিছুকে সিরিয়াস হওয়াই বুদ্ধিমানের লক্ষণ। আর তা যদি হয় এম.এল.এম. তবে তো কথাই নেই। জীবনের ভালো সিদ্ধান্তগুলো বা জীবনের ভালো কাজগুলো আগেভাগেই শেষ করতে হয়। তা না হলে সারাজীবনে আর তা করা নাও হয়ে উঠতে পারে। যেমন সব সময়ই একজন অশিক্ষিত মানুষের মুখ থেকে না হলেও অন্তর থেকে হলেও বের হয়ে আসে ইস আমি যদি শিক্ষিত হতাম। তবে জীবনও জগৎকে আরো সঠিকভাবে বুঝতে পারতাম। সর্বত্রই আমার বিচরণ হতো। মুক্ত বিহঙ্গের মতো। তেমনি আজকে শিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত ভাইয়েরা এখন ও যারা এ ব্যবসা করছেন না একসময় বলবেন ইস যদি আগে শুরু করতে পারতাম। বড় দেরি হয়ে গেছে তাই আর নয় অনুশোচনা; আর নয় শুধু পুথিগত বিদ্যা। আসুন সবাই মূল্যবান সময় নষ্ট না করে প্রতিটি মুহূর্তকে অফুরন্ত সম্ভাবনায় ভরে তুলি। সবাই হই মাল্টিলেভেল মার্কেটিং-এ সুশিক্ষিত। গড়ি আমার পৃথিবীকে স্বপ্ন দিয়ে আর যে স্বপ্নকে সত্যিকারে দু'চোখে দেয় দিনের আলোয়। যেখানে শুধু সুখ আর সুখ।

প্রতিটি মানুষের একটি আশা বা স্বপ্ন থাকে। সে চাওয়া তার জীবনে পূরণ হোক বা না হোক। স্বপ্ন বা আশা ছেড়ে কোনো স্বাভাবিক মানুষ এ জগতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ আশা বা চাওয়াকে সামনে রেখেই একজন মানুষ অতিক্রম করে তার বাল্য কৌশল, যৌবন ও বার্ধক্য। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পর্বগুলোর মধ্যে যৌবনকালেকে বলা হয় গোল্ডেন এজ বা স্বর্ণালি যুগ। লর্ড বার্নার্ড শ বলেছেন, এ যৌবনের কাছে আমার তিনটি উপদেশ ১) কাজ কর ২) কাজ কর ৩) কাজ কর। তাই আপনি গভীরভাবে চিন্তা করুন কাজ ছাড়া কেউ কখনো বড় হতে পারে না। জীবনের সব শাখাকে পুষ্পপল্লবে সুসজ্জিত করতে হলে আমাদের তাই কোনো না কোনো কাজের মাধ্যমেই করতে হবে। প্রায়ই বলা হয় 'পরিশ্রমে ধন আনে, পুণ্যে আনে সুখ, আলস্যে দারিদ্র্য আনে। তাই আমরা আজ এখন থেকেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই আমরা আমাদের সময়কে আলস্যে বা হেলা ফেলায় নষ্ট করবো না। আমি এমন কাজ করবো বা আমার এ জীবনের সব চাহিদা পূরণ করে দেওয়ার পরও আমার ভবিষ্যৎ বংশধরদের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করে। দেয় পৃথিবীতে সঠিকভাবে বিচরণের নির্দেশনা। তাই সে স্বর্ণালি শিখরে বিচরণ করলে তাকে অমরত্মদান করবে। এরূপ একটি পেশার নাম মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। সারা বিশ্বেও এখন এ নেটওয়ার্কিং মার্কেটিংয়েই জয়জয়কার। এ পেশায় প্রতি সপ্তাহে আড়াই লাখেরও বেশি লোক যোগদান করছে। বর্তমানে সারাবিশ্বে ৩৭ কোটিরও বেশি লোক নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত। নেটওয়ার্ক পেশা হলো জাদুর পরশ, যারা তাকে পজিটিভলি গ্রহণ করে এবং নিয়মিত কাজ করে তাকে সে স্বর্ণ করে তোলে। আবার পরের জনকেও সে পরশ করে সেও সোনায় পরিণত হয়। অর্থাৎ এ পেশায় সফল লিডার থেকে আরো অনেক সফল লিডার তৈরি হয় তখন অতিরিক্ত যোগ্য ব্যক্তিটি তার সবরূপ কর্মেই দক্ষতার পরিচয় দেয়। সে জীবনে পিছ পা হয় না। তখন সে পৃথিবী অন্যরূপে দেখে। দেখে চারদিকে শুধু তার প্রাপ্তি, প্রাপ্তিতেই ভরে যায় তার ভুবন। সুখ তার জীবনে চারদিক দিয়ে এসে লুটোপুটি খায়। তাই বলা হয়- এম.এল.এম. অর্থ আনে/আনে সম্মান/সাধারণে দেখে শুধু/কেউ নাই তার সমান। 
