Tuesday, 27 August 2013

Why Network Marketing business is Important for YOU ?

As Robert Kiyosaki says:

“You cannot become rich working for others”,
most people today never earn an above average income because they only get paid when they are working. When they quit working they quit getting paid.

How would it be if you grow money tree? In other words how would you like to develop a business that would create a continual stream of ongoing income that would continue to flow to you whether you went to work or not?
Since Network Marketing allows you to build an organization of hundreds or even thousands of other people from whose sales efforts, you can earn an income, your income will not be limited to you and your work alone.

Once you truly understand this principle it will be difficult for you to work for temporary income and lifestyle.

This is the only industry which makes an ordinary person to an extra ordinary success with Financial Freedom, Time Freedom, Peace of mind, Positive new friends?..etc.
In other words it makes you complete successful person. Network Marketing is nothing but a LIFE STYLE, Incredible, and Unbelievable Lifestyle.

Kazi ashraful Islam 
Founder Brand partner of
Enloving International 

Sunday, 18 August 2013

ব্যবসা বৈধ বা হালাল হওয়ার জন্য ইসলাম নিম্নলিখিত ৭টি শর্তের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। সেগুলো হলো-



১। ক্রেতা ও বিক্রেতার উভয়ের সুস্থ মস্তিস্ক সম্পন্ন হওয়া 
২। ক্রেতা ও বিক্রেতা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া 
৩। বিক্রিত পণ্য যেন হালাল হয় 
৪। পন্যের মালিকানা হস্তান্তরযোগ্য হওয়া 
৫। বিক্রিত পণ্যের উপর বিক্রেতার পূর্ণ মালিকানা থাকা 
৬। বিক্রিত পণ্যের উপর অন্যের হক বা অধিকার না থাকা 
৭। পণ্য গ্রহণে সন্তুষ্টি বজায় থাকার জন্য ক্রেতার প্রতি বিক্রেতার পণ্য বর্ণনায় স্বচ্ছতা থাকতে হবে এবং ক্রেতা স্বচ্ছ ও বর্ণনা মতে সঠিক পণ্যটি যাতে পেতে পারেন। 

এই ৭টি শর্তই Enloving পূরণ করে। আর তাই Enloving এর ব্যবসা ১০০ ভাগ হালাল।

এমএলএম পদ্ধতিতে কিভাবে পণ্য বিপণন করা হয়?


প্রচলিত পদ্ধতিতে একটি পণ্য উৎপাদিত হয়ে সরাসরি ক্রেতা বা ব্যবহারকারীর নিকট যেতে পারে না। একটি পণ্য উৎপাদন করতে যে খরচ হয় সেই খরচের সাথে লভ্যাংশ যোগ করে সংশি¬ষ্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি একসাথে একটি এজেন্সীর কাছে পণ্যগুলো সরবরাহ করে থাকে। এজেন্সী পণ্যগুলোকে তার সুবিধামতো পাইকারী বিক্রেতাদের কাছে একটা লভ্যাংশ যোগ করে বিক্রি করে দেয়। পাইকারি বিক্রেতারা উক্ত পণ্যসমূহ খুচরা বিক্রেতাদের নিকট নিজের লভ্যাংশ রেখে সরবরাহ করে। ভোক্তা বা ক্রেতা অর্থাৎ যিনি পণ্য ব্যবহারকারী তাঁকে উক্ত পণ্যটি খুচরা দোকানদারের নিকট থেকে ক্রয় করতে হচ্ছে। ধরা যাক আব্দুল হালিম নামে এক ভদ্রলোক ঢাকার বসুন্ধরা সিটির একটি কাপড়ের দোকান থেকে একটি সার্ট বা জামা ক্রয় করলেন ১০০০ টাকা দাম দিয়ে। বসুন্ধরা সিটির ওই দোকানী সার্টটিতে লাভ করলেন মাত্র ১০০ টাকা, অর্থাৎ এই সার্টটি তিনি কোন একটি পাইকারী বিক্রেতার কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন ৯০০ টাকার বিনিময়ে। ওই পাইকারি বিক্রেতা আবার সার্টটিতে ২০০টাকা লাভ করেছেন, অর্থাৎ এজেন্সী থেকে তিনি সার্টটি ক্রয় করেছেন ৭০০ টাকা দিয়ে। এজেন্সী সার্টটিতে ৩০০ টাকা লাভ করেছে অর্থাৎ সার্টটি উৎপাদনকারী তাঁর খরচ এবং লাভসহ এজেন্সীর কাছে বিক্রি করেছে মাত্র ৪০০ টাকা দিয়ে। উৎপাদনকারীর যদি এই সার্টে উৎপাদন খরচ ৩০০ টাকা হয় তাহলেও দেখা যাচ্ছে তিনি সার্টটিতে ১০০ টাকা লাভ করলেন। অথচ প্রকৃত ব্যবহারকারী যিনি অর্থাৎ ভোক্তা বা ক্রেতাকে সার্টটি ক্রয় করতে হলো ১০০০ টাকা দিয়ে। মাঝখানে কয়েকটি হাতবদলের সময় সার্টটির দাম আরো ৬০০ টাকা বেড়ে গেল। যদি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি সরাসরি সার্টগুলো ক্রেতা/ ব্যবহারকারীর নিকট ১০০০ টাকা দামে বিক্রি করতো তাহলে ১০০ টাকার জায়গায় লাভ করতে পারতো ৭০০ টাকা। মধ্যস্বত্তভোগী বলে পরিচিত এজেন্ট, পাইকারি বিক্রেতা এবং খুচরা বিক্রেতারা এখানে অংশ নিতে পারতোনা। সে ক্ষেত্রে উক্ত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে যেত নতুবা তাকে আরো বিনিয়োগ করে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে হতো। কিন্তু উক্ত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যদি এমন কোন ঘোষণা দেয়, যে এখান থেকে একটি সার্ট যিনি ক্রয় করবেন, তাঁর রেফারেন্সে আরো ক্রেতা আসলে আমি যে মুনাফা অর্জন করবো, তাঁর একটি অংশ রেফারেন্সকারী ক্রেতাকে দেয়া হবে। তাহলেই উক্ত প্রতিষ্ঠানটি ডাইরেক্ট মার্কেটিং কোম্পানি বলে গণ্য হবে। আর এই ডাইরেক্ট মার্কেটিং কোম্পানি মূলতঃ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হয় বলেই একে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানি বলা হয়। বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় বলে, বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে পরিচিতি লাভ করে। ক্রেতা সদস্যদের মধ্যে লভ্যাংশ বন্টনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ কোম্পানি একটি লেভেল পরিমাপ করার কারণেই এ জাতীয় কোম্পানিগুলোকে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম কোম্পানি বলা হয়। নিচের ছকের মাধ্যমে প্রচলিত পদ্ধতির সাথে ডাইরেক্ট মার্কেটিং পদ্ধতির পার্থক্য তুলে ধরা হলোঃ

প্রচলিত পদ্ধতিঃ
পণ্য উৎপাদনকারী/ আমদানীকারক–> এজেন্সী–> পাইকাবিক্রেতা–> খুচরা বিক্রেতা–> ক্রেতা/ ভোক্তা
ডাইরেক্ট মার্কেটিং পদ্ধতিঃ
পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান/ আমদানীকারক–> সরাসরি ক্রেতা/ ভোক্তা।
প্রচলিত পদ্ধতিতে পণ্য বিপণনের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রয়োজন থাকলেও এমএলএম পদ্ধতিতে কোন বিজ্ঞাপনেরই প্রয়োজন হয় না।

www.enloving.com

Kazi ashraful Islam 

বায়োএনার্জেটিক হেলথ ব্রেসলেট:

 বায়োএনার্জেটিক হেলথ ব্রেসলেট

প্রারম্বিকা :-
সামপ্রতিক বছরগুলোতে প্রথাগত বা তথ্য প্রমাণ ভিত্তিক ডাক্তারী চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি নব চিকিৎসা পদ্ধতি পাশাপাশি নব নব চিকিৎসা পদ্ধতি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর, ব্যবহারে সহজ এবং প্রমানিত পদ্ধতি হচ্ছে চুম্বকীয় আবেশ এবং ঋণাত্মক আবেশ সমুদ্ধ উপাদানের ব্যবহার। এ ধরনের উপাদানের ব্যবহার প্রাথমিকভাবে ছোট খাট অসুস্থতাকে সারিয়ে আমাদের শরীরকে যেমনি উদ্যমশীল করতে সম, তেমনি সুস্থ অবস্থায় ব্যবহার শুরু করলে অনেক ধরনের কঠিন রোগ থেকে ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
বর্তমান বিশ্ব স্বাস্থ্যঃ
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস হতে জানা যায়, খৃঃ পূর্ব ২০০০ বৎসর পূর্বে চীনারা সর্বপ্রথম মানবদেহের বিভিন্ন চিকিৎসায় ম্যাগনেটিক থেরাপীর ব্যবহার শুরু করেন। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি লোক রোগের উপশমের জন্য ম্যাগনেটিক থেরাপী ব্যবহার করেতেছে। এদের মধ্যে চীনা, জাপানীজ, কোরিয়ানরাই প্রায় ৬০ মিলিয়ন। যার ফলে এতদ্অঞ্চলেল পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় মানুষ কম রোগাক্রান্ত
Enloving এর পণ্য: বায়োএনার্জেটিক হেলথ ব্রেসলেট :-

চুম্বকীয় আবেশ ।
ঋণাত্মক আবেশ ।
সূর্যের দূর অদৃশ্য লালরশ্মি
ষ্টেইনলেস ষ্টিল- ৩১৬মেটাল সমৃদ্ধ উপাদান দ্বারা এটি তৈরী যার গুনাগুন পরবর্তী দীর্ঘদিনেও অুন্ন থাকবে। ব্রেসলেটের মডেল কিংবা আকার আকৃতি ভিন্নতর হলে ও কার্যকারিতা একই। কারণ প্রতিটি ব্রেসলেট এ নিয়োডাইমিয়াম চুম্বকের পরিমান ২৫০০- ৩০০০ গস (জি)।
বায়োএনার্জেটিক হেলথ ব্রেসলেট ব্যহারের উপকারিতা :-

শরীরের রোগ প্রতিরোধ মতা বাড়ায়।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি

রক্ত কোলেষ্টরল ফ্রী করে।

বিভিন্ন ধরনের ব্যথা (বাতের ব্যথা, মাথাব্যথা, আঘাতজনিত ব্যথা, পেশীর ব্যথা, জোড়াসন্ধির ব্যথা, গ্যাষ্টিকের ব্যথা) দূর করে।

শরীরের যাবতীয় বিষাক্ত পদার্থ (টঙ্নি) বের করে দেয় ।

হাঁপানী (এ্যাজমা) নিয়ন্ত্রন করে।

ডায়াবেটিক রোধে কার্যকরী ভুমিকা রাখে।

কিডনী ও লিভারের সমস্যা দূর করে।

হরমোন উৎপাদন করে ও যৌন উদ্যম সবল করে ।

ঘুমে নাক ডাকা

কানত্দি/দূর্বলতা দূর করে শক্তি উজ্জীবিত করে।

নিজেকে সর্বদা ফ্রেশ এবং এনার্জেটিক মনে হয়।

হাই ব্লাডপ্রেসার (উচ্চ রক্তচাপ) নিয়ন্ত্রন করে।

অনিদ্রাভাব দূর করে।

হতাশাগ্রস্থতা নাশ করে।

মোবাইল ফোনের ভয়ানক রেডিয়েশন (পজেটিভ আয়ন) থেকে নিজেকে রা করে।

চর্মরোগ (এলার্জি, ব্রণ, একজিমা) উপশমসহ আরো অনেক রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার করে।

Enloving বায়োএনার্জেটিক হেলথ ব্রেসলেট প্রাপ্তি স্থানঃ


Enloving Bangladesh : 
Loading.........(coming soon)

Enloving Malaysia office 
Mohammad alamgir hossain (alam)
+60109107192
mohammad moti howladar 
+60146290343
mohammad amin sarker
+60169837915

প্রতিটি বায়োএনার্জেটিক হেলথ ব্রেসলেট মূল্য ৮০০০ টাকা কিংবা ১০০ us ডলার (দুই পিস)


কেউ যদি নিতে চান তা হলে, নিম্ন লিখিত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করুন:-