সাধারণ মানুষেরা শুধু তাদের একই রূপ কাজ করেই জীবিকা। নির্বাহ করে। কখনো ভিন্ন কোনো পন্থা বা কৌশল অবলোকন করে না। তারা তাদের গতানুগতিক একই পেশার মাধ্যমে সব কাজ করে। ফলে জীবনে তেমন উন্নতি করতে পারে না। আপনি চিন্তা করুন আজকের নেটে সফল ব্যক্তিটি। এক সময় আপনার মতোই সাধারণ মানুষই ছিল না তিনি তার কর্মের মাধ্যমেই অনেকের এ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি বিন্দু বিন্দু করে নেটওয়ার্কে অগ্রসর হয়ে আজকে তার এ অবস্থানের পেছনে আছে এক গুচ্ছ শ্রমের ফল। তাই আর এখন থেকে শুধু তাকিয়ে থাকা নয় এখনই নেটওয়ার্কে কাজ করা।  বর্তমান প্রেক্ষাপটে Enloving international লিমিটেড এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আপনি ইচ্ছে করলে এখন থেকেও কাজ করতে পারেন। এখান থেকে আপনি পাবেন জীবনে চলার জন্য বাস্তবমুখী বিভিন্নরূপ ট্রেনিং। কারণ ওদের আছে দক্ষ্য ট্রেনার যারা খুবই যুগোপযোগী ট্রেনিং দিয়ে থাকে। এ ব্যবসায় আপনি দিনে কতটুকু সময় দেবেন তা আপনার ইচ্ছার ওপরই নির্ভরশীল। এখানে এতো স্বাধীনতা আছে যে কারো কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না। মানতে বাধ্য করা হয় না কোনো বড় কর্তার নিয়ম। শুনতে হয় না কোনো গালমন্দ কথা। পৃথিবীতে এটিই মানে হয় একমাত্র পেশা। অনেকে তার প্রফেশনের পাশাপাশি প্রথমে পার্টটাইম ও পরে যখন বুঝতে পারে এর চেয়ে লাভজনক ব্যবসা পৃথিবীতে নেই। আর তখনই তিনি শুরু করেন ফুলটাইম হিসেবে। কোনো কিছুকে সিরিয়াস হওয়াই বুদ্ধিমানের লক্ষণ। আর তা যদি হয় এম.এল.এম. তবে তো কথাই নেই। জীবনের ভালো সিদ্ধান্তগুলো বা জীবনের ভালো কাজগুলো আগেভাগেই শেষ করতে হয়। তা না হলে সারাজীবনে আর তা করা নাও হয়ে উঠতে পারে। যেমন সব সময়ই একজন অশিক্ষিত মানুষের মুখ থেকে না হলেও অন্তর থেকে হলেও বের হয়ে আসে ইস আমি যদি শিক্ষিত হতাম। তবে জীবনও জগৎকে আরো সঠিকভাবে বুঝতে পারতাম। সর্বত্রই আমার বিচরণ হতো। মুক্ত বিহঙ্গের মতো। তেমনি আজকে শিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত ভাইয়েরা এখন ও যারা এ ব্যবসা করছেন না একসময় বলবেন ইস যদি আগে শুরু করতে পারতাম। বড় দেরি হয়ে গেছে তাই আর নয় অনুশোচনা; আর নয় শুধু পুথিগত বিদ্যা। আসুন সবাই মূল্যবান সময় নষ্ট না করে প্রতিটি মুহূর্তকে অফুরন্ত সম্ভাবনায় ভরে তুলি। সবাই হই মাল্টিলেভেল মার্কেটিং-এ সুশিক্ষিত। গড়ি আমার পৃথিবীকে স্বপ্ন দিয়ে আর যে স্বপ্নকে সত্যিকারে দু'চোখে দেয় দিনের আলোয়। যেখানে শুধু সুখ আর সুখ।