Wednesday, 14 August 2013

এম.এল.এম. এর উপর কিছু কথা (পার্ট-১) যারা জানেন না তাদের জন্য

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কিংবা মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা পদ্ধতিতে আপনাকে স্বাগতম। বিশ্ব জুড়ে একথা প্রমাণিত যে, উৎপাদিত পণ্য বা সেবার যথাযথ বাজার বা মার্কেটের অনুপস্থিতিতে সকল আয়োজন ধূলিসাৎ হয়ে যায়, থেমে যায় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের গতি। এক্ষেত্রে সকল উদ্যোক্তাই একমত যে, বিপণন কর্মকান্ড সফল না হয়ে কোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানই টিকে থাকতে পারে না। এসব বিবেচনা থেকেই বিশ্বব্যপী রথী-মহারথী, উদ্যোক্তা ও বিপণন বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন কর্মপদ্ধতি, নীতি ও প্রয়োগিক দিক নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন। উদ্ভুত প্রেক্ষাপটে একথা গৌরবের সাথে বলা যা যে, মাত্র কয়েক দশকে পণ্য বিপণন ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা মাল্টি লেভল মার্কেটিং পদ্ধতিটি বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত সফল একটি মার্কেটিং কনসেপ্ট বা Mechanism হিসেবে যথেষ্ঠ আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে। পদ্ধতিগত বৈশিষ্ট্য, প্রয়োগশৈলী এবং গণমূখী চরিত্র বা প্রকিয়া ধীরে ধীরে এ পদ্ধতিটিকে এযাবৎকালে উদ্ভাবিত আধুনিক বিপণন পদ্ধতি গুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠতম মার্কেটিং পদ্ধতির রূপ পরিগ্রহে উৎসাহিত করেছে।  (প্রত্যেক ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা ক্ষেত্র তৈরী করার চেয়ে নেটওয়ার্ক ব্যবসা ক্ষেত্র অপেক্ষাকৃত অধিক নিরাপদ।)

সময়ের চাহিদা পূরণে সক্ষম এই বহুমাত্রিক পণ্য বিপণন ব্যবসায় (Direct Marketing or Network Marketing or Multi-Level Marketing) ডাইরেক্ট মার্কেটিং বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং পদ্ধতিটি বাংলাদেশে সর্বস্তরের মানুষের কাছে ক্রমাগত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। যে প্রেক্ষাপটে এ ব্যবসা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, তার বিশদ ব্যাখ্যা এ স্বল্প পরিসরে দেয়া না গেলেও একথা নিঃসন্দেহে বালা যায় যে, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা এম.এল.এম. পদ্ধতি প্রয়োগে বেকারপীড়িত এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে আত্ম-কর্মসংস্থানের পথ দেখিয়েছে, আলোর পথ পেতে সাহায্য করেছে। কর্মবিহীন শিক্ষিত যুবক-যুবতী এ পদ্ধতিতে আত্মকর্মনির্ভর হয়ে সার্বক্ষণিক বা আংশিক শ্রম দিয়ে, যৎসামান্য পুজি বিনিয়োগে বা বিনা পুজিতে (পণ্য বিপণনের মাধ্যমে) নিজেদেরকে স্বাবলম্বী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। ছাত্র-ছাত্রী, স্বল্প আয়ের চাকুরিজীবী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সমাজসেবী, রাজনীতিবিদ, এমনকি যে কোন পেশার মানুষকে এ প্দ্ধতি এনে দেয় আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং স্বস্তিময় জীবনমান। এজন্য অতি উচ্চ শিক্ষা বা পূর্ব অভিজ্ঞতা অত্যাবশ্যকীয় নয়। আর এজন্য বিশ্বের বহু দেশে এই বিপণন পদ্ধতিটি "Freedom Enterprise" হিসেবে আখ্যায়িত।

এখন আমরা জনবো ডাইরেক্ট মার্কেটিং বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং বলতে যা বুঝায়-"ভোক্তাশ্রেণীর পারস্পরিক সম্পর্ককে তথ্য সরবরাহ ও বিজ্ঞাপনের কাজে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে পণ্য দ্রুত এবং সরাসরি ভোক্তার কাছে বিপণন করাটাই ডাইরেক্ট মার্কেটিং বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর বৈশিষ্ট্য।"

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আমরা অনেকেই জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুকাল ধরে পরোক্ষভাবে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর কর্মটি করে চলছি এবং তা অনেকটা মনের অজান্তে। এবংএকথাটিও সত্য যে, এ সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই তথ্যনির্ভর ধারণাও যথেষ্ট কম।

এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে, আপনি যখন কোন একটি ভাল বই পড়ে বেশ আনন্দ পান, কিংবা কোন ভাল রেষ্টুরেন্টের খাবার খেয়ে উপভোগ করেন বা ভাল একটি সিনেমা বা নাটক দেখে খুব আনন্দ উপভোগ করেন, তখন আপনি এটি আপনার নিজস্ব পরিমণ্ডলের অন্যদের কাছে প্রায়শঃ প্রচার করে থাকেন। আর এ কাজটি আপনি নিছক কথার ছলেই বলে বেড়ান।

যদি কাজটি আপনি প্রতিনিয়ত করে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই নেটোয়ার্কিং পদ্ধতির কাজটি করে বেড়াচ্ছেন বলে ধরে নেয়া যায় এবং এর ফলে আপনাকে বলা যায় একজন নেটওয়ার্কার। পার্থক্য শুধু এতটুকু যে আপনার টেওর্য়াক কাজের দ্বারা যে পণ্য বা সেবার ফ্রি বিজ্ঞাপন হয়ে যাচ্ছে, যাবে এর জন্য যে বিপণনকারী সংগঠন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে  (দোকানদার বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি), তাদের কেউই আপনাকে কোন বিপণন কমিশন বা আর্থিক সুবিধা দিচ্ছেন না বা দেবেননা। ন্যূনতম সৌহার্দ্যবোধে আপনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনও করেননি বা করবেন না, বিনামূল্যে এই বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজটি করার জন্যে। তবে নেটওর্য়াক মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান আপনার এ ধরণের প্রচারের কারণে যদি কোম্পানীর কোন পণ্য বা সেবা বিপণন হয়ে থাকে, সে জন্য আপনাকে আর্থিক সুবিধা হিসেবে বিপণন কমিশন দিতে আগ্রহী। গতানুগতিক পণ্য বিপণন পদ্ধতির সাথে কাঠামোগত নেটোয়ার্ক বিপণন পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য এটুকুই।

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতি হচ্ছে, ব্যক্তির সংগে ব্যক্তির (ইন্টার-পার্সোনাল) সম্পর্ককে ব্যবহার করে মৌখিক বিজ্ঞাপনজনিত প্রচারের মাধ্যমে পণ্য বিপণন করা এবং এ ধরনের বিপণনে উদ্বুধ্ধকরনের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদনকারী বা উৎস থেকে ভোক্তার কাছে সরাসরি ক্রয়/বিক্রয় সম্পন্ন করা। বাড়তি খরচ পরিহার করে তার একটা বিশাল অংশ ক্রয়/বিক্রয়কারী ভোক্তাশ্রেণীকে একত্রে প্রচারকার্মে অংশগ্রহণ করার জন্য "কমিশন" হিসেবে প্রদান করাই হচ্ছে এ বিপণন পদ্ধতির মূল দর্শন। কারণ এই মৌখিক প্রচার পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে পণ্য বিপণন প্রক্রিয়ায় গতানুগতিক মধ্যসত্ত্বভোগীর প্রয়োজন হয় না, ফলে বিপণনে বাড়তি খরচের বিষয়টির বিলুপ্তি ঘটে। এই পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবা বিপণনে সাধারণতঃ কোন ব্যয়বহুল শো-রুম খরচ ও বিজ্ঞাপন খরচের প্রয়োজন হয় না। তাই উৎপাদনকারীগণ কিংবা সরবরাহকারীগণ সবাই অধিক পরিমাণ পণ্য খুব সহজে এবং কম খরচে ভোক্তাদের কাছে সরাসরি বাজারজাত করতে সক্ষম হন। এ কারণে এ বিপণন পদ্ধতিটি গতানুগতিক বিপণন প্রক্রিয়ায় ব্যবসা সম্প্রসারণের তুলনায় সংস্কার-সমৃদ্ধ একটি আধুনিক প্রক্রিয়া মাত্র।

পরবর্তী পার্টে ডাইরেক্ট মার্কেটিং বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা এম.এল.এম পদ্ধতির সূচনা নিয়ে আলোচনা করা হবে।